মেলাকে ঘিরে চালু হয়েছে বাংলা একাডেমির বইমেলা ওয়েবসাইট
![](https://admin.dhakaprokash24.com/logo/placeholder.jpg)
বাঙালির গর্বের প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি। বাংলা ভাষার মহামূল্যবান গ্রন্থ রচনা, প্রকাশনা ও বিপনের জাতীয় দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে তাদের ওপর। তাদের নিজস্ব ওয়েব সাইট আছে- http://banglaacademy.gov.bd। তবে এতকাল তাতেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বইমেলাটির আয়োজক প্রতিষ্ঠানটির বইয়ের খবরাখবর প্রদান করা হতো। সীমিত আকারের টুলবারের মাধ্যমে তেমন কিছুই জানা সম্ভব হতো না। তবে এবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলা একাডেমি তার সবচেয়ে বড় রোজগারের উপায় অমর একুশের মাসব্যাপী বইমেলার জন্য নতুন ওয়েব সাইট উদ্বোধন ও চালু করেছে। এর ঠিকানা হলো-https://www.amarekusheyboimela.gov.bd। অত্যন্ত মানসম্পন্ন ওয়েবসাইটটি, বাংলা একাডেমির ওয়েব সাইটের চেয়েও অনেক ভালো। খুব সুন্দর ও গোছানো। ‘অমর একুশে বইমেলা-২০২২’কে কেন্দ্র করে তৈরি সাইটটিতে বইমেলার সবই আছে খুব ভালোভাবে। একটি বিভাগ হলো ‘স্টল ভ্রমণ’। সেখানে ক্লিক করলে আসে একটি উপবিভাগ-‘মুক্তিযুদ্ধ’। সেখানে আছে একটি বইয়ের ছবি ‘মুক্তিযুদ্ধে আট নম্বর সেক্টর’। লেখক মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বীর যোদ্ধা ‘কর্ণেল (অব.) সফিক উল্লাহ’। তবে দু:খ হলো, বইটির পর্যালোচনা, যেটি অতি চমৎকার, সেখানে তার নামের বানান ভুল। তারপরও তারা লিখেছেন প্রকাশক ‘এশিয়া পাবলিকেশন্স। মূল্য ৪শ টাকা।’ খুব ভালো।
এই ওয়েবসাইটে ভাষা আন্দোলনের দারুণ ও সত্যিকারের বিবরণ আছে। তবে সেটিতে আরো জানতে ক্লিক করুন লেখা বাটনে ক্লিক করলে আর আসে না। বইমেলার খুব ব্যস্ততার ভীড়ে পূর্ণাঙ্গ তৈরি করতে না পারলেও দারুণ ডিজাইন ও মানের সাইটটি এখন অবসরে তারা ভালোভাবে পূর্ণরূপ দেবেন-এই প্রত্যাশা বইপ্রেমীদের। একজন পাঠক বলেছেন-‘অমর একুশে বইমেলা ২০২২ কথাটি লোগোতে কেবল বইমেলা আসলেই থাকুক। কেননা এরপর এর কার্যকারিতা নেই। সাইটটিকে স্বাতন্ত্র্য ও পূর্ণাঙ্গ রূপ দেবার প্রয়োজন রয়েছে। তবে এর সব সংযোজন আরো সহজে বইমেলা ও বইয়ের অভিজ্ঞতা লাভের অনন্য সুযোগ হবে।’
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, বরেণ্য কবি নুরুল হুদা তার মন্তব্যে বলেছেন, ‘পুরো বাংলাদেশ ডিজিটাল সেবার দিকে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার এই রূপান্তরে এগিয়ে এসেছেন। তদানুসারে আমাদের বাংলা একাডেমি এ বছর থেকে অমর একুশে বইমেলার জন্য আলাদা ও পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট চালু করেছে। সেটির আরো উন্নয়ন ঘটবে। আমাদের এই সাইটের মাধ্যমে প্রতিটি বইপ্রেমী ও বাংলা ভাষার মানুষ বইমেলা ও বাংলা ভাষার মূল বিষয়গুলো ডিজিটালি পাবেন। মেলার প্রয়োজনীয় তথ্য তারা জানতে পারবেন আগে ও পরে এবং বছরভর। আমাদের কল্পনাকে বাস্তব রূপ দেবার জন্য হোয়াওয়েইকে আমার ও বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।’
বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রযুক্তি পণ্য এবং মোবাইল সেবাদাতা কম্পানি হোয়াওয়েই’র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠান ‘হোয়াওয়েই টেকনোলজিস বাংলাদেশ লিমিটেড’র পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিশন পরিচালক ইউয়িং কার্ল বলেছেন, ‘আমরা সবসময়ই আপনাদের বাংলাদেশের যোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতে, বিশেষত আইসিটির উন্নয়নে কাজ করছি। আমরা এই সাইটের ক্লাউট পার্টনার। অনেকেই জানেন না এ সম্পর্কে। তবে আমাদের এই প্ল্যাটফর্মটি বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি। এখানে প্রবর্তনের মাধ্যমে আমরা এই দেশের মানুষের সেবায় সহযাত্রী হয়েছি।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘একুশে বইমেলার ভার্চুয়াল সাইটটিতে হাজার, হাজার গ্রাহকের সুবিধার জন্য ক্লাউড পরিষেবাটি প্রদান করতে পেরে হোয়াওয়েই টেকনোলজিস বাংলাদেশ লিমিটেড খুবই খুশি।’ ইউয়িং কার্ল জানিয়েছেন, ‘আলাদা ও পূর্ণ বইমেলার ওয়েবসাইটটি মেলা ও বইপ্রেমীদের মধ্যে নতুন মাত্রা যোগ করবে। বাংলা একাডেমিকে নানাভাবে সাহায্য করবে।’
একাডেমির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলা একাডেমির যেকোনো বই অনলাইনে https://www.amarekusheyboimela.gov.bd সাইট থেকেও অর্ডার করা যাবে। অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা যুক্ত করতে তারা কাজ করছেন।
ওএস।
![Header Ad](https://admin.dhakaprokash24.com/images/single-post-anniversary.jpeg)