শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সাস্টে মার খেয়েছেন ছাত্র, ছাত্রীরা

১৬ জানুয়ারি শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাস্ট) বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল প্রভোস্টের ‘পদত্যাগ’ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে পুলিশ। ছাত্র, ছাত্রীদের লক্ষ্য করে ২৭ রাউন্ড রাবার বুলেট, ২১টি সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়েছেন তারা। ঠিক কী কারণে তাদের হামলা করেছে? কী ঘটেছিল সেদিন? লিখেছেন নুরুল ইসলাম রুদ্র। ছবি : সংগ্রহ

 

“১৬ জানুয়ারি, বিকাল ৫টা। সাধারণ ছুটির সময় থাকে তখন। তবে সেদিন ছাত্র, ছাত্রীরা ক্ষোভে উত্তাল। তাদের দাবি মেনে নিতে অবরুদ্ধ উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দেখা করতে আইআইসিটি (ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি) ভবনের গেটের সামনে গেলেন সাস্টের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম। ছাত্রীরা তাকে তালা খুলে দিতে চাবি খুঁজতে লাগলেন। তখনই ক্যাম্পাসের ভেতরে চলে আসা পুলিশ সদস্যরা বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে মারমুখি অবস্থান নিয়ে নিলেন। তারপর তারা সবাই মিলে আমাদের ওপর লাঠিচার্জ মানে লাঠি দিয়ে বেড়ধক মারা শুরু করলেন। আমরা দুটি স্তরে আন্দোলন করছিলাম। ভেতরে মেয়েরা, বাইরে ছেলেদের-মানব শিকল। পুলিশ প্রথমে লাঠি দিয়ে প্রবলভাবে পেটাতে, পেটাতে আমাদের সামনের মানব শিকল ভাঙল। এ সময় ধরে, ধরে আমাদের হাতে, পেটে ও পিঠে অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে তারা। মার খেয়ে সরে যাবার পর সাস্টের ছাত্রীদের মানব শিকলের ওপর হামলা চালিয়েছে। মারতে, মারতে আমাদের অনেককে মাটিতে ফেলে দিয়েছে। সেই মুহূর্তেও লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে”-নিরস্ত্র ছাত্র,ছাত্রীদের উপর পুলিশের হামলার বর্ণনা দিলেন সজল কুণ্ডু। তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা হলের প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র, ছাত্রীদের অন্যতম। নৃবিজ্ঞান পড়েন। তাকেও প্রচণ্ড মেরেছে পুলিশ ক্যাম্পাসের ভেতরে। সজলকে পুলিশ বাহিনী ছিটা গুলি ছুঁড়েছে ও সাউন্ড গ্রেনেড মেরেছে। গ্রেনেড হামলায় সজলের শরীরের অন্তত ৮৩টি জায়গা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। বন্ধুরা তাকে দ্রুত তুলে নিয়ে হাসপাতালে ভতি করে তার জীবন বাঁচিয়েছেন। এক্স-রেতে জানা গিয়েছে, তার শরীরের মাথা, কান, গলার নিচ, হাত, আঙ্গুল, বুক, পেটসহ পুরো শরীরে আঘাত আছে। কোনো, কোনোটি গুরুতর। কীভাবে পুলিশ তার উপর হামলাটি চালিয়েছে-সেই হৃদয়বিদারক বর্ণনা কাঁদতে, কাঁদতে সজল দিয়েছেন, ‘আমি ছিলাম সাস্ট ক্যাফেটেরিয়ার ভেতরে। দেখেছি, কয়েকজন পুলিশ ঘিরে, ঘিরে আমাদের কয়েকজন ছাত্রকে নির্দিষ্টভাবে লক্ষ্য করে বেধড়ক মারধর করছে, লাথি মারছে, পেটাচ্ছে। তাদের ভয়াবহ কষ্ট দেখে থাকতে না পরে বেরিয়ে ছুটে গিয়েছি। ওদের আমরা পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে বেষ্টনি থেকে বের করে এনেছি। ঠিক তখনই একজন পুলিশ সদস্য আমাকে লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করল। আমার পায়ের কাছে এসে ফাটল শব্দ করে। মনে হয়েছে, আমি কয়েকশ ভোল্টের একটি বিদ্যুৎ শক অনুভব করছি। কয়েক সেকেন্ডের জন্য স্তদ্ধ ও বধির হয়ে গেলাম। নড়তেও পারছি না। প্রিয় বন্ধু রাকিব আমাকে ক্যাফেটেরিয়ার ভেতরে নিয়ে গেল। এরপর খেয়াল ফিরে এলো। দেখলাম, ডান হাত দিয়ে জলস্রোতের মতো রক্তস্রোত বেরুচ্ছে। ব্যথায় কাঁদছি। দুই কী তিনটা গামছা দিয়ে হাতটি বেঁধে রক্তপড়া বন্ধ করার চেষ্টা করছে ওরা। ততক্ষণে মাথা থেকেও রক্ত বের হচ্ছে। শরীরের কাপড় ছিদ্র হয়ে গেছে। হাসপাতালে কয়েকজন বন্ধুবান্ধবের কাঁধে উপর ভর দিয়ে যাচ্ছিলাম। সামনে দেখে বন্ধুরা পুলিশকে বলেছিল, ‘ভাই, ও শারিরীভাবে আঘাত পেয়েছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।’ শুনে পুলিশরা কোনো কথা না বলে কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকলেন। তবে যখনই আমরা তাদের সীমানার মধ্যে ঢুকলাম, সবাইকে আবার লাঠিপেটা শুরু করলো। আমি আহত শরীরটিকে কোনোমতে টেনে-হিঁচড়ে ক্যাম্পাসের গোলচত্বরের সামনে এসে জীবন বাঁচালাম। অন্যরা তখন মার খাচ্ছে। ওরা আমাকে সরিয়ে দিয়েছিল।”

