রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘দর্পণের ভেতর দিয়ে মনোযোগে কাজ করলে বিশ্বের জনগোষ্ঠীর জন্য ভূমিকা রাখবেন’

লেখা ও ছবি : জুনায়েদ খান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
বাংলাদেশের অন্যতম পুরোনো, সবচেয়ে সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় হলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। সেরাগুলোর একটি। চট্টগ্রামের এই বিরাট ক্যাম্পাসে ছাত্র, ছাত্রী, শিক্ষক কর্মকর্তা, কর্মচারীদের হাসি, আনন্দ, দু:খ, ব্যথা, অভাব ও অভিযোগের গল্প, জীবনকাহিনী, প্রাপ্তি এবং অর্জনের গল্পগুলো তুলে ধরেন যারা; তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র, ছাত্রী।

তাদের মতো লেখালেখি করেন বিভিন্ন পত্রিকাতে তাদের শিক্ষকরা। অনিন্দ্য এই কাহিনীগুলো আমাদের হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়, জীবনকে বদলেও দেয়।

তাদের আছে একটি প্ল্যাটফর্ম। নাম ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি’।

পাহাড় ঘেরা, পুকুর, লেক, খাল ও ঝর্ণার বিশ্ববিদ্যালয়টির কলম, কাগজ, মাইক্রোফোন, ক্যামেরা, মোবাইল ও ফেসবুকের এই সৈনিকরা তাদের মিলনমেলা করলেন গতকাল বুধবার। ক্যালেন্ডারের পাতায় তাদের জীবন ঘোরে। ফলে দিনটি সেখানে ছিল ১৩ এপ্রিল।

জাঁকালো এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম নারী উপাচার্য, বাংলার কৃতি অধ্যাপক, ড. শিরিণ আখতার।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেণু কুমার দে।

ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির ছায়া, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শহীদুল হক।

আরো ছিলেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহাব উদ্দীন নীপু।

তাদের পেয়ে আলোচনা সভা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ ও কৃতি সাংবাদিকরা। শিখেছেন, জেনেছেন কত যে কী!

এই অনুষ্ঠানে এসেছেন চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গাতে কাজ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সামতির সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ নানা দায়িত্বে কাজ করা কর্মীরা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা করা সাবেক ছাত্র, ছাত্রীরাও।

গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক ও সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কর্মীদেরও দাওয়াত করতে ভোলেননি তারা।

এসেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও ছাত্র ইউনিয়নসহ সব দলের নেতারা।

আয়োজনে সামনের সারিতে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির বর্তমান সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন।

তাদের এই বর্ণাঢ্য আয়োজনটি হয়েছে শহরের জিইসি মোড়ের ইফকো জামান সেন্টারে বিপুল আকারে।

পুরোনো ও নতুন ছাত্র, ছাত্রী সাংবাদিকদের দেখতে পেরে গর্বে ভরে দিয়েছে তাদের

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, সাংবাদিকতা বিভাগের নানা সময়ের অধ্যাপকদেরসহ চট্টগ্রামের গুণী মানুষদের মন।

তাদের সামনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেছেন, ‘আমাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির ইফতার মাহফিল মানে সবসময়ই মিলনমেলা। আমি ব্যক্তিগতভাবে চট্টগ্রামসহ সারা দেশের সাংবাদিকবৃন্দের এখানে আসতে আগ্রহ দেখে, তাদের জীবনের অর্জন জেনে অত্যন্ত মুগ্ধ। দেশ, জাতি ও সমাজগুলোকে এগিয়ে নেবার এই ধরনের সম্মিলিত চেষ্টাই আসলে পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষা।’

তিনি তাদের পুরোনো ও বর্তমান সাংবাদিক ছাত্র, ছাত্রীদের জানিয়েছেন আবার, “সংবাদপত্র হলো একটি ‘জাতির দপণ’। ফলে এই দর্পণের ভেতর দিয়ে আপনারা মনোযোগ দিয়ে কাজ করে এই বিশ্বের জনগোষ্ঠীর জন্য বিশাল ভূমিকা রাখতে পারবেন বরাবরের মতো।”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের সবগুলো ইফতার ও দোয়া প্রতি বছর বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে ভালোবাসা তৈরি করে। আপনারা আমাদের ডাকে সাড়া দেন বলে আমরা কৃতজ্ঞ।’

ওএস।

Header Ad
Header Ad

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!

