মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে গণ-অভ্যুত্থান দিবস স্মরণ
উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণসংগীত পরিবেশন করে ‘স্বভূমি লেখক শিল্পী কেন্দ্র’
উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সোমবার (২৪ জানুয়ারি ) সকাল ১১টায় জাদুঘর মিলনায়তনে বিশেষ আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। সূচনা বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী।
সাংস্কৃতিক পর্বে আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী রফিকুল ইসলাম। পথশিশুদের নিয়ে পরিচালিত স্কুল ইউরেকার শিক্ষার্থীরা ছড়া পাঠ করে। গণসংগীত পরিবেশন করে ‘স্বভূমি লেখক শিল্পী কেন্দ্র’।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হলেও স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। সাম্প্রদায়িকতা, কুসংস্কার, দুর্নীতি ও জুলুমের বিরুদ্ধে আমাদের জয়ী হতে হবে। দেশকে উন্নত করতে শিক্ষায় জ্ঞানে বিজ্ঞানে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যুদ্ধ বর্তমান প্রজন্মের সামনে।’ সেই যুদ্ধেও জয়ী হওয়ার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি তিনি আহ্বান।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধে মাত্র নয় মাসে জয়ী হওয়ায় ইন্দিরা গান্ধী ও ভারতের জনগণের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘ইন্দিরা গান্ধী মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র ও সেনা সহায়তা দিয়েছেন, সারা বিশ্বে দৃঢ়ভাবে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছেন, এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছেন। সে কারণেই আমরা অল্প সময়ে যুদ্ধে জয়ী হতে পেরেছি। তা নাহলে হয়তো যুদ্ধে জয়ী হতে আরও সময় লাগতো। কিন্তু আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত ছিল।’
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মাত্র নয় মাসের যুদ্ধের ইতিহাস নয়। এর ব্যাপ্তি বিশাল। গণ-অভ্যুত্থানসহ মুক্তিযুদ্ধে উপনীত হওয়ার পূর্বের ইতিহাস তরুণ প্রজন্মকে জানাতে পাঠ্যপুস্তকে তা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা আন্দোলন ৬৯’ এর গণ-অভ্যুত্থানে চূড়ান্ত পরিণতি পেয়েছিল। এ আন্দোলনের কারণেই আইয়ুব খান পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল, বঙ্গবন্ধুকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল এবং ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়েছিল।’
এপি/