জাবির একটি ভবন ভেঙে ফেলতে রাজউকের সুপারিশ
ভূমিকম্পের ঝুঁকি বিবেচনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একটি ভবন ভেঙে পুননির্মাণ পাশাপাশি আরও পাঁচটি ভবন মজবুতকরণ করে ব্যবহার করার সুপারিশ করেছে রাজধানী নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে রাজউকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের আওতায় করা ভূমিকম্প ঝুঁকি মূল্যায়ন বিবেচনায় এ সুপারিশ করা হয়েছে। আরবান রেজিলিয়েন্সের প্রকল্প পরিচালক আবদুল লতিফ হেলালী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আবদুল লতিফ হেলালী বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১১৩টি ভবনের র্যাপিড ভিজ্যুয়াল স্ক্রিনিং অ্যাসেসমেন্ট (আরভিএসএ), ৩৫টির প্রিলিমিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট (পিইএ) ও ১৩টির ডিটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট (ডিইএ) করা হয়। এর মধ্যে একটি ভবন ভেঙে পুনর্নির্মাণ ও পাঁচটি ভবন মজবুতকরণের মাধ্যমে ব্যবহার করার সুপারিশ করা হয়েছে।
রাজধানী নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল সাত দিনের মধ্যে ভেঙে পুনর্নির্মাণের সুপারিশ পাশাপাশি আরও পাঁচটি ভবন মজবুতকরণ করে ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। পাঁচটি ভবন হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পুরোনো কলাভবন, নতুন কলাভবন, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ জানান, এ মাসের শুরুতে (১ মার্চ) এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি আসে। কিন্তু চিঠিতে ভবনের সংখ্যা ও কোড থাকলেও ভবনের নাম সুনির্দিষ্ট করা ছিল না। এ জন্য ভবনের নাম সুনির্দিষ্ট করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়।
রাজউক বলেছে সাত দিনের মধ্যে মীর মশাররফ হোসেন হল ভেঙে ফেলতে। কিন্তু একটা ভবন তো চাইলেই সাত দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলা যায় না। হল ভাঙার সঙ্গে অনেক শিক্ষার্থী স্থানান্তরের বিষয়সহ অনেক কিছু জড়িত। এ জন্য সিন্ডিকেটে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, রাজধানী নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) সূত্রে জানা গেছে, ঝুকিপূর্ণ ভবনগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে খালি করার নির্দেশনা দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি। প্রথমে কর্তৃপক্ষকে নিজ উদ্যোগে ভেঙে ফেলতে দুই মাস সময় বেঁধে দেওয়া হবে। তা না হলে রাজউক ভবন গুঁড়িয়ে দিয়ে মালিকপক্ষের কাছ থেকে খরচ আদায় করবে।
এএজেড