ওয়েব সাইটে প্রকাশনা নির্ভর ওয়েব মেট্রিক্সের তালিকা
লেখা : রায়হান মাহবুব, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
‘দি ওয়েব মেট্রিক্স’ নামের একটি ওয়েব নির্ভর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা প্রদানকারী সংস্থা আছে। স্পেনের মাদ্রিদভিত্তিক সংস্থাটি ওয়েব পেইজ ও ফাইলগুলোর সংখ্যা এবং সেই ওয়েব পাবলিকেশনগুলোর উপস্থিতি ও প্রভাবের ওপর তালিকাটি প্রকাশ করে তাদের সাইবার মেট্রিক্স ল্যাবের মাধ্যমে।
এই তালিকায় বাংলাদেশের ১৭০টি সরকারি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজকে তারা যুক্ত করতে পেরেছেন। এবার তাতে দক্ষিণ-পশ্চিমের সবচেয়ে বড় উচ্চতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়’ আছে ২৯ তম স্থানে। গেলবার তারা ছিল ২৫ তম।
ওয়েব মেট্রিক্সের পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তারা আছে ৪ হাজার ২শ ৫০ তম অবস্থানে। সেখানে মোট আছে ৩১ হাজার বিশ্ববিদ্যালয় দুইশর বেশি দেশের।
‘বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ বা ‘বুয়েট’ তাদের এই দেশের তালিকায় আছে প্রথমে। অথচ বিশ্ব তালিকায় ১৫শ ৮৯ নম্বরে। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ দ্বিতীয় হলেও আছে ১৬শ ৬৮ নম্বরে। তৃতীয় হয়েছে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-‘শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’। তারা বিশ্ব তালিকায় ১৮শ ১৫ নম্বরে। বেসরকারী ‘নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি’ অনেক বেশি ওয়েব পাবলিকেশন করে বলেই হয়তো চার নম্বরে চলে এসেছে। তারা বিশ্ব তালিকায় এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পেছনে আছে ২ হাজার ৫৬ নম্বরে। পঞ্চম অবস্থানে আছে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’। তারা বিশ্ব তালিকায় নর্থ সাউথের পেছনে কেন পড়ে গেলেন? তাদের অবস্থান ওখানে ২ হাজার ৭৬ তম। ষষ্ঠ হয়েছে ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’। তাদের ওয়েব মেট্রিক্স নম্বর হলো ২ হাজার ৪শ ১৬। বেসরকারী ‘ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি’ চলে এসেছে সপ্তম অবস্থানে। তাদের বিশ্ব তালিকা ২ হাজার ৪শ ২৭। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কৃষিভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’ তাদের পেছনে আছে অষ্টমে। তাদের বিশ্ব তালিকাও পেছনে অনেক কেন? ২ হাজার ৬শ ৫৯ নম্বর। চট্টগ্রাম বিভাগের সেরা ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’ তালিকার নবম। তাদের ওয়েব মেট্রিক্স নম্বর হলো ২৭শ ৬২। ১০ম হয়েছে ঢাকার বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ‘ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’ বা ‘ডিআইইউ’। তারা আছে ওয়েব মেট্রিক্সে ২৯শ ২ নম্বরে।
ওএস।