ছুরিতে গুরুতর আহত ছাত্রকে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে
লেখা ও ছবি : তানভীর তুষার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
রাজশাহী শহরের বিনোদপুরে এম.আর. ছাত্রবাসের ছাত্রদের মধ্যে ঝামেলা মেটাতে দলবল নিয়ে গিয়ে গতকাল ৯ মার্চ রাত সোয়া ১২টায় রাজশাহী বিশ্ববিদালয়ের ছাত্রদের উপস্থিতিতে ছুরি মারা হয়েছে পদার্থ বিজ্ঞানের সাফফাত নায়েম নাফিকে। তিনি দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন, সেশন ২০১৯-২০২০। গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল। মতিহার হলে আবাসিক ছাত্র হিসেবে থাকেন।
বুধবার, ৯ মার্চ রাত প্রায় ১২টায় ছাত্রাবাসটিতে কজন ছাত্রের সমস্যার সমাধান করতে গিয়েছিলেন তারা। মোট ১০ থেকে ১৫ জন ছাত্রলীগের ফরিদুলের নেতৃত্বে ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাওয়া একজন ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়টির একজন সিনিয়র বড় ভাইকে বার, বার নামাজ পড়তে বলেছিলেন। ফলে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। এরপর সেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রটি সিনিয়রদের আসতে অনুরোধ করেছেন। ছাত্রলীগের সদস্যের নেতৃত্বে তারা গিয়েছেন। ঘটনার সমাধান শেষে ফিরে আসার সময় মেসটির বাইরে থাকা ৪-৫ যুবকের সঙ্গে তাদের ঝামেলা বাঁধে। এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। তারপর ধর, ধর বলে গেট লাগাতে বলে একজন ছুরি মেরে মেরে ফেলতে চান নাফিকে।
তার সঙ্গে থাকা ও ঘটনাস্থলের সহপাঠী ইব্রাহিম বলেছেন, “আমরা ছাত্রাবাসটিতে হওয়া একটি সমস্যার সমাধানের জন্য গিয়েছি। প্রায় সমাধান করে গেটের বাইরে চলে আসার পর হঠাৎ কজন লোক ‘গেট লাগা’ বলে চিৎকার করতে, করতে দৌড়ে এসে আমাদের আক্রমণ করলো। ভয়ে সবাই এদিক, সেদিক চলে গেলাম। তখন আমার ক্লাসমেট নাফিকে ছুরি মারা হয়েছে।”
সাফফাত নায়েম নাফিকে যারা ছুরি মেরেছে, তাদের সনাক্ত করতে পারেননি বন্ধুরা।
গুরুতর আহত অবস্থায় নাফিকে সহপাঠী ও বন্ধুরা রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ৪ নম্বর ওয়াডে ভর্তি করেছেন। আরো আশংকাজনক অবস্থা হলে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। এখন তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন।
এভাবে গভীর রাতে ছাত্রকে ছুরি মেরে আহত করার ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেছেন, ‘আমরা জেনেছি, চলাফেরা নিয়ে সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে কথাকাটিতে বিষয়ের সূত্রপাত। আহত হবার কথা জানামাত্রই আমি ও ছাত্র উপদেষ্টা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আমাদের ছাত্রটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ দুবৃত্তদের আটকের চেষ্টা করছে।’
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী বলেছেন, ‘আমরা এখনও লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ না পাওয়া পর্যন্ত কিছু করতে পারব না। তবে বিষয়টি দেখছি।’
ওএস।