রোকেয়া দিবসে একক বক্তব্য রাখলেন রাশেদা কে চৌধুরী
নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ১৩৬তম জন্ম ও ৮৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহষ্পতিবার (৯ ডিসেম্বর)। প্রতিবছর দিনটি বেগম রোকেয়া দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এ উপলক্ষে একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলা একাডেমি। অনুষ্ঠানে একক বক্তব্য রাখলেন সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা, গণসাক্ষরতা অভিযান-এর নির্বাহী পরিচালক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী।
একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে রোকেয়া দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির সচিব এ. এইচ. এম. লোকমান।
একক বক্তৃতা প্রদান করে রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন বাঙালি সমাজে শুধু লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠা করতে নীরব আন্দোলনে নামেননি বরং গোটা জাতির ভেতরে এক অভূতপূর্ব জাগরণ সৃষ্টি করেছিলেন। তার শতাব্দী-পূর্বকালের রচনা এবং শিক্ষা আন্দোলন আজও বিস্ময় জাগানিয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোকেয়ার পথে বাংলাদেশ নারী-উন্নয়নের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অগ্রগতি অর্জন করেছে। নারীশিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নারীর দৃশ্যমান অবদান, কৃষি থেকে বৈদেশিক অর্জনে নারীর গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ প্রমাণ করে আমরা রোকেয়ার যথার্থ উত্তরসূরী। তবে এখনও আমাদের সমাজে মেয়েদের বাল্যবিবাহের উর্ধ্বগতি, ঘরে-বাইরে নারী নির্যাতন এবং নারীকে দমিয়ে রাখার বহুমুখী অপচেষ্টা আশঙ্কাজনক। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে সমাজ-রাষ্ট্রের সর্বস্তরে রোকেয়ার চিন্তার প্রসার ঘটাতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন নারী-পুরুষ সাম্যের সমাজ তথা মানবসাম্যের গান গেয়েছেন। তার কালজয়ী রচনা যে বিপ্লবী দর্শন ও চেতনার সাক্ষ্য বহন করছে; আমাদের তার পাঠ নিতে হবে এবং যথাযথ বাস্তবায়নে মনোযোগী হতে হবে।’