শাবিপ্রবি
তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনের অভিযোগ ‘অযৌক্তিক'
আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনের অভিযোগ ‘অযৌক্তিক’ বলে দাবি করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বহিরাগত প্রবেশ রোধে ফটকে চলছে পরিচয় যাচাই।
শিক্ষার্থী বলেছেন, স্বৈরাচারী উপাচার্যের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বাঁধন ছিন্ন হয়ে গেছে। আমরা আর তাকে চাই না। তার পদত্যাগের দাবিতেই আমরা আন্দোলন করছি। এখানে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনের অভিযোগ অযৌক্তিক।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় প্রেস ব্রিফিং করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে মুহাইমিনুল বাশার বলেন, ‘আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এখানে বহিরাগতের সম্পৃক্ততার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। তাই আজ সকাল ৮টা থেকে আমরা সকলের পরিচয় যাচাই করে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের সুযোগ দিচ্ছি।’
এসময় তাদের এ আন্দোলন অহিংস হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনশন যখন ১০০ ঘণ্টায় যায় তখন বাধ্য হয়েই আমরা উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেই।’
মুহাইমিনুল বাশার বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের অনশকারীরা যখন বাথরুমে যাচ্ছে তখনো আমরা পহারায় আছি। এটা আপনারাই দেখছেন। দীর্ঘ অনশনে আমাদের সহপাঠীদের শারীরিক অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে তখন এমন প্রশ্ন বড়ই বেদনাদায়ক।’
এদিকে সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে প্রবেশকারীদের পরিচয় যাচাই করতে দেখা গেছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি দল প্রবেশকারী সবার পরিচয় শনাক্ত করে একটি খাতায় নাম-পরিচয় লিখে তবেই প্রবেশ করতে দিচ্ছেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অনশনকারী ১৫ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ ছাড়া নতুন করে গত শনিবার (২২ জানুয়ারি) থেকে গণঅনশনে যুক্ত হয়েছেন আরও ৫ জন। তবে শুরুতে অনশনে যুক্ত হওয়াদের মধ্যে একজন বাবার অসুস্থতাজনিত কারণে চলে গেলেও বর্তমানে অনশনে আছেন ২৮ জন।
এদিকে, রবিবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে বিচ্ছিন্ন করা হয় উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইন্টারনেট সেবাও। সেইসঙ্গে মানবদেয়াল তৈরি করে বন্ধ করে দেওয়া হয় বাসভবনে মূল ফটক। ফলে কার্যত অবরুদ্ধ উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ। তবে বিকল্প বিদ্যুতে চলছে উপাচার্যের বাসভবন।
এ দিকে, উপাচার্যের বাসভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। এমনকি সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এর নিন্দা জানানো হয়।
এসইউ/এমএসপি