সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সরকারি প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে ভুল বানানের ছড়াছড়ি, বাদ যায়নি বাংলা একাডেমিও

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বিসিএস সহ নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে উপযুক্ত ব্যক্তিকে বাছাই করার একমাত্র দায়িত্বভার বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের। প্রতিষ্ঠানটি বিসিএস পরীক্ষায় ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটলেও সাইনবোর্ডে নিজের নামে ভুল বানান বয়ে বেড়াচ্ছে বছরের পর বছর ধরে।

বাংলা একাডেমি রচিত বাংলা বানান অভিধান অনুযায়ী সারকারি শব্দটি ই-কার (ি-কার) দিয়ে ব্যবহার করার কথা থাকলেও এই প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে ব্যবহার হচ্ছে ঈ-কার (ী-কার) (সরকারী)। যদিও ওয়েবসাইটে ঠিকই প্রতিষ্ঠানটির নাম ি-কার দিয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন লেখা রয়েছে।

ওদিকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বাইরের সাইনবোর্ডে একাডেমি শব্দটিতে বাংলা বানান অভিধানের আলোকে একডেমি লিখলেও ভেতরের সাইনবোর্ডগুলোতে এখনও ী-কার দিয়ে লেখা রয়েছে একাডেমী।

শুধু এই দুই প্রতিষ্ঠানই নয়, খোদ উচ্চ আদালতও বয়ে বেড়াচ্ছে ভুল বানান। প্রতিষ্ঠানটির সাইনবোর্ডে সুপ্রীম কোর্ট লিখেছে ী-কার দিয়ে। যদিও বাংলা বানান অভিধান অনুযায়ী বিদেশি শব্দ হিসেবে লিখার কথা ছিল ‘সুপ্রিম কোর্ট’।

ভুল বানানের নামে পরিচিত হচ্ছে নোয়াখালী সরকারি কলেজসহ জাতি গড়ার বহু সূতিকাগারও। কিছু প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডের নাম ঠিক হলেও ওয়েবসাইটে রয়ে গেছে ভুল, কারো আবার ওয়েবসাইট ঠিক থাকলেও লোগেতে ভুল। সরকারি যানবাহন অধিদফতর তাদের সাইনবোর্ড ঠিক করলেও এখনও ওয়েবসাইটে সরকারী লেখা রয়েছে ী-কার দিয়ে। একই অবস্থা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিসহ অনেক প্রতিষ্ঠানে। সরকারি বিভিন্ন বিদ্যুৎ-গ্যাস কোম্পানিও এখনও নিজেদের নাম লিখতে কোম্পানী লিখছে ী-কার দিয়ে। শুধু সাইনবোর্ড নয়, সরকারি নানান পত্রেও প্রতিনিয়ত দেখা যাচ্ছে বাংলা ভুল বানানের ছড়াছড়ি। যাকে শহীদের রক্তে অর্জিত মাতৃভাষার অবমাননা বলে মনে করেন সচেতন মানুষ।

যদিও ২০১২ সালের ৩১ অক্টোবর সরকারি কাজে বাংলা একাডেমির নির্ধারিত বানান অনুসরণ করতে একটি বিশেষ অনুশান জারি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে এই অনুশাসন বাস্তবায়ন সব মন্ত্রণালয়কে দৃষ্টি আকর্ষণও করা হয়েছিল। সেই অনুশাসনে একাডেমি ও সরকারিসহ বিভিন্ন প্রচলিত ভুল বানান চিহ্নিত করে দিয়ে তা সংশোধন করতেও বলা হয়। কিন্তু এক যুগেও বাস্তবায়ন করা যায়নি এই অনুশাসন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও সরকারি চাকরিপ্রার্থী আফিয়া আঞ্জুম বলেন, চাকরির পরীক্ষাগুলোতে ভুল বানানের জন্য নম্বর কাটা হয়। এজন্য আমরা অভিধানকে গুরুত্ব দিয়ে পড়ি। কিন্তু অভিধান পড়লেও চোখের সামনে দেখা অনেক ভুল মনে থেকে যায়। যার কারণে অনেকসময় ভুলও হয়। এজন্য সঠিক বানান নিশ্চিতে বাংলা একাডেমির কাজ করা উচিত।

