নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাগরকে র্যাগিংয়ে আহত করায় একজন ছাত্রকে বহিষ্কার
লেখা ও ছবি : আতোয়ার রাহমান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা প্রকাশের খবরে প্রকাশিত হয়েছিল, ১২ মার্চ শনিবার দুপুরে মনমনসিংহের ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের ছাত্র সাগরচন্দ্র দে’কে অগ্নিবীণা হলের ২শ ৪ রুমে চারুকলা বিভাগের তিনজন ছাত্র র্যাগিং করে মারাত্মকভাবে জখম করেছেন। তিনি মাথা ও মুখে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।
২০২০-’২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বষের এই ছাত্রকে আহত করায় তার বিভাগের ছাত্র, ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন। তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করা হয়েছে।
সাগরচন্দ্র দে’কে র্যাগিং ও আহত করার দায়ে তার এক বছরের সিনিয়র ও ২০১৯-’২০ শিক্ষাবষের ছাত্র, চারুকলার ছাত্র সৌমিক জাহানকে ‘বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা কমিটি’ সাময়িকভাবে বহিস্কার করেছে। গতকাল ২০ মার্চ, বিকেলে অনুষ্ঠিত ‘বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা কমিটি’র সভায় সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করা হয়েছে।
‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা কমিটি’র সিদ্ধান্তে এছাড়াও সৌমিককে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তার অভিভাবকেকে কমিটির আগামী সভায় উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের সভাপতিত্বে কমিটির সভা বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চলেছে।
তাদের এই কমিটি অগ্নিবীণা হলের ২০৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী রাজু মিয়া (লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনাবিদ্যা), নাজমুল হুদা দেওয়ানী (অর্থনীতি), আফজাল হোসাইন শান্ত (চারুকলা) ও খন্দকার রিফাদুল হাসানের (চারুকলা) আসন বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে।
শৃঙ্খলা কমিটি র্যাগিংয়ের শিকার ছাত্র সাগরচন্দ্র দে’র চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সৌমিক জাহানের পরিবারকে বহন করতে বলেছে।
অনুমতি ছাড়া কেন সাগর হলে থাকছিল-এজন্য ২১ দিনের মধ্যে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
ওএস।