এই আন্দোলনে পুলিশের গুরুতর হামলায় পিটুনির শিকার হয়েছেন পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র ফাতিন আল সাদাফ। বলেছেন, ‘আমরা ওই মানব শিকলটি তৈরি করে বোনদেরকে রক্ষা করতে চেয়েছি। পুলিশ অতর্কিত হামলা করেছে আমাদের ওপর। আমাদের মারতে, মারতে মাটিতে ফেলে দিয়েছে। আমিসহ আরো কয়েকজনকে বুট দিয়ে লাথি মেরেছে, লাঠি দিয়ে বারবার পিটিয়েছে। আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত হয়েছে, থেঁতলে দেওয়া হয়েছে আমাদের কয়েকজনের শরীর।’

একজন অধ্যাপককে বাঁচাতে গিয়ে নিজের একটি হাত ভেঙেছেন গণিতের ছাত্র নজরুল ইসলাম রাকিব, ‘মানব শিকলে হামলা করে তখন পুলিশ ছাত্র, শিক্ষক সবাইকে বেধড়ক মারধর করেছে। আমার সামনেই একজন প্রিয় অধ্যাপককে লাঠিচার্জ করা শুরু করলো তারা। থাকতে না পেরে, জীবনের পরোয়া না করে আমি বাধা দিতে এগিয়ে গেলাম। মার খেয়ে আমার বাম হাতের একটি আঙ্গুল ভেঙে গেল। শিক্ষকের ওপর আঘাত ঠেকাতে তখন দুই হাতের তালুতেও খুব ব্যথা পেয়েছি মারে।’ এখন তিনি চিকিৎসাধীন।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-সাস্টের আরেকটি কালো দিবসে তাদের মতো অন্তত ৫০ জন ছাত্র, ছাত্রী ভয়াবহ পুলিশী হামলার শিকার হয়েছেন। কেবল সাধারণ ছাত্র, ছাত্রীরাই নন, এই হামলা ঠেকাতে ও সবাইকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কমীরা। সাস্ট ছাত্রলীগের একজন কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তৌহিদকে লাঠি দিয়ে পেটাতে, পেটাতে পুকুরে ফেলে দিয়েছে পুলিশ বাহিনী। তিনি নৃবিজ্ঞানে পড়েন। এরপর পুলিশরা পানিতে নেমে ফের তাকে লাঠি দিয়ে বারবার মেরেছে। অজ্ঞান তৌহিদের জ্ঞান ফিরেছে হাসপাতালের বেডে। জ্ঞান ফেরার পরও তৌহিদ আতঙ্কিত হয়ে গিয়েছিলেন বলে স্বাক্ষ্য দিয়েছেন সহপাঠীরা।

