পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অপসারনের দাবিতে অফিস অবরোধ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. সালাহউদ্দিনের অপসারণের দাবিতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস অবরোধ করেন শাখা ছাত্রলীগের একাংশ। সোমবার (১৫ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ভবন তালা মেরে ভবনের সামনে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবদুস সালাম বিষয়টি ঢাকা প্রকাশকে নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, 'হ্যা, ছাত্রলীগ অবরোধ করেছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অপসারণের দাবিতে এই অবরোধ'। আন্দোলনরত শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দাবি হলো, স্বাধীনতা বিরোধী কোন শক্তি যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে না থাকতে পারে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আররাফি চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী কোন শক্তি যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে না থাকতে পারে সেজন্য আমরা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস ঘেরাও করেছি। আমরা জনতে পেরেছি তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের একাধিক বিবৃতিতে তার নাম উল্লেখ আছে। আমরা চাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিরোধী কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে না থাকুক।আমরা তার অপসারনের দাবি জানায়।
এর আগে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে বিএনপিপন্থী শিক্ষককে দায়িত্ব প্রদানের অভিযোগ উঠেছে খোদ জাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে। গত রবিবার (১লা জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক রেজিষ্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. সালাহউদ্দিনকে সাময়িক এই দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে অধ্যাপক সালাউদ্দিন বলেন, 'আমি অফিসের ভেতরেই আছি, কাজ করেছি। ছাত্রলীগের কিছু ছেলে এসেছিলো, ওরা মনে হয় এখনো নিচে আছে কয়েকজন। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে (বিএনপিপন্থি রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার) এসব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে নাই। এটা অনেক আগেই প্রমাণিত'।
তবে শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, 'সাধারণ শিক্ষার্থীর স্বার্থে ও বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষার থাকায় তালা খুলে দেওয়ার আশ্বাস দেয় ছাত্রলীগ৷ এবং আজকের মধ্যে দাবি না মানলে আগামীকাল থেকে পুনরায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে বলে জানায় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা'৷
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ.স.ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, 'আমরা ছাত্রলীগের দাবিগুলো শুনেছি। উপাচার্য স্যার আজ উপস্থিত ছিল না৷ উপাচার্য স্যার আসলে আমরা আলোচনা করে একটা সমাধান দিবো'।
এএজেড