এনএসটিউতে হলো যেভাবে পহেলা বৈশাখ
লেখা ও ছবি : সাদিদ হক, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
বাঙালির প্রাণের উৎসব, ক্যাম্পাসের উৎসব বাংলা মাসের প্রথম দিন নবান্নের পহেলা বৈশাখ আয়োজন করলো নোয়াখালী একমাত্র সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। দুই বছর করোনাভাইরাসের আক্রমণে কভিড ১৯ রোগে বন্ধ থেকে কদিন আগে খুলেছে এই চারটি জেলার বিশ্ববিদ্যালয়।
বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ ছিল বৃহস্পতিবার, তারিখের হিসেবে ইংরেজি মাসের চিরাচরিত ১৪ এপ্রিল। মঙ্গল শোভাযাত্রা বর্ণিলভাবে করেছে নোয়াখালীর বিশ্ববিদ্যালয়টি। তাতে নানা প্রতীক ছিল, বাংলা সংস্কৃতি ও বাঙালির ঐতিহ্যের অনুসঙ্গগুলো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়কগুলো ঘুরে আবার প্রশাসন ভবনের সামনে এসে থেমেছে। তাতে অংশ নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, আইআইএস পরিচালক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন পলাশ প্রমুখ।
ছাত্র, ছাত্রী ও শিক্ষকদের মেধা বিকাশের দিনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তারা অংশ নিয়েছেন। আরো থেকেছেন দুটি অনুষদের ডিন, ফ্যাকান্টিগুলোর প্রধান, বিভাগগুলোর চেয়ারম্যান, হলগুলোর প্রভোস্ট, বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরের প্রধান। আর এই সব আয়োজনের প্রাণ ছাত্র, ছাত্রীরা সবাই দর্শক হয়েছেন। তাল মিলিয়েছেন।
অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম নববর্ষে বলেছেন, ‘বাঙালির জীবনে এই নববর্ষ প্রধানতম অনুষ্ঠান। ধানের দেশ নোয়াখালী। তাদের প্রধান এই চিরায়ত উৎসবে আমাদের স্বাগত জানানোর জন্য তাদের কৃতজ্ঞতা। জরা, ব্যাধি, ক্লান্তি ও হতাশাগুলোকে ভুলে আপনাদের সবার জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে আনুক-আপনাদের শুভ নববর্ষ। আমাদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা।বাঙালির চিরাচরিত সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য হৃদয়ে এবং জীবনে ধারণ করে নতুন এই বছরে সবাইকে নিয়ে আমরা সমৃদ্ধিতে এগিয়ে যাব এই আমার প্রত্যাশা করছি। এই বাংলা নতুন বছর আপনাদের সকলের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।’
ওএস।