সাকিব হাসান নামে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের একজন শিক্ষার্থী বলেন, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন তাদের সাইনবোর্ডে একটা লিখেছে ওয়েবে লিখেছে আরেকটা। আর্থাৎ তারা নিজেরাই যেন সন্দিহান। এত বছরেও নিজের প্রতিষ্ঠানের নামের বানান ঠিক করতে না পারা এই প্রতিষ্ঠানটির অন্তত চাকরিপ্রার্থীদের বানান ভুল দেখা বেমানান।

Header Ad
Header Ad

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার

ছবি: সংগৃহীত

চূড়ান্ত বাঁশি বাজার ঠিক আগে এক উত্তপ্ত ঘটনার জন্ম দেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার। এরিক গার্সিয়ার বিরুদ্ধে কিলিয়ান এমবাপের করা একটি ফাউলের প্রতিবাদে বেঞ্চে থাকা রুদিগার ক্ষিপ্ত হয়ে রেফারির দিকে আইস ব্যাগ ছুঁড়ে মারেন, যার ফলে তিনি সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।

ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি। লাল কার্ড দেখার পর রুদিগার আরও উত্তেজিত হয়ে রেফারির দিকে তেড়ে যান, তবে ক্লাবের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য তাকে আটকান। পরে মাথা ঠাণ্ডা হলে রুদিগার নিজের আচরণের জন্য অনুতপ্ত হন এবং রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেফারি দে বুরগোস বেঙ্গোইচিয়ার কাছে ক্ষমা চান।

নিজের ভুল স্বীকার করে রুদিগার লেখেন, "গতরাতের আচরণের কোনো যুক্তি নেই। আমি সত্যিই দুঃখিত, এবং রেফারির কাছেও ক্ষমা চাইছি।" একইসঙ্গে তিনি নিজের পারফরম্যান্সের দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন এবং দলের দুর্দান্ত দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন।

রেফারির ম্যাচ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রুদিগার টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে একটি বস্তু ছুঁড়েছিলেন, যদিও তা রেফারির শরীরে লাগেনি। এছাড়া লাল কার্ড প্রদর্শনের পর তাকে শান্ত করতে টেকনিক্যাল স্টাফদের এগিয়ে আসতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহারের মাধ্যমে বরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল। ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে নোটবুক, কলম, পানি, বিস্কুট, সেলাইন এবং প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও মেডিসিন সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের বিশ্রামের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হয়।

এ সময় নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক ও আকিব জাবেদ রাফি, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সেকান্দার, গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মানিউল আলম পাঠান শান্ত, সদস্য ইমদাদুল হক ও হাসিবুর রহমান সাকিব, মহসিন হল শাখার দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুজার গিফারী ইফাত, সহ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রায়হানা পারভীন, সহ-আইন সম্পাদক সাফওয়ান হাসান তামিম, কর্মী কাজী আবির, আব্দুল্লাহ অনন্ত, লুৎফুর কবির রানা, ক্রীড়া সম্পাদক (জসীমউদ্দিন হল শাখা) আব্দুল ওহেদ, কর্মী মাসুম বিন বশির এবং নাঈম চৌধুরী।

ছাত্রদল নেতারা নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সফলতা কামনা করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে তাদের দুই সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টার সহকারীরা। অভিযোগ রয়েছে, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪ শত কোটি টাকা আয় করেছেন। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের পেছনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল বলেই তারা এতদূর যেতে পেরেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কি দায় এড়াতে পারেন?

সংগঠনটি বলেছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক ইতোমধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা