বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৪ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘হল চাই, বাস চাই, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কার চাই’

রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন করেছেন। মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল দশটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত কলেজের মূল ফটকের সামনে রাস্তা অবরোধ করে এ আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় উত্তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে হল চাই, বাস চাই, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কার চাই, শ্রেণিকক্ষ সংকট নিরসনসহ নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরান ঢাকা।

শিক্ষার্থীদের দাবি গুলো হলো-বন্ধ হওয়া দুটি বাস পুনরায় চালু করা এবং শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য নূন্যতম ৫টি বাস, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন শিগগির সংস্কার, অন্যথায় ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ; শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য আবাসন সুবিধা (হল) নিশ্চিত, শ্রেণিকক্ষ সংকট নিরসন, কলেজের শৌচাগারগুলো ব্যবহার উপযোগী করা, শ্রেণিকক্ষে আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম করা, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কলেজ প্রশাসন/ শিক্ষকদের সুন্দর আচরণ এবং আন্দোলন করলে শিক্ষার্থীর ক্লাস পরীক্ষায় দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া বন্ধ, কলেজের মাঠ ব্যবহারের উপযোগী করা, চিকিৎসা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত মেডিসিন ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

আফিফা আক্তার জিদনী নামের আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, কলেজ প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবিদাওয়া নিয়ে যাওয়ার পর তারা আমাদের গুরুত্ব দেয়নি। তারা আমাদের সঙ্গে উল্টো খারাপ আচরণ করেছেন। আমাদের কলেজে শুধু নেই আর নেই। পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ নেই, বাস নেই পড়াশোনার পরিবেশ নেই, মেডিকেল সেন্টারে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নেই। এই কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই আমারা এ সকল সমস্যা দেখে আসছি। প্রথম প্রথম কলেজ প্রশাসন আশ্বাস দিলেও আদতে তার কোনো সমাধান হয়নি।

আন্দোলনরত শাহরিয়ার নামের আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো টানা দুই ঘণ্টা আন্দোলন করার পরেও আমাদের কথা শুনতে কলেজ প্রশাসন আসেনি। এর আগে আমরা অধ্যক্ষের কার্যালয়ে গিয়েছি আমাদের দাবি নিয়ে। আমাদের সঙ্গে তারা কুকুরের মতো আচরণ করেছে। তাই আজকে আন্দোলনের অন্যতম একটা দাবি আমাদের কথা শুনতে হবে, আমাদের দাবি মানতে হবে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সুন্দর আচরণ করতে হবে।’

এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, এখানে ভর্তি হওয়ার পর থেকে শুনছি সমস্যার সমাধান হবে হবে কিন্তু আর হলো না। যে অভিভাবক শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা না শুনে উল্টো টিসি দেওয়ার হুমকি দেয় এমন অভিভাবক আমরা চাই না। তিন ঘণ্টা ধরে আমরা আন্দোলন করছি অথচ কেউ আমাদের এখনো এই আশ্বাস দেয়নি যে এতদিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে। আমরা আজ রাজপথে নেমেছি। আবারও নামব। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। এটা আমাদের অধিকার। শিক্ষার্থীরা জানে কীভাবে অধিকার আদায় করতে হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়ার সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের সভাপতি এম ওয়াসিম রানা বলেন, শিক্ষার্থীদের সকল দাবি যৌক্তিক। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে ছিল এবং থাকবে। শিক্ষার্থীদের সকল যৌক্তিক দাবি পূরণ ও বাস্তবায়নের জন্য আমরা কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করব।

কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাওলাদার বলেন, ছাত্রলীগের প্রধান কাজই শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো। শিক্ষার্থীরা যেসকল দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে এই কলেজের শিক্ষার্থী হিসেবে সেসকল দাবি আমারও। ছাত্রলীগ সবসময় শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যায় পাশে ছিল এখনো আছে। শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ হওয়া পর্যন্ত কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই ছাত্রনেতা।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামানোর জন্য সড়কে আসেন কবি নজরুল সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. খালেদা নাসরীন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমার সড়কে ঝামেলা না করে কলেজের ভেতরে আসো। তোমাদের দাবি আমরা শুনব এবং কীভাবে সমাধান করা যায় তা নিয়ে একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা করব।

এ বিষয়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমেনা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং সরাসরি দেখা করার পরামর্শ দিয়েছেন।

এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা ফের তদন্ত করা উচিত: হাইকোর্ট

ছবি: সংগৃহীত

যথাযথ ও বিশেষজ্ঞ সংস্থার মাধ্যমে নতুন করে তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো উচিত বলে অভিমত দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিতে যথাযথ ও বিশেষজ্ঞ সংস্থার মাধ্যমে এই মামলার তদন্ত করা উচিত। এই পর্যবেক্ষণের আলোকে যথাযথ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আদেশের অনুলিপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৭৯ পৃষ্ঠা করে পৃথক দুটি মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।

এর আগে গত ১ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে ৪ দিন মামলাটির শুনানি হয়। শুনানি শেষে রায়ের জন্য ওই দিন ধার্য করা হয়েছিল।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার, রাসেল আহমেদ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল লাবনী আক্তার। আবদুস সালাম পিন্টুসহ দণ্ডিত বেশ কয়েকজনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান। এছাড়া লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আরও তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। এছাড়া বিএনপির নেতাদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, জাকির হোসেন, ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, মাকসুদ উল্লাহ প্রমুখ।

এ মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এ ছাড়া সেনাবাহিনী ও পুলিশের সাবেক ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে ৪৯ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছিল।

পরে ওই বছরের ২৭ নভেম্বর মামলার বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে। পাশাপাশি কারাবন্দি আসামিরা আপিল করেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এ মামলার আপিল শুনানি বিচারপতি সহিদুল করিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুরু হয়। এর মধ্যে ওই বেঞ্চ পুর্নগঠন হয়। এ কারণে নতুন বেঞ্চে আবার শুনানি শুরু হয়।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে মামলাটির শুনানি শেষ পর্যায়ে গেলেও সরকার পরিবর্তনের পর গত ৩১ অক্টোবর মামলাটির পুনরায় শুনানি শুরু হয়। তবে শুনানি শেষে গত ২১ নভেম্বর মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখেন হাইকোর্ট। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.জসিম সরকার। অপরদিকে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও শিশির মনির।

Header Ad
Header Ad

‘আর অপেক্ষা করতে পারছি না, ভিডিও বার্তায় হামজা

হামজা চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের হয়ে খেলার জন্য ফিফার কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমতি পেয়েছেন হামজা চৌধুরী। দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে সুখবর পাওয়ার পর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার।

হামজার একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছে বাফুফে। ২৬ বর্ষী ফুটবলার তাতে বলেছেন, ‘সবাইকে শুভেচ্ছা। আমি সত্যি ভীষণ আনন্দিত। বাংলাদেশের হয়ে খেলার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছি না। আশা করি সবার সঙ্গে দ্রুতই দেখা হবে, বিদায়।’

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বাফুফে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ফিফার ফুটবল ট্রাইব্যুনালের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস চেম্বার হামজাকে বাংলাদেশের হয়ে অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছে। বাফুফের প্রত্যাশা, হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি দেশের ফুটবলের নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেসগের সাফল্যের সমূহ দ্বার উন্মুক্ত করবে।

হামজা চৌধুরীর নানা বাড়ি বাংলাদেশের হবিগঞ্জে। ছোটবেলায় সেখানকার আলো-বাতাস না পেলেও বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। এই ফুটবলার খেলেছেন ইংল্যান্ডের যুব দলে। লেস্টার সিটির এই ফুটবলার মাঝে ধারে বুরটন আলবিয়নের পর খেলেছেন ওয়াটফোর্ডেও।আড়াই মাস আগে ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) কাছ থেকে সম্প্রতি অনাপত্তিপত্র পেয়েছেন হামজা।

সম্প্রতি দেশের একটি দৈনিক পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা হামজা বলেছিলেন, ‌‘বাংলাদেশের মানুষ চান, আমি সেখানে খেলি। তারা আমাকে অনেক ভালোবাসেন। আমিও বাংলাদেশকে ভালোবাসি। এ কারণে সিদ্ধান্ত নিই, তাদের হয়ে খেলব। মা-বাবাও অপেক্ষায় আছেন। তারা চান, আমি যেন বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামি। তারা এটা (বাংলাদেশের হয়ে খেলা) দেখতে পারলে অনেক খুশি হবেন।’

বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে ভাষাটা রপ্ত করার চেষ্টা করছেন এই ইংল্যান্ড প্রবাসী ফুটবলার। তিনি বলেন, ‌‘বাংলা ভাষা একটু একটু পারি। আগে তেমন পারতাম না। বাবা আমাকে কিছুটা শিখিয়েছেন। মাঝেমধ্যে গুগলের সহায়তাও নিই। এভাবে বাংলা শেখার চেষ্টা করছি।’

বর্তমানে হামজা বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী ব্যক্তি। তিনি সবুজ পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন চলতি বছরের জুনে। লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনে তার পাসপোর্ট এসে গিয়েছিল মাসখানেকের মধ্যেই। লেস্টার সিটির হয়ে প্রাক মৌসুম প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকায় বাংলাদেশি পাসপোর্টটা গ্রহণ করতে পারছিলেন না হামজা। অবশেষে ২৩ আগস্ট হামজার পক্ষে পাসপোর্টটি গ্রহণ করেন তার মা রাফিয়া চৌধুরী।

Header Ad
Header Ad

ডাকাতদলের একজনের বাড়ী গোপালগঞ্জে

ছবি: সংগৃহীত

কেরানীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকের জিনজিরা শাখায় ডাকাতির চেষ্টা করে তিন কিশোর। আটক করার পর তাদের কাছে ১৮ লাখ নগদ টাকা এবং চারটি খেলনা পিস্তল ও দুটি দেশীয় ছুরি পাওয়া যায়। গ্রেফতারকৃত তিন জনের মধ্যে দুজন কেরানীগঞ্জ ও আরেকজনের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর কলে ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা ও জিম্মি তথ্য পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। আমরা নানাভাবে ডাকাতদের বুঝিয়ে আশ্বস্ত করেছি। প্রথমে তাদের কাছ থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে নানাভাবে বুঝিয়ে পুলিশের জিম্মায় নেই।

আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতরা জানিয়েছেন, তারা কোনো চলচ্চিত্র বা ভিডিও গেমস দেখে একটি ফ্যান্টাসিতে ভুগে এই কাজ ঘটিয়েছে। তারা ১৮ লাখ টাকা ব্যাগে নিয়েছিলো। এই টাকা দিয়ে একজন কিডনি রোগীকে সাহায্য করার কথা জানিয়েছে। পাশাপাশি এই টাকা দিয়ে আইফোন কেনার পরিকল্পনা ছিল তাদের বলে জানিয়েছে।

ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আটককৃতরা হলেন- শারাফাত, শিফাত ও নিরব। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া চারটি পিস্তল আসল নয়, খেলনা বলে নিশ্চিত করেছেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আল হাসান। তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ৪টি খেলনা পিস্তল, ২টি চাকু ও একটি ড্রিল মেশিন।

গ্রেফতারকৃত তিন ডাকাত
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ডাকাতরা ব্যাংকে ঢোকে। এ সময় পাশের মসজিদের মাইক থেকে ডাকাতির খবর জানানো হলে স্থানীয় কয়েকশ লোক ব্যাংকের ওই শাখা ঘিরে ফেলেন ও বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে পুলিশ, র‍্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাংকটি ঘেরাও করে রাখে।

জানা গেছে, ব্যাংকে ডাকাত দলের হানা দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করে। এ সময় নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক সংলগ্ন মূল সড়কের উভয় পাশের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ডাকাত দলকে আত্মসমর্পণের জন্য পাশের মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেষ্টায় সন্ধ্যার দিকে আত্মসমর্পণ করে তারা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা ফের তদন্ত করা উচিত: হাইকোর্ট
‘আর অপেক্ষা করতে পারছি না, ভিডিও বার্তায় হামজা
ডাকাতদলের একজনের বাড়ী গোপালগঞ্জে
কিডনি রোগীকে সাহায্য করতে ডাকাতির চেষ্টা
গ্রাহক সেজে ম্যানেজারকে পিস্তল ঠেকায় ডাকাতরা
ইজতেমা যথাসময়ে হবে, সহিংসতাকারীদের ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আ.লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা নেই : বদিউল আলম মজুমদার
বন্ধুত্বের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশকে ৬৮৫ ভারতীয় নাগরিকের খোলা চিঠি
সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর ডাকাতদের আত্মসমর্পণ, ভল্ট ও জিম্মিরা অক্ষত
সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
কেরানীগঞ্জে ব্যাংকে ডাকাত; ভেতরে জিম্মি ১৫ জন
পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ কুবিতে ছাত্রদলের ব্যানারে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ
রাজশাহীতে বিএনপির মাইকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান, দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল  
সেন্টমার্টিনে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
কেরানীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকে ডাকাত, ঘিরে রেখেছে র‍্যাব-পুলিশ
সংস্কারপন্থীদের কারণে বিভেদ বিএনপিতে, ত্যাগীদের ক্ষোভ
লোকসভায় ধস্তাধস্তি; রাহুলের ‘আঘাতে’ বিজেপির ২ এমপি আহত
এক হাজার ৯২ কোটি টাকার মামলা এস আলমের ছেলের বিরুদ্ধে
প্রতিপক্ষের বুটের আঘাতে রক্তাক্ত দোন্নারুম্মার মুখ