শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পুরোনোদের পদচারণায় মুখরিত প্রিয় ক্যাম্পাস

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষে পদার্পণ করেছে ২০২১ সালে। করোনা মহামারির কারণে গেল বছর সেভাবে শতবর্ষ উদযাপন করতে পারেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন শতবর্ষ উদযাপন করছে নানা আয়োজনে।

শনিবার (১২ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে পুরনো শিক্ষার্থীদের আগমণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শতবর্ষের অনুষ্ঠান। শতবর্ষের অনুষ্ঠানে শত শিল্পীর লাইভ অর্কেস্ট্রা সংগীত এবং নৃত্য পরিবেশনা হয়।

এদিন সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশ দিয়ে যেতেই দেখা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা। খেলার মাঠের মূল গেটে শতবর্ষের ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়। সেখানে দায়িত্বরত স্বেচ্ছাসেবকদের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রেশনকৃত শিক্ষার্থীদের কার্ড দেখিয়ে মূল অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে হচ্ছে।

মূল অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেই দেখা যায় শত শত পুরনো শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা। কেউ এসেছেন সস্ত্রীক কেউবা একা একা এসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে উঠেছেন। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে অবসর গ্রহণ করা অনেক কর্মকর্তাকে এদিন দেখা যায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতো প্রাণ চঞ্চল।

শতবর্ষের মিলন মেলা অনুষ্ঠানে কথা হয় সাবেক রাষ্ট্রদূত এবিএম আব্দুস সালাম এর সঙ্গে।

তিনি ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘শতবর্ষের মিলন মেলায় এসে আমার খুব ভালো লাগছে। আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে এসেছি। আমি রাষ্ট্রদূত থাকাকালীন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গেছি, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গেছি কিন্তু আমাদের এই শতবর্ষের মিলন মেলা এক অন্য রকম। এমন সুন্দর অনুষ্ঠান আমি আগে দেখিনি। আমি অত্যান্ত আনন্দিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে বলব সম্ভব হলে বছর বছর এটা করা।’

প্রিয় ক্যাম্পাসের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ সালে মাস্টার্স করেছি। ওই সময় আমি ড. পিসি দেব স্যার এর ছাত্র ছিলাম। তিনি অত্যন্ত প্রিয় প্রফেসর ছিলেন। তার সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্ত পাক হানাদার বাহিনী যখন তাকে মেরে ফেলে এটা আমার জীবনের সব চেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায় মনে হয়। এটা আমি কোনো দিন ভুলতে পারি না।’

মিলন মেলা অনুষ্ঠানে পুরনো বন্ধুদের কাউকে পেলেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘পুরোনা বন্ধুদের খুব বেশি খুঁজে পাইনি। আমরা ১৯৬৬ সালে বেরেয়েছি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ চিরতরে হারিয়ে গেছেন। তবে নতুন অনেক বন্ধু পেয়েছি, খুব ভালো লাগছে।’

আর একজন পুরনো শিক্ষার্থী বলেন, আজ ক্যাম্পাসে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। আমার প্রাণের উৎসব। স্বপ্নের জায়গা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে আসলেই মন খুশিতে ভরে ওঠে। পুরনো বন্ধুদের অনেককে খুঁজে পাচ্ছি। এখান আসার পর এত ভালো লাগছে বলে বোঝানো যাবে না।

এ কে এম আলাউদ্দিন নামের আর একজন শিক্ষার্থী সস্ত্রীক এসেছিলেন। তিনি ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘পুরো আয়োজনটা খুব সুন্দর লাগছে। আমার কাছে মনে হয়েছে মিলন মেলা, একটা প্রাণবন্ত এক মেলা। আজকে অনেক আনন্দের, অনেক খুশির দিন।’

তিনি ১৯৭৮ সালে জীব বিজ্ঞান থেকে মাস্টার্স করে বের হয়েছেন। আর তার স্ত্রীও একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে বের হয়েছেন। দুজনই আনন্দঘন সময় পার করছেন।

শুধু আব্দুস সালাম বা আলাউদ্দিন নয়, এসেছিলেন পুরনো শত শত শিক্ষার্থী। অনেকে নিজের সন্তানকে নিয়ে এসেছেন। কেউবা নাতি পুতিদের নিয়েও এসেছেন ক্যাম্পাসে। পুরো অনুষ্ঠান স্থলে পুরনো শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখোরিত হয়ে ওঠে।

এক দিকে নিজেরা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছেন, অন্য দিকে চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আরেক দিকে চলছে আলোচনা পর্ব। অনুষ্ঠানের শুরুতে গান ও নৃত্যের তালে তালে
উজ্জীবিত করে তোলে আগত অতিথিদের। আর ফাঁকে ফাঁকে চলে সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা পর্ব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, প্রবীণতম শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মতিউল ইসলাম।

এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রকীবউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষ উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশেনের সদস্য সচিব আশরাফুল হক মুকুল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুজিব শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার আর শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ। শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য মুনিরা খান।

বাংলাদেশের পদযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যলামনাই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল আলম চৌধুরী।

আলোচক হিসেবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী ও ডাকসুর সাবেক জিএস এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, লেখক ও রাজনীতিক ইনাম আহমদ চৌধুরী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক হামিদা আখতার বেগম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দ্র মজুমদার, এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি মীর নাসির, সাবেক এমপি শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ।

এসএম/এমএমএ/

 

Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার

ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭১ জন নিহত হয়েছেন। এতে চলমান যুদ্ধে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়ে গেল।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে আনাদোলু এজেন্সি জানায়, দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৪ হাজার ৫৬ জন নিহত এবং ১ লাখ ৪ হাজার ২৬৮ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বোমা ও গুলিতে ৭১ জন নিহত এবং ১৭৬ জন আহত হয়েছেন।

তবে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে এবং সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়।

এদিকে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি এক্স পোস্টে বলেছেন, গাজা উপত্যকার ৮০ শতাংশই এখন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। ওইসব এলাকার মানুষেরা নিরাপত্তা ও অস্তিত্বহীনতার মধ্যে বসবাস করছেন।

অনিরাপদ রুটের কারণে গাজাজুড়ে সামান্য ত্রাণ সরবরাহ করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে জানিয়ে ফিলিপ লাজারিনি বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে মানুষ কঠোর অবরোধের মধ্যে রয়েছে। যুদ্ধের দুষ্টচক্রে পড়ে তারা জীবন বাঁচাতে ছুটাছুটির মধ্যে রয়েছেন। ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ওই অঞ্চলটি মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। উপত্যকায় নাগরিক শৃঙ্খলা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালত দুই ব্যক্তি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ৮ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ২০ মে, ২০২৪ পর্যন্ত সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করছে।

বিবৃতি অনুযায়ী, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ত ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ও জ্ঞাতসারে গাজার বেসামরিক জনগণকে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের পাশাপাশি জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ তাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য বস্তু থেকে বঞ্চিত করেছেন বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে’।

পৃথক এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত জানায়, দেইফ, পুরো নাম মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরিও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি। বিবৃতি মতে, আদালত ‘সর্বসম্মতভাবে’ তার বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেইফের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে- ইসরাইলি ভূখণ্ডে রকেট নিক্ষেপ এবং ৭ অক্টোবর হামলা চালানো হামলায় সহস্রাধিক ইসরাইলি নিহত হয়। তবে৭ অক্টোবর হামলার কয়েক মাস পর চলতি বছরের জুলাইয়ে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা দেইফকে এক বিমান হামলায় হত্যার দাবি করেছে ইসরাইল। বিমান হামলাটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে এবং একটা পানি শোধনাগারে আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ৯০ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