উপাচার্যের আশ্বাসে জাবি শিক্ষার্থীদের অবরোধ প্রত্যাহার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলমের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে সকাল ৮টায় তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান হাসান অবরোধস্থলে আসেন। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন এবং অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। তবে অবরোধ চালিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা।
এরপর বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড নুরুল আলম, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার অবরোধস্থলে আসেন। পরে উপাচার্য দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- গণরুম-মিনি গণরুম উচ্ছেদ করে সকল বৈধ ও নিয়মিত শিক্ষার্থীর পড়ার টেবিলসহ সিট নিশ্চিত করা, অবিলম্বে সবগুলো নতুন হল খুলে দিয়ে কৃত্রিম আবাসন সংকটের অবসান করা, হলে আসন বণ্টন ব্যবস্থাপনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব প্রসাশনকে নেওয়া।
অবরোধ প্রত্যাহারের বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচি বলেন,'উপাচার্য আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তারা আমাদের দাবি মেনে নিবেন। উপাচার্যের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে আমরা অবরোধ প্রত্যাহার করলাম।'
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড নুরুল আলম বলেন,'আগামীকালের মধ্যে প্রভোস্ট কমিটির মিটিং ডেকে গণরুম বিলুপ্তির বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করব। কমিটি হল সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে সংকট সমাধানের জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে এই কমিটি গণরুম বিলুপ্তির ব্যাপারে দৃশ্যমান রোডম্যাপ তৈরি ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে।'
উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি গণরুম সংস্কৃতি বাতিল করে শিক্ষার্থীদের বৈধ সিট নিশ্চিত করাসহ ৪ দফা দাবিতে মশাল মিছিল ও সমাবেশ করেন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে বক্তারা গণরুম সংস্কৃতি বাতিল করে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে বৈধ সিট দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ১ মার্চ পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেন।
এসআইএইচ