সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সেরা একটি কিশোর উপন্যাস ‘নোটুর একটি রাইফেল’

প্রথম যখন ফেসবুকে কিশোর উপন্যাস ‘নোটুর একটি রাইফেল’-এর প্রচ্ছদ দেখি তখনই বুঝেছিলাম, দারুণ একটি বই পাঠককে উপহার দিতে যাচ্ছেন প্রিয় লেখক দন্ত্যস রওশন ভাই! প্রচ্ছদশিল্পী তুলি ভাইকে বলেছিলাম, ‘সেরা প্রচ্ছদ করেছেন!’ আমার দুটি ধারণাই এখন সত্যি হয়েছে!

দন্ত্যস রওশন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে চমৎকার একটি উপন্যাস লিখেছেন। আগাম বলে রাখছি, বইটি বাংলা সাহিত্যে চিরস্থায়ী আসন করে নেবে। তেমনি পাঠকমনেও সবসময় দোলা দিয়ে যাবে।

আমি মনেমনে অস্থির হয়েছিলাম কখন বইটি প্রকাশ হবে! তবে আমার অপেক্ষা দীর্ঘ হয়নি, বইটি আমি ইতিমধ্যে পড়ে ফেলেছি। আর পড়া শেষে বইটি নিয়ে আমার পাঠানুভূতি লেখার জন্যও তর সইলো না, লিখতে বসে গেলাম।

পৃথিবীতে অনেক সুন্দর দৃশ্য আছে, তার মধ্যে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা বই পড়ছে সে দৃশ্যটাই অন্যতম সুন্দর দৃশ্য; বিশেষ করে বাংলাদেশের বেলায় তো এ দৃশ্যের কোনো তুলনাই হয় না, এই দৃশ্য আমাদের স্বপ্ন দেখতে শেখায়; কিন্তু চারপাশের পরিবেশ আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে, বই ছেড়ে আমাদের সন্তান মোবাইল নিয়ে সারাদিন মেতে আছে, আর আমরাও নির্বিকার, কেউ কিছু বলছি না, আমাদের একটাই চিন্তা সন্তানকে টাকার কামানোর মেশিন বানানো!

এইসব বিরুদ্ধ বাতাসের মধ্য বসবাস করেও একজন লেখক স্বপ্ন দেখতে ভুলে যান না, তার কলম অবিরাম লিখে চলে, তিনি লিখেন স্বপ্নের কথা, আগামীর রঙিন এক পৃথিবীর মানচিত্র আঁকেন তার বিশুদ্ধ কলমের কালিতে।

তেমনি আমাদের শিশু-কিশোরদের ভূবনকে রাঙানোর অন্যতম কারিগর লেখক দন্ত্যস রওশন। কেবল শিশু-কিশোর-ই না তার লেখার জাদুতে আটকা পড়ে বড়রাও, এই যেমন আমিও লেখক দন্ত্যস রওশন ভাইয়ের ‘ক্যাম্পাসের কবি’, ‘যারা ভালোবেসেছিল’, ‘ওল্ড হোম ও টুসির প্রেম’, ‘নোটুর সেভেনটি ওয়ান’, ‘পরিদের নাচের টিচার’, ‘ফোনটা ভিনগ্রহে চলে যায়’, ‘আমরা তো ডানপিটে’, ‘একটি এলিয়েন পরিবার’, ‘নোটুরা চারজন’, ‘আমার বন্ধুর বোন’, ‘আমাদের অদ্ভুত বাসা’, ‘দিতান ও পল্টু’, ‘তৌরিন এখন কংফু শেখে’সহ প্রায় সবগুলো বই আমি পড়েছি, পড়েছি পাঠকের পিপাসা থেকে, লেখক তার লিখনির জাদুতে আমাকে বশ করে ফেলেছেন।

লেখকের লেখা সম্পর্কে আমাকে একবাক্যে বলতে বলা হলে আমি বলব–রওশন ভাইয়ের লেখা হচ্ছে চলন্ত একটা রেলগাড়ি। ছুটে চলা রেলগাড়িতে চলে জানালা দিয়ে আকাশ, পাখি, ফসলের মাঠ, সবুজ গাছপালা, মানুষ দেখতে দেখতে কখন যেন নির্দিষ্ট ষ্টেশনে এসে পৌছে গেছি, টেরই পাইনি।