লুকিয়ে নয়, জীবন বাঁচাতে বন্ধুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি মানুষ। শিক্ষার্থীদের পুলিশের মারধরের দৃশ্যে নিরবে কেঁদেছেন অনেকে। কেঁদেছেন তাদের সহপাঠী ও বন্ধুরা। তারা কেউ-ই ভালো নেই। হাসপাতালের ডাক্তারেদের চেম্বার ও বেড রুমে কাটছে জীবন । সজলকে চিকিৎসক জানিয়েছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যেতে হবে। তার সব চিকিৎসার খরচ শেখ হাসিনার তহবিল থেকে দেওয়া হবে জানিয়েছে সরকার। সজল বলেছেন, ‘আজ সোমবার আমাকে বিএসএমএমইউতে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল ইউনিবাসিটি) নিয়ে যাওয়া হবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বোর্ড বসিয়ে চিকিৎসা শুরু করবেন। সে অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হবে।’

এ ঘটনায় শিক্ষকদের প্রতি ছাত্র, ছাত্রীদের কষ্টের জন্ম হয়েছে জানিয়েছেন অনেক ছাত্র, ছাত্রী। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। পদার্থবিজ্ঞানের শাহরিয়ার আবেদীন বলেছেন, ‘ সাস্টের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ ও প্রক্টর ড. আলমগীর কবীরের উপস্থিতিতে সাধারণ ছাত্র, ছাত্রীদের ওপর পুলিশ হামলা করেছে। তারা কেউ পুলিশকে বাধা দেননি। আরো অনেক অধ্যাপক এসময় উপস্থিত ছিলেন। আমাদের ওপর পুলিশের হামলায় তারা পালিয়েছেন। কেউ-ই আমাদেরকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি। অধ্যাপকরা আমাদের সন্তানসম দাবি করেন অথচ সেদিন সব সন্তানকে পুলিশদের লাঠি ও গুলির সামনে রেখে তারা পালিয়ে বেঁচেছেন। এমন দৃশ্য বাংলাদেশের কোথাও ঘটেছে বলে আমার মনে হয় না। কীভাবে তারা আমাদের সন্তানের মতো দাবি করেন?’

ওএস/৩১ জানুয়ারি ২২

 

Header Ad
Header Ad

জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী

ছবিঃ সংগৃহীত

যানজটে আটকে থাকা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের গাড়ি বহরকে সাইড করে দিতে গিয়ে বাস চাপায় নিহত হয়েছেন জসিম উদ্দিন (৫৩) নামে জামায়াতের একজন কর্মী।

নিহত জসিম উদ্দিন উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের সৈয়দপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত আলী আশ্রাফ মোল্লার ছেলে। তার স্ত্রী ও শিশুসহ তিন ছেলে সন্তান রয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমাই উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার ওয়ালটন শো-রুমের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা মারুপ সিরাজী বলেন, লক্ষীপুর যাওয়ার পথে জামায়াত আমিরের বহরের ৪টি গাড়ি বাগমারা উত্তরবাজারে যানজটে আটকা পড়লে জামায়াতের নেতাকর্মীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। হঠাৎ তিশা পরিবহনের ঢাকামুখী একটি দ্রুতগতির বাস ধাক্কা দিলে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকারী জামায়াতের কর্মী জসিম উদ্দীনের মাথা থেতলে যায়। রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বাগমারা বাজারের ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম মুন্না বলেন, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হলেও বাগমারা বাজার অংশে অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে দুই লেন করা হয়েছে।সে কারণে ২৪ ঘণ্টাই সড়কের এই অংশে যানজট লেগে থাকে। যানজট নিরসনে পুলিশ দায়িত্ব পালন করলে আজ হয়তো এমন মৃত্যু হতো না।

লালমাই উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ইমাম হোসেন বলেন, আমিরে জামায়াত লক্ষীপুর যাওয়ার পথে বাগমারা উত্তর বাজার বালুর মাঠে পথসভা করেন। পথসভাস্থলে পৌঁছার কিছুক্ষণ আগে তাঁর গাড়ি বহর যানজটে আটকা পড়ে।