ছবি: সংগৃহীত

নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা ঘটনা নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ক্রমাগত দুশ্চিন্তা শরীরের স্ট্রেস-রেসপন্স সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্রনিক স্ট্রেসের জন্ম দেয় এবং এমনকি অকাল মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়, ফলে সংক্রমণ ও বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের মতো মারাত্মক কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার সঙ্গেও এটি সরাসরি সম্পর্কিত।

বিশেষজ্ঞরা জানান, দীর্ঘ সময় ধরে কর্টিসলসহ বিভিন্ন স্ট্রেস হরমোনের অতিরিক্ত নিঃসরণ হজমজনিত সমস্যা, পেশির টান, অনিদ্রা ও মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।

এছাড়া, অনিয়ন্ত্রিত বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বেগ ধূমপান, অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ বা মাদকাসক্তির মতো ক্ষতিকর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে, যা আরও ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে।

তবে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমানোর জন্য সচেতনতা ও সঠিক দিকনির্দেশনা অনুসরণ করলে এ সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, মেডিটেশন এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য পেশাদার সহায়তা নেওয়া এসব সমস্যা সমাধানে কার্যকর হতে পারে।

সূত্র: আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন

Header Ad
Header Ad

জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে না।

রোববার বিকেলে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওই পোস্টে ইশরাক লিখেছেন, "জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় সরকার ফরকার হবে না। তার আগে অন্তত ঢাকার প্রাণকেন্দ্র দক্ষিণ ঢাকায় আমার সঙ্গে যুদ্ধ করে, আমাকে কবরে পাঠিয়ে তারপর করতে পারলে করবে।"

তিনি আরও লিখেছেন, "এই সরকারকে এর চাইতে স্পষ্ট ভাষায় আর কিছু বলার নাই। আর আমাদের দলীয় কেউ যদি ভুলেও স্বপ্ন দেখেন, যেই হন না কেন আপনাদের চিনবো না। অতএব এলাকায় ফ্যাসিবাদের স্থান দেওয়ার আগে ১০০ বার চিন্তা করে নিয়েন। আগে বরখাস্তকৃত কমিশনের/কাউন্সিলর পদধারী হাসিনার কিলার বাহিনীদের বিচার, শাস্তি ও নির্মূল করতে হবে।"

 

তরুণ এই বিএনপি নেতা তার পোস্টে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিজস্ব পরিকল্পনায় স্থানীয় নির্বাচন থাকতে পারে। কিছু নতুন দল বা ছোট দল নিজেদের অবস্থান সুসংহত করার চেষ্টা করতে পারে। তবে তার মতে, "এই মার্কাবিহীন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে খুনি হাসিনার অমানুষ জালেম বাহিনীর উত্থান ঘটবে।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন, "আমাদের স্পষ্ট দলীয় সিদ্ধান্ত রয়েছে এই ব্যাপারে। এর বাইরে, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র প্রার্থী বা মহানগর বিএনপির সদস্য হিসেবে, বা একজন সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে, যে অবস্থানেই বিবেচনা করা হোক না কেন, আমি জানিয়ে দিচ্ছি—ঢাকার অলিগলির রাজনীতি কীভাবে চলে তা আমি জানি।"

ইশরাক হোসেন তার পোস্টের শেষ অংশে বলেন, "ঢাকা ও অন্যত্র স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে কোনো উদ্যোগকে চক্রান্ত হিসেবেই গণ্য করা হবে। হাসিনার কমিশনার/কাউন্সিলরা কিভাবে হয় এবং তারা কীভাবে ফিরে আসতে পারে, সেটাও আমাদের মুখস্থ।"

Header Ad
Header Ad

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!

ছবি: সংগৃহীত

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহতের ঘটনায় দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। দিবসটি যথাযথভাবে পালনের জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছে সরকার।

তবে পরিপত্র জারির পর থেকেই অনেকের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি কি সরকারি ছুটি থাকবে? এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নানা আলোচনা চলছে।

সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী, ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটি থাকবে না। দিবসটি ‘গ’ শ্রেণীভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা জাতীয়ভাবে পালন করা হবে, তবে ছুটি থাকবে না।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকার প্রতিবছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে এটি সরকারি ছুটি ছাড়া জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা হবে।

এর আগে মন্ত্রিপরিষদসচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করা হবে, তবে এদিন সরকারি ছুটি থাকবে না।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া নির্মম হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক এই দিনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের মাধ্যমে সেনা সদস্যদের আত্মত্যাগকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!
জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা
ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফর ও স্টারলিংক চালুর আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, একাডেমিক শাটডাউন ও লংমার্চের ঘোষণা
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি সময়সীমা নির্ধারণ: সিইসি
নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি