চবির নতুন উপাচার্য হলেন অধ্যাপক আবু তাহের
ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নতুম উপাচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও চবির ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনক্রমে তাকে উপাচার্য পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ এর ১২ (২) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সাময়িকভাবে দায়িত্ব প্রদান করা হলো।
আরও বলা হয়েছে, উপাচার্য পদে থাকা অবস্থায় তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি পাবেন এবং বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও আচার্য প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সময়ে এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
উপাচার্য হিসেবে সদ্য নিয়োগ পাওয়া অধ্যাপক মো. আবু তাহেরের জন্মস্থান চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়। সেখানকার কাঞ্চনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পর চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ কোরিয়ার ইনহা, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর শিক্ষা অর্জন করেন তিনি।
১৯৮৫ সালে তিনি বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি কমার্স কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে তিনি অধ্যাপক পদে পদায়ন পান।
অধ্যাপক আবু তাহিরের দীর্ঘ কমর্জীবনের সফলতা ও গবেষণায় সুখ্যাতি রয়েছে। তার লেখা ১৭টি বই অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ে পাঠ্য হিসেবে পাঠদান করা হয়। দেশে-বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে তার প্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যা ১০৭ এর অধিক।
এর আগে, চবির সদ্য সাবেক উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ে তিনি তার নেতিবাচক নানান কর্মকাণ্ডের জন্য বেশ সমালোচিত হন। গত বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর থেকে নতুন উপাচার্য নিয়োগের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল।