'বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়ে গেছেন লড়াই করে বাঁচতে হবে'
'বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়ে গেছেন লড়াই করে বাঁচতে হবে, দিনমজুর একহও, যতদিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ পথ হারাবে না বাংলাদেশ' লিখিত ব্যানার পোস্টারসহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালার আলোকে, উচ্চতর স্কেল/উচ্চতর ধাপ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯১ তম সিন্ডিকেট সভার ৯/১ (খ) সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওয়ারিশ সূত্রে চাকুরী ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দিক বিবেচনা করে ওভার টাইম বৃদ্ধি এবং ডাইনিং হলের কর্মচারীদের ৭ জনের ওভার টাইমের পরিবর্তে ১৫ জন ডাইনিং কর্মচারীদের ওভার টাইম প্রদানসহ কর্মচারী ইউনিয়ন কতৃক পেশকৃত ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ইউনিয়ন।
বুধবার(২২ মার্চ) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই মানববন্ধন করেন কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন। পরে এই মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক হামিদ হাসান নোমানী।
এসময় সভাপতি মোহাম্মদ আলী হোসাইন বলেন,আমাদের ৭ দফা দবি যৌক্তিক, আমাদের উচ্চস্তরের ধাপগুলো যৌক্তিক। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের কাছে বারবার আমাদের দাবিগুলো জানিয়েছি। তিনি বলেছেন আমাদের উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করাবেন কিন্তু করান নাই। আমরা ইচ্ছা করলে তাকে টপকে উপাচার্যের সাথে দেখা করতে পারতাম। কিন্তু করি নাই। তিনি আমাদের অভিভাবক। আমরা চাই তিনি আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো নিয়ে কথা বলবেন।
তাদের এই মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক হামিদ হাসান নোমানী বলেন, কর্মচারী ইউনিয়নের এই যৌক্তিক দাবিকে কেউ যদি থামানোর চেষ্টা করতে চায় অফিসার সমিতি সহ কর্মচারী ইউনিয়নকে নিয়ে মাঠে নামবে। লাল পতাকার মিছিল কিন্তু এখনো নামে নাই। বঙ্গবন্ধু যদি চতুর্থ শ্রেণির দাবি আদায়ের জন্য জেল খাটতে পারে আমার অফিসার সমিতি ও জেল খাটতে রাজি আছে।
এসময় বক্তারা আগামী সিন্ডিকেটে তাদের দাবিগুলো মেনে না নিলে আগামী ২৭ তারিখ ২ ঘন্টার জন্য কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুশিয়ারী দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.নূরুল আজিম সিকদার আশ্বাস দিলে দুপুর ১২ টায় তারা মানববন্ধন সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এসময় প্রক্টর বলেন,আমি উপাচার্য ম্যামের সাথে কথা বলেছি তিনি আশ্বাস দিয়েছেন আপনাদের আন্দোলন মেনে নিবেন। উল্লেখ্য, গতবছরের জুনের ৫ তারিখ ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী ইউনিয়নের এক সাধারণ সভায় ৭ দফা দাবি পাস করা হয়।
দাবিগুলো:
১. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালার আলোকে পূর্ণের ন্যায় ২০, ২৫, ২৭ ও ৩০ উচ্চতর স্কেলের জন্য দাবি জানাচ্ছি।
২.৩১তম সিন্ডিকেট সভার ৯ এর 'ক' সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওয়ারিশ সূত্রে কর্মচারীদের ছেলেমেয়েদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুরী প্রদান করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
৩. দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতি দিক বিবেচনা করে ওভার টাইম বৃদ্ধি এবং ডাইনিং হলের কর্মচারীদের ৬ জনের ওভার টাইমের পরিবর্তে ১৫জন ডাইনিং কর্মচারীদের ওভার টাইম প্রদান করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
৪. চ.বি. বিভিন্ন হলে কর্মরত, ভোজনালয় সহকারী, মালী, প্রহরী, ঝাড়ুসারদের অনার্স ভর্তি পরীক্ষায় ১ দিনের সম্মানির পরিবর্তে ৮টি অনার্স ভর্তি পরীক্ষার সম্মানি প্রদান করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
৫. কর্মচারী ইউনিয়ন এবং কর্মচারী সমিতির যৌথ ফিল্ডিং নির্মাণ করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
৬. সম্মানিত শিক্ষক এবং অফিসারদের ছেলে মেয়ের ন্যায় সংরক্ষিত বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদে একটি করে আসন ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারীদের ছেলে মেয়েদের বরাদ্দ করার জন্য কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি।
৭. ৪ চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারীদের সুনির্দিষ্ট পদোন্নতির নীতিমালা প্রণয়ন করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
এএজেড