আবারও লেখক দন্ত্যস রওশন ভাইয়ের নতুন আরেকটি বই হাতে চলে এসেছে ‘নোটুর একটি রাইফেল’! পরিপূর্ণ একটি কিশোর উপন্যাস। তাও আবার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে।

এক বসায় বইটি পড়া শেষ করে আমিও ভাবতে বসে গেছি নোটুমুদ্দির মতো আমিও কি মুক্তিযুদ্ধে যেতাম? আমারও কি সে সাহস হতো? নোটুর বয়স মাত্র চৌদ্দ বছর! ভাবা যায়?

হুম, যায়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কেবল বড়রাই করেনি, এ দেশের অল্পকিছু মানুষ বাদে বাকি সবাই দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, আর করেছিল বলেই আজ আমরা স্বাধীন। মুক্ত দেশের বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পারছি।

নাম না-জানা কতশত কিশোর নোটুমুদ্দি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তার ইতিহাস হয়ত আমাদের ঠিকঠাক জানা নেই, কিন্তু আমাদের জন্য লেখক দন্ত্যস রওশন কিশোরদের জন্য নোটুমুদ্দির মুক্তিযুদ্ধ গাঁথা আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন ‘নোটুর একটি রাইফেল’ উপন্যাসে।

বইটির উৎসর্গ পাতার তুলে দেওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না, পড়ুন, পড়ে দেখুন, আমার মতো পাঠকও মুগ্ধ হবেন।

‘তিনি একজন স্কুল শিক্ষক। তাঁর বাসায় বিভিন্ন বিষয়ের বারোশ বই। এই শিক্ষক নিয়মিত বই পড়েন। একদিন ভাবলেন, না। ঠিক হচ্ছে না। আমার ঘরে এত বই অথচ অনেকের একটিও বই নেই। রাজশাহী শহর থেকে তিনি তাঁর গ্রামের বাড়ি গিয়ে একটি পাঠাগার তৈরি করলেন। তারপর বাসার সমস্ত বই দিয়ে দিলেন সেই পাঠাগারে। এখন গ্রামের মানুষ, আশপাশের গ্রামের মানুষও তাঁর গড়া পাঠাগারে বই পড়তে আসেন। আমাদের এই শিক্ষকের নাম—ফারুক হোসেন।’

আসুন নোটুমুদ্দির লড়াইয়ের দিনগুলোতে একটু উঁকি দিই–

১৯৭১ সাল। দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। নোটুমুদ্দি। তার ডাকনাম নোটু। নোটু নামেই গ্রামে পরিচিত। বিভিন্ন জায়গা থেকে যুদ্ধের খবর আসছে। গ্রামের বড় ভাইয়েরা মুক্তিযুদ্ধে যাচ্ছেন। নদীতে পাকিস্তানি সেনাদের লঞ্চ। আকাশে বোমারু বিমান। পাকিস্তানিরা গ্রামের পর গ্রাম আগুনে পুড়িয়ে দিচ্ছে। গ্রাম ছেড়ে মানুষ পালাচ্ছে। পাকিস্তানিদের হাত থেকে যেন বাঁচার উপায় নাই।

নোটুর বয়স চৌদ্দ। সে কী করবে? দেশ স্বাধীন করতে সেও কি যুদ্ধে যাবে?