তখন আমিসহ সংগঠনের ১৫/২০ জন কর্মী ট্রাফিকের দায়িত্ব শুরু করি। আমরা আমিরে জামায়াতকে নিয়ে পথসভায় চলে যাওয়ার পর জামায়াতের কর্মী জসিম উদ্দিন বাস চাপায় মারা যান।

লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, বাগমারা উত্তরবাজারে বাস চাপায় জসিম উদ্দিন নামের একজন মারা গেছেন। মরদেহ নিহতের বাড়িতে রয়েছে। খবর পেয়েই নিহতের বাড়িতে গিয়েছি।

 

Header Ad
Header Ad

সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  

ছবিঃ সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর বাজারে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। পুলিশের আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং দলীয় অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল রায়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মজনু এবং যুবদল নেতা শহিদ মিয়ার লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপি ও যুবদলের অস্থায়ী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে মধ্যনগর বাজার এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনার আশঙ্কা এবং সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার আগে পর্যন্ত বাজার এবং আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ করা হয়।

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজীব রহমান বলেন, ‘মধ্যনগর যুবদল নেতা শহিদ মিয়া ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাঈযুম মজনুর লোকজনের মধ্যে পুলিশের আসামি ধরা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন বিএনপি ও যুবদলের অফিস ভাঙচুর করে। এতে বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ী ও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাজার ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। বিশৃঙ্খল অবস্থা এড়াতে বাজারে পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাজার ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

Header Ad
Header Ad

একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  

ছবিঃ সংগৃহীত

বেসরকারি টেলিভিশন একুশে টিভি (ইটিভি) ভাঙচুরের হুমকির অভিযোগ উঠেছে এক জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে। এর আগে, ওই টিভি চ্যানেলের এক সংবাদকর্মীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।

এ ঘটনায় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তেজগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে ইটিভি কর্তৃপক্ষ। জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, একুশে টেলিভিশন এবং এর কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তাই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন বলেন, ‘মান্ডা এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে দাঁড়ানো নিয়ে জামায়াতের এক নেতার সঙ্গে ইটিভির এক সংবাদকর্মীর তর্ক হয়। পরে ওই নেতা টেলিভিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বার্তা পাঠিয়ে ক্যামেরাম্যানকে চাকরিচ্যুত না করলে চ্যানেল ভাঙচুরের হুমকি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি আইনগতভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এ জন্য একটি জিডি নেওয়া হয়েছে।’

এদিকে, ইটিভির নিরাপত্তা সুপারভাইজার আল আমিন তেজগাঁও থানায় একটি জিডি করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মান্ডা গ্রিন মডেল টাউন অডিটোরিয়ামে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বনির্ধারিত একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠান কাভার করতে ইটিভির ক্যামেরাপারসন মোহাম্মদ রুমি হাসান তালুকদার সেখানে যান। এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সহকারী সাইফুল ইসলাম মিঠুর সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়।

এরপর মিঠু হোয়াটসঅ্যাপে ইটিভির কয়েকজন সাংবাদিককে মেসেজ পাঠান। সেখানে একটি ছবি সংযুক্ত করে তিনি লেখেন, ‘চাকরিচ্যুত করতে হবে এ ক্যামেরাম্যানকে, না হলে একুশে টেলিভিশন ভাঙচুর হবে।’

এ হুমকির ঘটনায় একুশে টেলিভিশন এবং এর কর্মীরা আতঙ্কে রয়েছেন। জিডিতে ইটিভির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং হুমকিদাতা জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে সাইফুল ইসলাম মিঠুর মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ওদিকে নগর জামায়াতের পক্ষ থেকে এক বার্তায় জানানো হয়, সাইফুল ইসলাম মিটু প্রচার সহকারী নন তিনি মহানগরী দক্ষিণ প্রচার বিভাগে কর্মরত কর্মচারী। ইতিমধ্যে তার তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং ইটিভি কতৃপক্ষকে এ বিষয় নিয়ে দু:খ প্রকাশ করা হয়েছে।বিষয়টা মিটমাট হয়ে গেছে।

বার্তায় বলা হয়, সে যা করেছে তা অমার্জনীয় অপরাধ। সংগঠন অবহিত হওয়ার সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ
বিয়ের ছবি ভাইরাল, বললেন শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ
বাংলা ভাষায় মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন সৌদি রাষ্ট্রদূত