এবার গণ-অনশনের ঘোষণা শাবি’র শিক্ষার্থীদের
এবার গণ-অনশন কর্মসূচির শুরু করলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২২ জানুয়ারি) রাত ৮টায় গণঅনশন শুরু করেন তারা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা গণঅনশন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন তিন শিক্ষার্থী।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রেস ব্রিফিং করে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
এ সময় আন্দোলনকারীদের মধ্যে ইয়াসির সরকার বলেন, 'আমাদের সহযোদ্ধারা এখন সংকটাপন্ন অবস্থায়। তাদের জীবন হুমকির মুখে। এমন সময়ও উপাচার্য ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছেন। তাই আমরা সবাই গণ-অনশন শুরু করবো।'
কখন গণঅনশন শুরু হবে এমন প্রশ্নে ইয়াসির বলেন, '৮টা থেকে আমরা এ কর্মসূচি শুরু করছি। তবে অনশনে বসতে অল্প বিলম্ব হতে পারে।'
এর আগে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে বিকাল ৩টায় কাফনে মোড়ানো একটি প্রতীকী লাশ নিয়ে 'মৌনমিছিল' করে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে প্রথমে প্রায় ১০ মিনিট নীরব দাঁড়িয়ে থেকে শিক্ষার্থীরা জানান মৌন প্রতিবাদ। এর পর কারও সঙ্গে কোনো কথা কিংবা শ্লোগান ছাড়াই ‘মৌনমিছিলটি’ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেতনা-৭১ পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে। সেখানে কয়েক মিনিট অবস্থানের পর ফের লাশ বহন করে নিয়ে আসা হয় গুল চত্বরে। সেখানে অন্তত ১০ মিনিট লাশ সামনে রেখে গোল হয়ে বসেন শিক্ষার্থীরা। এরপর শেষ হয় মিছিলটি।
‘মৌনমিছিল’ চলার সময় কোনো শ্লোগান না হলেও শেষে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘চারদিন থেকে ২৪ জন মানুষ অনশন করছে। তাদের জীবন হুমকির মুখে রেখে উপাচার্য এখনও দায়িত্ব আঁকড়ে বসে আছেন। সুতরাং আমরা তার নতুন নাম দিচ্ছি- ‘বিশ্ব বেহায়া দ্য সেকেন্ড’। এমনকি প্রথম বেহায়াদের মতোই তাকেও সরিয়ে দেওয়া হবে। যদি সকল শিক্ষার্থী মারা যান তবুও এই নির্লজ্জ উপাচার্যের পদত্যাগ দাবির আন্দোলন থামবে না।’
এদিকে দীর্ঘ সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনশনে থাকা ২৪ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বেলা আড়াইটায় ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। হাসপাতাল থেকে কিছুটা সুস্থ বোধ করলে একজন ফিরেছেন অনশনস্থলে।
অনশনরতদের চিকিৎসা সহায়তার কাজে নিয়োজিত চিকিৎসক দলের প্রধান নাজমুল হাসান বলেন, ‘যারা হাসপাতালে ভর্তি তাদের মধ্যে দুজনের শ্বাসকষ্ট থাকায় নেবুলাইজেশন দিতে হচ্ছে। একজনের অবস্থা খুব খারাপ। তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি। ওখানকার বিভাগীয় প্রধান জানিয়েছেন মুখে খাবার দিতে না পারলে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। অপর একজনের অবস্থা খারাপের দিকে। এছাড়া অনশনস্থলে যারা আছেন তারাও অসুস্থ। এ অবস্থায় থাকলে তাদের শরীর আরও খারাপের দিকে যাবে।’
এসইউ/এএন