হ্যাঁ, আমাদের ছোট্ট নোটু যুদ্ধে গিয়েছিল, ট্রেনিং নিয়ে ফিরেও এসেছিল, তারপর একে একে অনেকগুলো লড়াইয়ে সে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল। তার বুদ্ধি ও কৌশলে পাকিস্তানি সেনারা কুপোকাত হয়েছিল। সেসব লড়াইয়ের অংশ হতে পাঠকবন্ধুদেরও আমন্ত্রণ জানাচ্ছি–আসুন, নোটুর সঙ্গে ১৯৭১ সালে ফিরে যাই, বুক চিতিয়ে দেশের জন্য যুদ্ধ করি।

আমরা যেমন প্রতিনিয়ত ভালো ভালো খাবারের খোঁজ করি, কেবল ভালো ও সুস্বাদু খাবারই খেতে চাই, তেমনি আমাদের ভালো ভালো বইয়ের খোঁজে নামতে হবে, ভালো বইগুলো পড়তে হবে–তাহলে শরীরের সঙ্গে আমাদের আত্মাও ভালো থাকবে।

কেননা, একটা ভালো বই এক টুকরো আলোর মতো, সে আলোর সন্ধান কেবলমাত্র একজন ভালো পাঠক-ই পেয়ে থাকে; তারপর সে আলো একজন থেকে আরেকজনের কাছে পৌঁছাতে থাকে।

তেমনিও আমিও আজ আপনাদের জন্য ভালো একটি বইয়ের খোঁজ দিলাম। কারণ, ভালো বইয়ের আলো আমার ভেতর-বাহির অবশ্যই আলোকিত করবে।
পাশাপাশি, এই বইটি ছোট-বড় সব পাঠককে মুক্তিযুদ্ধের রক্তঝরা দিনগুলোর ছবি মানসপটে ভেসে উঠবে, পাঠকও অজান্তে ৭১ সালের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠবে।

সবশেষে প্রিয় বাবা-মায়ের প্রতি আমার আহবান–আপনার শিশু সন্তানের হাতে খেলনা পিস্তল না দিয়ে বই তুলে দিন। বড় হয়ে যাতে আপনার সন্তান পিস্তলবাজ, জংলী না হয়, এই চেষ্টা আপনি করেছিলেন–সে সান্ত্বনাটুকু অন্তত পাবেন।

‘নোটুর একটি রাইফেল’ অনলাইন বুকশপ প্রথমা, রকমারি.কম থেকেও সংগ্রহ করা যাবে।

বই: নোটুর একটি রাইফেল
লেখক: দন্ত্যস রওশন
ধরন: কিশোর উপন্যাস
প্রকাশন: স্বপ্ন ’৭১
প্রচ্ছদ: নিয়াজ চৌধুরী তুলি
প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০২২
মূল্য: ২০০ টাকা

এসএ/

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের আশঙ্কায় পাকিস্তানকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দিচ্ছে তুরস্ক। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ইতোমধ্যে তুরস্ক থেকে সাতটি অস্ত্রবাহী সামরিক বিমান পাকিস্তানে পৌঁছেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৭ এপ্রিল তুরস্কের বিমান বাহিনীর একটি হারকিউলিস সি-১৩০ কার্গো বিমান করাচিতে অবতরণ করে, যাতে নানা ধরনের সামরিক সরঞ্জাম ছিল। এ ঘটনাকে তুরস্কের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের জন্য বৃহত্তর প্রতিরক্ষা সহায়তার অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।

শুধু একটি বিমানই নয়, ইসলামাবাদের সামরিক ঘাঁটিতেও তুরস্কের আরও ছয়টি কার্গো বিমান অবতরণ করেছে, যেগুলোতেও সামরিক সরঞ্জাম ছিল বলে নিশ্চিত করেছে তুর্কি ও পাকিস্তানি সূত্র।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া বিশ্লেষণ করে বলছে, ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনার পর দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে বেড়ে চলা উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তুরস্কের এই পদক্ষেপ এসেছে।

তুরস্কের পাশাপাশি পাকিস্তান চীনের সঙ্গেও সামরিক সম্পর্ক জোরদার করছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে চীন প্রায় ৪০টি দেশে অস্ত্র রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে ৮২ শতাংশেরও বেশি অস্ত্র গেছে পাকিস্তানে।

