বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিদায়ে ক্যাম্পাসে মিষ্টি বিতরণ
ছবি: সংগৃহীত
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য (ভিসি) ড.মো. ছাদেকুল আরেফিন বিদায় নিয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীদের ফুল দিতে দেখা যায়নি। পরের দিন শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মিষ্টি বিতরণ করেছেন।
উপাচার্যের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে সোমবার (৬ নভেম্বর) বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নীচ তলায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এর আগে রোববার মধ্যরাতে চার বছর মেয়াদ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির তৃতীয় উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন। ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের এই শিক্ষক।
মিষ্টি বিতরণকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, বিদায়ী ভিসি স্যারের কাছে কেউ কোনো দাবি নিয়ে গেলে তিনি সেগুলোর সমাধানে কোনো উদ্যোগ নিতেন না। কোনো শিক্ষার্থী অপরাধ করলে তদন্ত কমিটি হয়, কিন্তু বিচার করা হতো না।
ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ইরাজ রব্বানী বলেন, নানা সংকটে জর্জরিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এই উপাচার্য স্যারের আমলে উন্নতির চেয়ে অবনতিতে এগিয়ে গেছে। গত চার বছরে বিদায়ী ভিসি স্যার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কাঙ্ক্ষিত কোনো উন্নয়ন করতে পারেননি। তার প্রস্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আজকের প্রোগ্রাম করেছে।
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন মনজু বলেন, গত চার বছর আগে উপাচার্য হয়ে ববিতে আসার মাধ্যমে ভিসি বিরোধী আন্দোলন সফল হয়। নতুন ভিসিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের অনেক আশা ভরসা ছিল। অন্তত ছোট্ট এই ক্যাম্পাসের একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়ন করবেন। সাংগঠনিকভাবে একাধিকবার তার কাছে দাবি নিয়ে গিয়েছিলাম। তার বক্তব্য ছিল তার কাছে টাকা নাই। অথচ ইউজিসি কর্মকর্তাদের সন্তুষ্ট করার জন্য বাজেটের টাকা ইউজিসিতে ফেরত দিয়েছেন। আসলে তার মেরুদণ্ডই ছিল না। ভিসি হিসেবে তিনি মোটেই যোগ্য নন। স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করেছেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে তিনি চারটি বছর পিছিয়ে দিয়েছেন।