‘দর্পণের ভেতর দিয়ে মনোযোগে কাজ করলে বিশ্বের জনগোষ্ঠীর জন্য ভূমিকা রাখবেন’
লেখা ও ছবি : জুনায়েদ খান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
বাংলাদেশের অন্যতম পুরোনো, সবচেয়ে সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় হলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। সেরাগুলোর একটি। চট্টগ্রামের এই বিরাট ক্যাম্পাসে ছাত্র, ছাত্রী, শিক্ষক কর্মকর্তা, কর্মচারীদের হাসি, আনন্দ, দু:খ, ব্যথা, অভাব ও অভিযোগের গল্প, জীবনকাহিনী, প্রাপ্তি এবং অর্জনের গল্পগুলো তুলে ধরেন যারা; তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র, ছাত্রী।
তাদের মতো লেখালেখি করেন বিভিন্ন পত্রিকাতে তাদের শিক্ষকরা। অনিন্দ্য এই কাহিনীগুলো আমাদের হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়, জীবনকে বদলেও দেয়।
তাদের আছে একটি প্ল্যাটফর্ম। নাম ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি’।
পাহাড় ঘেরা, পুকুর, লেক, খাল ও ঝর্ণার বিশ্ববিদ্যালয়টির কলম, কাগজ, মাইক্রোফোন, ক্যামেরা, মোবাইল ও ফেসবুকের এই সৈনিকরা তাদের মিলনমেলা করলেন গতকাল বুধবার। ক্যালেন্ডারের পাতায় তাদের জীবন ঘোরে। ফলে দিনটি সেখানে ছিল ১৩ এপ্রিল।
জাঁকালো এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম নারী উপাচার্য, বাংলার কৃতি অধ্যাপক, ড. শিরিণ আখতার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেণু কুমার দে।
ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির ছায়া, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শহীদুল হক।
আরো ছিলেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহাব উদ্দীন নীপু।
তাদের পেয়ে আলোচনা সভা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ ও কৃতি সাংবাদিকরা। শিখেছেন, জেনেছেন কত যে কী!
এই অনুষ্ঠানে এসেছেন চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গাতে কাজ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সামতির সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ নানা দায়িত্বে কাজ করা কর্মীরা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা করা সাবেক ছাত্র, ছাত্রীরাও।
গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক ও সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কর্মীদেরও দাওয়াত করতে ভোলেননি তারা।
এসেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও ছাত্র ইউনিয়নসহ সব দলের নেতারা।
আয়োজনে সামনের সারিতে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির বর্তমান সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন।
তাদের এই বর্ণাঢ্য আয়োজনটি হয়েছে শহরের জিইসি মোড়ের ইফকো জামান সেন্টারে বিপুল আকারে।
পুরোনো ও নতুন ছাত্র, ছাত্রী সাংবাদিকদের দেখতে পেরে গর্বে ভরে দিয়েছে তাদের
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, সাংবাদিকতা বিভাগের নানা সময়ের অধ্যাপকদেরসহ চট্টগ্রামের গুণী মানুষদের মন।
তাদের সামনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেছেন, ‘আমাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির ইফতার মাহফিল মানে সবসময়ই মিলনমেলা। আমি ব্যক্তিগতভাবে চট্টগ্রামসহ সারা দেশের সাংবাদিকবৃন্দের এখানে আসতে আগ্রহ দেখে, তাদের জীবনের অর্জন জেনে অত্যন্ত মুগ্ধ। দেশ, জাতি ও সমাজগুলোকে এগিয়ে নেবার এই ধরনের সম্মিলিত চেষ্টাই আসলে পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষা।’
তিনি তাদের পুরোনো ও বর্তমান সাংবাদিক ছাত্র, ছাত্রীদের জানিয়েছেন আবার, “সংবাদপত্র হলো একটি ‘জাতির দপণ’। ফলে এই দর্পণের ভেতর দিয়ে আপনারা মনোযোগ দিয়ে কাজ করে এই বিশ্বের জনগোষ্ঠীর জন্য বিশাল ভূমিকা রাখতে পারবেন বরাবরের মতো।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের সবগুলো ইফতার ও দোয়া প্রতি বছর বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে ভালোবাসা তৈরি করে। আপনারা আমাদের ডাকে সাড়া দেন বলে আমরা কৃতজ্ঞ।’
ওএস।