অমর একুশে বইমেলা
শিশুপ্রহরে আবার এল সিসিমপুর
বইমেলায় শিশুদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ সিসিমপুর। একুশে ফেব্রুয়ারি এবং গত শুক্র ও শনিবার ছিল না সিসিমপুর। তবে শেষ পর্যন্ত সিসিমপুরের চরিত্র টুকটুকি, ইকরি ও হালুমদের দেখা পেয়েছে মেলায় আসা শিশুরা।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বইমেলা কর্তৃপক্ষ বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সময়টি শিশুপ্রহর হিসেবে ঘোষণা করেছে। আর এ সময়েই মেলায় শিশুদের জন্য হাজির হয়েছে সিসিমপুর।
সিসিমপুরের সিনিয়র ম্যানেজার (আউটরিচ) মো. খলিলুর রহমান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, আজ থেকে প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় তিনটি করে প্রদর্শনী করবে সিসিমপুর। এ ছাড়া শিশুদের আগ্রহ বিবেচনায় মেলার শেষ দিকে অন্য দিনেও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে পারে মেলা কর্তৃপক্ষ। তবে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে সিসিমপুরের মঞ্চে প্রতিদিনই শিশুতোষ নানা খেলাধুলার আয়োজন থাকবে।
শিশুদের প্রিয় টিভি অনুষ্ঠান সিসিমপুর। বাংলাদেশ টেলিভিশন, দুরন্ত টেলিভিশন ও মাছরাঙায় দেখানো হয় সিসিমপুর। বছরে একবার সরাসরি সুযোগ হয় বইমেলায় টুকটুকি, হালুম ও ইকরিদের সরাসরি দেখার। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল শিশুরা। অবশ্য করোনা সংক্রমণ কমে আসার পরিপ্রেক্ষিতে আজ থেকে আবার সেই সুযোগ পাচ্ছে শিশুরা।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিশু চত্বরে অবস্থিত সিসিমপুর মঞ্চে শিশুদের ডাকে একে একে হাজির হয় টুকটুকি, হালুম ও ইকরিরা। মঞ্চে এসেই নিজেদের স্বভাবসুলভ আচরণ করে তারা।
শিশুদের একযোগে টুকটুকি, টুকটুকি ডাকে সাড়া দিয়ে মঞ্চে হাজির হয় বই পড়তে ভালোবাসা টুকটুকি। এসেই নিজের স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বলল, `আমার নাম টুকটুকি। বই পড়তে ভালোবাসি। আমার মাথায় বড় চুল, তাই আমি বেনী করি।`
মাছ খাওয়া হালুম এসে বলল `মাছ ভাজা, খেতে কী মজা! তাইতো আমি বেশি বেশি মাছ খাই।` সঙ্গে সঙ্গে টুকটুকির নাচানাচি শুরু হয়ে যায়। পাশের শিশুদের সঙ্গে হাত মিলানোর কাজেও ব্যস্ত সে। এরপর আসে প্রশ্ন করতে ভালোবাসার ইকরি। সেও এসে বলল, `আমি ইকরি, প্রশ্ন করতে ভালোবাসি। কারণ প্রশ্ন করলে সবকিছু জানা যায়।'
এমএ/এসএন