রতন সিদ্দিকী পেলেন মমতাজউদদীন নাট্যকার পুরস্কার
অর্থনীতিবিদ, সৃজনশীল লেখক, বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান রচিত ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম’ গ্রন্থের পাঠ উন্মোচন ও 'মমতাজউদদীন নাট্যকার-২০২১' পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে রতন সিদ্দিকী পেয়েছেন মমতাজউদদীন নাট্যকার পুরস্কার।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাংলামোটরস্থ উন্নয়ন সমন্বয় কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানটি হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—নাট্যজন ফেরদৌসী মজুমদার ও রামেন্দু মজুমদার, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন ও নাট্যকার মমতাজউদ্দীনের সহধর্মিণী কামরুননেসা মমতাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু ইউসুফ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সদ্য সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. আবুল কালাম আজাদ, ড. রতন সিদ্দিকী, গবেষক আবদুল্লাহ নাদভী, ইউরোপ আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক শাহরিয়ার মাহমুদ প্রিন্স, জাহিদুল ইসলাম, বিশ্বসাহিত্য ভবনের স্বত্ত্বাধিকারী তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।
ড. আতিউর রহমান সম্বন্ধে সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, ড. আতিউর রহমান প্রকৃত অর্থেই বঙ্গবন্ধুকে তার মননে ধারণ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আজকের যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাফল্যগাথা এবং সমস্ত জায়গায় যে সাফল্যের প্রশংসা ও সমীহ আদায় করতে সক্ষম হয়েছে, সেই কারণে বাংলাদেশ অবশ্যই তার অবদানকে মনে রাখতে হবে। যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে ড. রতন সিদ্দিকীর 'মমতাজউদ্দীন নাট্যকার' পুরস্কার পাওয়ায় তাকে শুভেচ্ছা জানান এবং তার অবদান ও সৃষ্টকর্মের ভূয়সী প্রশংসা করেন সাংবাদিক আবেদ খান।
পুরস্কারপ্রাপ্ত নাট্যকার অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি মমতাজউদদীন আহমদের একনিষ্ঠ ভক্ত। আমার সৃজনকর্মকে তিনি প্রেম দিয়ে, স্নেহ দিয়ে এবং আদেশ দিয়ে নির্মাণ করে গেছেন। আমার আজকের রতন সিদ্দিকী হয়ে ওঠার মূল কারিগর ছিলেন মমতাজ স্যার।
প্রসঙ্গত, নাট্যকার মমতাজউদদীন পুরস্কার প্রদান এ বছরই প্রথম শুরু করে মমতাজউদদীন সংগ্রহশালা ও বিশ্বসাহিত্য ভবন। অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকীকে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এ বছর 'মমতাজউদদীন নাট্যকার-২০২১' পুরস্কারটি প্রদান করে সম্মানিত করা হলো। বাংলা একাডেমি থেকেও মমতাজউদদীন আহমদ নাট্যজন নামে একটি পদক দেওয়া হচ্ছে ২০২০ থেকে।
আরএ/