ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তনের প্রাক্তনী সম্মিলন
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন হচ্ছে ছায়ানট। এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬১ সালে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও উৎসব পালন করা ছাড়াও এই সংগঠন বাদ্যযন্ত্র, সঙ্গীত, নৃত্য প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান ও সঙ্গীত বিদ্যালয় পরিচালনা করে থাকে।
পহেলা বৈশাখের অন্যতম আকর্ষণ রমনার বটমূলে ছায়ানটের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।
আবহমান বাংলা গানের চর্চা ও শিক্ষার্থীদের বাঙালি জাতিসত্তায় উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে ছায়ানট ১৯৬৩ সালে ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তন প্রতিষ্ঠিত হয়। স্থির প্রত্যয়ে একই লক্ষ্যে আজও যা বহমান। যেখানে সহযাত্রী, দেড়শতাধিক শিক্ষক এবং প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী।
ছয় দশক পেরিয়েছে ছায়ানট। পুরনো সাথিদের আবারো ডাক দিচ্ছে মিলনোৎসবে। রোকাইয়া হাসিনা নীলিকে আহ্বায়ক করে ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তনের প্রাক্তনী সম্মিলন আয়োজনের প্রস্তুতি পরিষদ গড়া হয়েছে।
এই মিলনমেলা হবে ১৮ ফাল্গুন ১৪৩০, ২ মার্চ ২০২৪, শনিবার।
ছায়ানট মনে করে সমাজ ও সংস্কৃতির বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রাক্তনী সম্মিলন তাৎপর্যপূর্ণ হবে।
ষাটের দশকে ফৌজি পাক-সরকার তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে রবীন্দ্র সংগীত গাওয়া, বেতার বা টেলিভিশনে সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে। এতে বাংলাদেশের প্রবাদপ্রতিম রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী কলিম শরাফী দমে না গিয়ে অন্যান্যদের সহায়তায় রবীন্দ্র সংগীত, নাটক ও নৃত্যনাট্যের সংস্থা ছায়ানট গড়ে তোলেন। নিষেধাজ্ঞার ভিতর গুপ্ত সংগঠনের মতো জেলা শহরগুলিতে ছড়িয়ে পড়েছিল 'ছায়ানট'-এর শাখা। ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র-জন্মশতবার্ষিকী উৎযাপনের পর একটি প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন কয়েকজন সংগঠক। তাদের মধ্যে মোখলেসুর রহমান (সিধু ভাই নামে পরিচিত), শামসুন্নাহার রহমান, সুফিয়া কামাল, ওয়াহিদুল হক অন্যতম। সাঈদুল হাসানের প্রস্তাবে সংঠনটির নামকরণ করা হয় ছায়ানট।