চবি উপাচার্যসহ ৪ জনকে হাইকোর্টের নোটিশ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারসহ চারজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ।
ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও কেন অন্য বিভাগের শিক্ষককে সভাপতি করা হয়েছে, এমন ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ প্রদান করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি আইন মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এমন নির্দেশনা ও দেওয়া হয়েছে। রিট পিটিশন ২০২২ এর ২৯২৭ নং এ এসব তথ্য দেওয়া হয়।
এর আগে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিধি লঙ্ঘন করে অন্য বিভাগের শিক্ষককে সভাপতি রাখার অভিযোগে হাইকোর্টে রিট করেন ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাখাওয়াত হোসেনসহ তিন শিক্ষক।
রবিবার (১৩ মার্চ) হাইকোর্টের নির্দেশনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছেছে। এতে গত বছরের ২৪ নভেম্বর রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠানো আবেদনটি ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে বাস্তবায়ন করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘আমরা আনঅফিশিয়াল একটা রিট পিটিশন পেয়েছি। হাইকোর্ট আমাদের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন। আইন মোতাবেক সব করা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে, সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী প্রথম বিভাগীয় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে ২০১৮ প্রভাষক (স্থায়ী পদে) হিসেবে ওই বিভাগে যোগদান করেন তিন শিক্ষক। অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী অবসরে গেলে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বিভাগীয় সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এরপর ২০২০ সালের ২ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এ.বি.এম. নাজমুল ইসলাম খানকে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগে সভাপতি হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। এরমধ্যে গত বছরের ৩০ মে বিভাগটির দুইজন প্রভাষক হতে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে বিভাগে যোগদান করে। পরে গত বছরের ২৪ নভেম্বর সভাপতিকে মাধ্যম করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭৩ এর সংবিধির ধারা ৭ অনুযায়ী, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগে বিভাগীয় শিক্ষকদের মধ্য থেকে সভাপতির দায়িত্ব প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করার নিমিত্তে একটি পত্র প্রদান করা হয়।
তবে কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন অগ্রাহ্য করে ড. এ.বি.এম. নাজমুল ইসলাম খানকেই বিভাগীয় সভাপতি হিসেবে মেনে নিতে পরামর্শ দেন বলে অভিযোগ করেন বিভাগটির তিন শিক্ষক। এর প্রেক্ষিতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় দুইজন শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায়, নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ড. এ.বি.এম. নাজমুল ইসলাম খানকেই বিভাগীয় সভাপতি হিসেবে বহাল রাখা চ.বি. অ্যাক্ট ১৯৭৩ এর সংবিধির ধারা ৭ সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে হাইকোর্টে রিট করেন সহকারী অধ্যাপক মো. সাখাওয়াত হোসেনসহ তিন শিক্ষক।
টিটি/