সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান থেকে বহিষ্কার

মামলা করবেন কামাল বায়েজীদ

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সেক্রেটারি জেনারেলের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়াকে সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী বলে দাবি করেছেন কামাল বায়েজীদ। অনিয়ম ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দিয়ে তা গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশের ফলে পরিবার ও সমাজের কাছে সম্মানহানি হয়েছে, এ জন্য আদালতে মামলা করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা ২২ জানুয়ারি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত তিন বছরে ব্যয় হওয়া ১ কোটি ২৪ লাখ ৫১ হাজার ৩৭৩ টাকার হিসাব দিতে পারেননি কামাল বায়েজীদ। এ ছাড়া জনতা ব্যাংকে সংগঠনের অ্যাকাউন্ট থেকে ২০১৯ সালে নিজের অ্যাকাউন্টে সংগঠনের টাকা স্থানান্তর করেন তিনি, এগুলোসহ ২৯টি অভিযোগ কামাল বায়েজীদের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে সম্পাদক (অর্থ) রফিক উল্লাহ সেলিমকে কেন্দ্রীয় পরিষদকে অর্থের হিসাব বুঝিয়ে না দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বহিষ্কার ও তার সংগঠনের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়।

বিস্তারিত পড়ুন : গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি ও সম্পাদক-অর্থকে বহিষ্কার

সংবাদ সম্মেলনে কামাল বায়েজীদ লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। পরে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এ সময় রফিক উল্লাহ সেলিমও উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘আমার ৬২ বছরের জীবনের ৪৫ বছর নাট্যজীবন। এই ৪৫ বছরের নিবেদিত শিল্পী জীবনে আমি জ্ঞানত কোন অন্যায় করিনি। কোন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি। কোন আর্থিক অনাচারের সাথে নিজেকে যুক্ত করিনি। তহবিল তসরুফ ও অর্থ লোপাটের মত ঘৃণ্য কাজ সব সময় ঘৃণা করেছি। সেই আমাকে সংগঠনের অর্থ লোপাটের মত ঘৃণ্য অপরাধে অপরাধী করে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করার প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হচ্ছি।

কামাল বায়েজীদ বলেন, ‘আমার ও আমাদের অর্থ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ২৯টি অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেগুলো কী জানি না। কারা এতে সই করেছেন তাও জানা নেই। আমাকে অব্যাহতি দেওয়ার কোনও কাগজও পাইনি। এই ফেডারেশন একটি সংবিধান অনুযায়ী চলে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হয়। কিন্তু কোনও অভিযোগের বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। আমি আইনি অ্যাকশনে যাবো।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘করোনাকালে কর্মীদের সাহায্যের জন্য চেয়ারম্যান (লিয়াকত আলী লাকি) আমার সই ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। আমরা জানতে পেরেছি সেই সাহায্য এসেছে। কিন্তু সেই অর্থ বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটারের কোনও অ্যাকাউন্টে জমা হয়নি। কোনও নথিতেও নেই। চেয়ারম্যান কাকে এই অর্থ দিয়েছেন সেটারও হিসাব নেই। আমি হিসাব দিতে বলেছিলাম, কিন্তু দেওয়া হয়নি।’

বায়েজীদ বলেন, ‘লাকী (লিয়াকত আলী লাকী) ভাই যেটা করেন, তার মর্জি মাফিক কিছু না হলেই তিনি হিংস্র হয়ে যান, কিন্তু এ হিংস্রতা শেষ পর্যন্ত রক্ষা করে না। লাকী ভাইয়ের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’

বায়েজীদ জানান, তার ব্যক্তিগত ধারণা, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী তার ওপর রেগে আছেন এবং সে কারণে তার ও সেলিমের সঙ্গে এমন কাজ করছেন।

