বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মন্দিরের নিমার্ণ শুরু হলো
ইফতেখার আহমেদ ফাগুন
বাংলাদেশের কৃষি শিক্ষার উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’র কেন্দ্রীয় মন্দিরটি বানানো শুরু হলো। এ বছরের ৮ জানুয়ারি সকাল ১১ টায় মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস স্ট্যান্ডের পাশে মন্দিরের নিধারিত জায়গায় নিমার্ণ কাজের উদ্বোধন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার।
বিশ্ববিদ্যালয়টির মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন, সিলেটের সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির অন্যতম সদস্য ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুণ্ডু তার সঙ্গে ছিলেন। পরে ড. মৃত্যুঞ্জয়ের সভাপতিত্বে এই উপলক্ষে আয়োজন করা সভায় প্রধান অতিথিও ছিলেন ভিসি স্যার। তাতে অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন হচ্ছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্দিরটির নিমাণ কাজের শুরু তারই অংশ।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরো বলেছেন, ‘আমি জানি, আজকের এই বিশেষ দিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অসাম্প্রদায়িক চেতনার জন্য গৌরবময়। আমাদের ক্যাম্পাসের হিন্দু ধর্মের মানুষদের জীবনে অন্যতম মাইলফলক দিনও বটে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিন্দু ধমীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের অন্যতম ট্রাষ্টি ইঞ্জিনিয়ার পি কে চৌধুরী। তিনি সিলেটের এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের তরফে ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশেদ আল-মামুন, রেজিষ্টার মো, বদরুল আলম শোয়েব আলোচনা করেছেন।
অনুষ্ঠান শেষে সিকৃবির সাংবাদিক ছাত্র, ছাত্রীদের অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুণ্ডু বলেছেন, ‘সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে হিন্দু ধমীয় কল্যাণ ট্রাষ্ট্রের টাকায় মন্দিরটির নিমাণ শুরু হলো। এটি হবে পূর্ণাঙ্গ মন্দির। তাতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নিজে টাকা দেবে জানিয়েছেন ভিসি স্যার।’
অনুষ্ঠানে অসাম্প্রদায়িক চেতনার শিক্ষকরা ছাড়াও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, অনুষদগুলোর ডিন; হিন্দু ধর্মের অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, কর্মকতা, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। আরো ছিলেন নানা বিভাগের ছাত্র, ছাত্রীরা।
ওএস/২৬-১-২০২২।