আদিবাসী ঐতিহ্য-সংস্কৃতি সংরক্ষণ করা দরকার: চবি উপাচার্য
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেছেন, বাংলাদেশে যতগুলো আদিবাসী ভাষা রয়েছে সেগুলো চর্চা ও লালন চালিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশে আদিবাসী ঐতিহ্য-সংস্কৃতি সংরক্ষণ করা দরকার। বাংলাদেশ একটি সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতার রাষ্ট্র। এখানে বসবাসরত আদিবাসীদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সবার মাঝে ছড়িয়ে যাক।
'অক্ষরের মিছিলে জীবনের গান, ভাষায় অস্তিত্ব, ভাষাতেই প্রাণ' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক সংগঠন রঁদেভূ শিল্পীগোষ্ঠীর উদ্যোগে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত 'আদিবাসী সংস্কৃতি ও ভাষা বৈচিত্র্য উৎসব' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রবিবার (৫ মার্চ) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত মঞ্চ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. কাঞ্চন চাকমা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিরাজ উদ দৌল্লাহ, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আনন্দ বিকাশ চাকমা, আইএমএলের প্রভাষক জেসী ডেইজী মারাক ও ফার্মেমি বিভাগের শিক্ষক উমে ছেন রাখাইন।
রঁদেভূ এর সদস্য এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ডচেংনু চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রঁদেভূ এর সভাপতি বর্ষা চাকমা।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ড. কাঞ্চন চাকমা বলেন, আমাদের বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাষাগুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে আছে। তা সঠিকভাবে চর্চার প্রয়োজন রয়েছে। এজন্য সচেতন মহলের এগিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরি। শিক্ষানীতি ২০১০ সালে আদিবাসী মাতৃভাষাগুলোর শিক্ষাদানের কথা থাকলেও তা কার্যকরভাবে এখনো বাস্তবায়িত হয়ে উঠেনি। সরকারের এই বিষয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসা জরুরি।
উপস্থিত বক্তারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আদিবাসী ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চা ইনস্টিটিউট চালুর প্রস্তাব দেন। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের তথ্য ও প্রচার সম্পাদক ভুবন চাকমা। এ ছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পিসিপি, চবি শাখার সাধারণ সম্পাদক অন্তর চাকমা।
পরে রঁদেভূ এর শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এ ছাড়া চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের আদিবাসী শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে অনুষ্ঠানে চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
এসজি