বায়েজীদ বলেন, ‘গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনে একজন একটি পদে পরপর তিনবারের বেশি নির্বাচন করতে পারেন না। আমি এ কথাটি লাকী ভাইকে বলেছি। এ ছাড়া শিল্পকলায় তিনি প্রায় ১২ বছর ধরে রয়েছেন। সম্প্রতি তার দুর্নীতির খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে এলে আমি একটি সভায় তাকে বলেছিলাম, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সম্মানে আপনার কিছুদিন পদ থেকে বিরত থাকা উচিত, তাহলে আমরা অনেক বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকতে পারব।’

তিনি আরও বলেন, ‘সংগঠনটি বিভিন্ন অনুদান ও সদস্যদের চাঁদায় চলে। আমরা ৬৪টি জেলায় নাট্যোৎসব করেছি। মন্ত্রণালয় থেকেও বিভিন্ন সময় অনুদান দেওয়া হয়। দায়িত্ব গ্রহণের সময় মাত্র ৭৪ টাকা ছিল। আমরা সাড়ে ৯ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে কাজ শুরু করি। সেখানে এখন ৩৩ লাখ টাকা রয়েছে। এটা তো আমার ব্যক্তিগত টাকা নয়। এটি দেশের প্রত্যেক নাট্যকর্মীর। আমি এই টাকাগুলো এফডিআর করে রাখতে বলেছিলাম।’

বায়েজীদ বলেন, ‘আমার ধারণা এই দুটি কারণে লিয়াকত আলী লাকি আমার ওপর রেগে আছেন এবং এমন মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাদের দিকে বিভিন্ন দোষ দিতে চাচ্ছেন।’

বায়েজীদ জানান, সারা দেশের থিয়েটার সংগঠনগুলোকে নিয়ে কনভেনশন করবেন। সবার মতামতের ভিত্তিতে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনকে সাজানো হবে। তিনি গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রামেন্দু মজুমদার ফেডারেশন নিয়ে যে আশঙ্কা ও ভাবনার কথা জানিয়েছেন তার প্রতি সমর্থন জানান।

এ সম্পর্কে আরও পড়ুন : গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের কার্যক্রম স্থগিতের আহবান রামেন্দু মজুমদারের

সংবাদ সম্মেলনে সম্পাদক (অর্থ) রফিক উল্লাহ সেলিম তার নামে যে অভিযোগ, সেই অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করতে ২০১৮ থেকে ২০ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব বিবরণী সবার সামনে পেশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যে ঠিক আছি, এই বিবরণী তার প্রমাণ। আর মিটিংয়ে আমাকে হিসাব দাখিলের সুযোগ দেয়া হতো না।’

এ সম্পর্কে আরও পড়ুন :অভিযোগের জবাব দিতে আসছেন কামাল বায়েজীদ

এমএ/এপি

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ভারত এখন পাকিস্তানে সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যে বিশ্বের এক ডজনেরও বেশি দেশের নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং দিল্লিতে কূটনৈতিকদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন। তবে এসব আলোচনা মূলত অভিযানের যৌক্তিকতা তুলে ধরতেই হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

কাশ্মির সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে গুলিবিনিময় অব্যাহত রয়েছে। কাশ্মিরে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে এবং শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অতীতের সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার ইতিহাস তুলে ধরলেও এবারকার হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ এখনো প্রকাশ করেনি। পাকিস্তান সরকার সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, যেহেতু ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই পরমাণু শক্তিধর দেশ, তাই সামরিক সংঘাত বড় ধরনের বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে।

ইরান ও সৌদি আরব মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন জানালেও, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতি তাদের মনোযোগ সীমিত বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৯ সালের ঘটনার তুলনায় এবার প্রমাণের স্বচ্ছতা কম, আর “রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট” নামে একটি অজ্ঞাত গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করলেও ভারত এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠনের ছায়া গোষ্ঠী বলে মনে করছে।

ভারতীয় সরকারের ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ রয়েছে এবং মোদি সরকার “বড় ধরনের কিছু” করার পরিকল্পনায় এগোচ্ছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