‘গণ বিশ্ববিদ্যালয় ভিএএস’র নতুন ডিন ড. জহিরুল ইসলাম খান
গণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
সাভারে গণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেসরকারী ‘গণ বিশ্ববিদ্যালয়’র ‘ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সাইয়েসেন্স (ভিএএস)’ ফ্যাকাল্টির ডিন হিসেবে যোগদান করেছেন অধ্যাপক ড. জহিরুল ইসলাম খান।
প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস ফ্যাকাল্টি চালু করেছে।
২০১৬ সালের মে মাসে তাদের যাত্রা।
বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের (বিভিসি) অনুমোদিত ছয়মাসের বাধ্যতামূলক ইর্টানশিপ আছে।
অনার্স কোর্সের মেয়াদ ৪ বছর।
২০১৬ সালের মে মাসে ইউজিসির অনুমোদন সাপেক্ষে ২৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা।
অতি অল্প সময়েই ভেটেরিনারি শিক্ষার জন্য যাবতীয় প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারায় ২০১৮ সালে ইউজিসি আসন সংখ্যা ২৫ থেকে ৫০-এ উন্নীত করেছে।
বর্তমানে প্রায় ৩০০ ছাত্র, ছাত্রী অধ্যয়নরত।
আজ ১ নভেম্বর, মঙ্গলবার ভিএএসের নতুন ডিন অধ্যাপক ড. জহিরুল ইসলাম খানের নিয়োগের সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়েছে।
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো, মানসম্পন্ন ল্যাব, ক্লাসরুমগুলো, ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল হাসপাতাল দেখে অত্যন্ত সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক ড. জহিরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, ‘আমি অবশ্যই আপনাদের উন্নতিতে কাজ করে যাব।’
‘আমাদের দেশে ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স ক্ষেত্রে বেসরকারীভাবে গবেষণা প্রায় করে না কোনো প্রতিষ্ঠান। বিভাগীয় গবেষণাসহ অধ্যাপকদেরও গবেষণায় যুক্ত করতে কাজ করব।’
অধ্যাপক ড. জহিরুল ইসলাম খান ল্যাবরেটরি ঘুরে জানিয়েছেন, ‘আমাদের ভালো ল্যাবেও বেশকিছু অসঙ্গতি রয়েছে। স্যাম্পল, রি-এজেন্ট, মাইক্রোস্কোপসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন যন্ত্রপাতির অভাব আছে। এসব বিষয়ে আমি উপাচার্য মহোদয়কে অবহিত ও সমাধান করব। আমাদের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যাবতীয় অন্যান্য সমস্যা সমাধানে আলোচনা করব।’
গণবিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলোদেশের প্রথম প্রাণী হাসপাতাল বেসরকারীভাবে রয়েছে বলে তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
তাদের শিক্ষক স্বল্পতা নিয়ে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমাদের খাতে দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগে সচেষ্ট থাকব। আমাদের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েসেন্স ফ্যাকাল্টিতে শুধু অনার্স চালু আছে। তাতে পূণ ও স্বয়ং-সম্পূর্ণ শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। শিক্ষাকে ত্বরান্বিত করতে আমরা মাস্টার্স ডিগ্রি চালু করব।’
অধ্যাপক ড. জহিরুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, ‘আমাদের ছেলে, মেয়েরা যাতে উন্নততর প্রশিক্ষণ লাভ করতে পারে, সেজন্য বিশেষত ভারত, জাপান, মালয়শিয়া, ইন্টার্নিশিপে পাঠানোর ব্যবস্থা করব।’
ওএএস।