এদিকে, ভারতের সাথে যুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানের পক্ষে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছে খালিস্তানপন্থী শিখরা। খালিস্তানি নেতা গুরপাতওয়ান্ত সিং পান্নু হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যুদ্ধ বাধলে দুই কোটি শিখ পাকিস্তানের পক্ষে অপ্রতিরোধ্য দেয়াল হয়ে দাঁড়াবে এবং ভারতীয় সেনাদের পাঞ্জাব পার হতে দেওয়া হবে না। পান্নু আরও দাবি করেন, ভারতের বিজেপি সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে কাশ্মীরে হামলার নাটক সাজিয়েছে এবং হিন্দুদের হত্যা করে নির্বাচনী ফায়দা তুলতে চাইছে।

তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সতর্ক করে বলেন, ইন্দিরা গান্ধীর পরিণতি তাদেরও হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—আগামী ৯ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে সেমিনার ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় তিন সংগঠন সম্মিলিতভাবে ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে ৪টি বৃহত্তর অঞ্চলে ভাগ করে এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। উদ্দেশ্য হলো—তরুণদের ক্ষমতায়ন, রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং একটি আধুনিক, মানবিক বাংলাদেশ নির্মাণে তরুণ প্রজন্মের মতামত ও চিন্তা সংগ্রহ করা।

প্রথম দিন: "তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ" শীর্ষক সেমিনার।
দ্বিতীয় দিন: "তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ"।

সেমিনারে তরুণ প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, চিন্তাবিদ ও উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রযুক্তি, পরিবেশ ও রাজনৈতিক অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। এ কর্মসূচি বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা ও তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের আলোকে পরিচালিত হবে।

চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগ:
▪ ৯ মে — কর্মসংস্থান ও শিল্পায়ন নিয়ে সেমিনার
▪ ১০ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

খুলনা ও বরিশাল বিভাগ:
▪ ১৬ মে — শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে সেমিনার
▪ ১৭ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ:
▪ ২৩ মে — কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা ও নাগরিক সমস্যা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৪ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ:
▪ ২৭ মে — তরুণদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও রাজনৈতিক ভাবনা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৮ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

মোনায়েম মুন্না বলেন, এই কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে তরুণদের প্রত্যাশা, মতামত ও ভাবনাকে রাজনৈতিক নীতিতে যুক্ত করে একটি জনমুখী, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনের পথ তৈরি করবে বিএনপি।

Header Ad
Header Ad

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

দেশের পাঁচটি জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ও সোমবার (২৭ ও ২৮ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। কুমিল্লার মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলায় চারজন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে তিনজন, নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও মদনে দুজন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় একজন এবং চাঁদপুরের কচুয়ায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রপাতে দুজন কৃষক নিহত হন। নিহতরা হলেন নিখিল দেবনাথ (৫৮) ও জুয়েল ভূঁইয়া (৩০)।

একই জেলার বরুড়া উপজেলার খোসবাস উত্তর ইউনিয়নের পয়েলগচ্ছ গ্রামে দুপুর ১২টার দিকে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় বজ্রপাতে মারা যায় দুই কিশোর—মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) ও মো. ফাহাদ (১৩)। এ সময় আবু সুফিয়ান (সাড়ে ৭) নামের একটি শিশু আহত হয় এবং তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে খয়েরপুর আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের হাওরে ধান কাটার সময় সকালে বজ্রপাতে প্রাণ হারান দুই কৃষক—ইন্দ্রজিৎ দাস (৩০) ও স্বাধীন মিয়া (১৫)। একই সময়ে মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে ধানের খড় শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন ফুলেছা বেগম (৬৫) নামের এক নারী।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধনুন্দ গ্রামে রবিবার রাত ১০টার দিকে বজ্রপাতে আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান দিদারুল ইসলাম (২৮)। তিনি একটি ইফতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
আজ সকাল ৭টার দিকে মদন উপজেলার তিয়োশ্রী গ্রামে মাদ্রাসাগামী শিশু মো. আরাফাত (১০) বজ্রপাতে মারা যায়।

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান রিমন তালুকদার। তিনি শাল্লা ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামে সকালে বজ্রপাতের বিকট শব্দে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বিশাখা রানী (৩৫)। তিনি কৃষক হরিপদ সরকারের স্ত্রী। চিকিৎসক জানান, বজ্রপাতের সরাসরি আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না, শব্দের প্রভাবে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি