কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল বন্ধ, তদন্ত কমিটি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ছাত্রীদের আবাসিক হলগুলো বন্ধ ও সকল পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে ও ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে রেখে দিয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য তাদের নতুন কমিটির জন্য ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জীবনবৃত্তান্ত ও কার্যক্রম জমা দেবার কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের পরও ‘এখনও কোনো কমিটি হয়নি বলে’ জানান।
অন্য নেতারাও পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেন এবং কুমিল্লাতে খুব ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা সৃষ্টি হয়ে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতারা এরপর হতাশ হয়ে পড়েন।
প্রধান দুটি ভাগ ১ অক্টোবর, শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে মহড়া দেয়।
তারা ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটান ও দেশীয় লাঠি, নিয়ে মহড়া দেয়।
ফলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিস্থিতি নষ্ট হয়ে যায়।
এই অবস্থায় গতকাল ২ অক্টোবর রবিবার সকাল সাড়ে নয়টায়ই অনলাইন মারফতে প্রক্টরিয়াল বডির জরুরী সভায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এদিকে দুর্গাপূজার ছুটি চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। ফলে সামান্য ছাত্র, ছাত্রীদের আর না রেখে যেকোনো ধরণের অনাকাংখিত ঘটনা রোধ করতে হলগুলোতে অবস্থানকারী সকল ছাত্রকে আজ ছয়টার মধ্যে হলাবাস ত্যাগ করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
কাল ৪ অক্টোবর সকাল নয়টার মধ্যে সকল ছাত্রীকে হল ছেড়ে বাড়ি চলে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১০ থেকে ১৭ অক্টোবরের সকল অনলাইন ও পরীক্ষা কেন্দ্রের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
অধ্যাপকদের গাড়ি, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মাইক্রো ছাড়া আর কোনো গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের নামকরা অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈনের নির্দেশক্রমে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত জরুরি আদেশে নির্দেশগুলো প্রদান করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপের বিবাদমান সন্ত্রাস মোকাবেলায় ‘প্রক্টরিয়াল বডি’র তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক কাজী ওমর সিদ্দিকী জানিয়েছেন, “তার তদন্ত কমিটিতে আছেন-সহকারী প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক ‘এম. জাহিদ হাসান’, ‘এম. মোশাররফ হোসেন’ ও ‘শারমিন সুলতানা’। তাদের কমিটি তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ পেয়েছেন।”
ছবি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব।
ওএফএস।