সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বাংলা সাহিত্যে সমরেশ মজুমদার ছিলেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার আর নেই। চলে গেলেন অনিমেষ, মাধবীলতার শ্রষ্ঠা। না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন প্রবাদপ্রতিম কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। বেশ কিছুদিন ধরেই সিওপিডির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সোমবার (৮ মে) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৪৫ নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। খ্যাতনামা এই কথাসাহিত্যিকের বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসাধীন ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে। স্ট্রোক’ ও ‘বালবার প্যালসি’ থেকে শ্বাসযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়েই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া তাঁর বহুদিন ধরেই সিওপিডি, অবস্ট্রাকটিভ স্প্রি অ্যাপনিয়া ও মায়াসথেনিয়া গ্র্যাভিসেরও সমস্যা ছিল। ওই হাসপাতালে তিনি গত ২৫শে এপ্রিল ভর্তি হয়েছিলেন।

বাংলা ভাষার অগ্রগণ্য ও জনপ্রিয় লেখক সমরেশ মজুমদার। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায় বা সমরেশ বসুদের পরবর্তী সময়ের লেখক সমরেশ মজুমদারের প্রথম গল্প ‘দৌড়’ ১৯৭৫ সালে ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এর পরের দশকে সমরেশ মজুমদার একের পর এক স্মরণীয় ছোটগল্প, বড় গল্প, উপন্যাসের জন্ম দিয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাতকাহন, তেরো পার্বণ, উনিশ-বিশ, টাকা পয়সা, গর্ভধারিণী, অর্জুন মেজরের অ্যাডভেঞ্চার, এই আমি রেণু, অবশ, স্মরণাগত, দিন যায় রাত যায়, ফেরারি, তীর্থযাত্রী, বন্দি নিবাস, বুনো হাঁস, নিকট কথা, শ্রদ্ধাঞ্জলি, অনুপ্রবেশ, ওরা এবং ওদের মায়েরা, দাউ দাউ আগুন, হারামির হাতবাক্স, বিলে পালায়নি প্রমুখ। ‘কালবেলা’, ‘কালপুরুষ’ ও ‘উত্তরাধিকারে’র ট্রিলজি অথবা দৌড়, গর্ভধারিণীর মতো উপন্যাস তাঁকে বাংলা সাহিত্যে স্থায়ী জায়গা করে দিয়েছিল। ১৯৪২ সালের ১০ই মার্চ পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে জন্ম বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক এবং ঔপন্যাসিক সমরেশ মজুমদারের। তাঁর শৈশব কাটে প্রকৃতির কোলে, চা বাগানে ঘুরে, আদিবাসী শিশুদের সাথে খেলে। এ কারণেই সমরেশ মজুমদার এর বই সমগ্রতে বারবার উঠে আসে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি, চা বাগান, বৃষ্টি কিংবা পাহাড়ের কথা। তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় জলপাইগুড়ির জেলা স্কুল থেকে। জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল থেকে শিক্ষা শেষ করে তিনি কলকাতায় আসেন ১৯৬০ সালে। বাংলায় স্নাতক সম্পন্ন করেন কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে এবং এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর প্রথম গল্প ‘অন্য মাত্রা’ লেখাই হয়েছিল মঞ্চনাটক হিসাবে, আর সেখান থেকেই তার লেখকজীবনের শুরু। সেই লেখাটি ছাপা হয়েছিল দেশ পত্রিকায়, ১৯৬৭ সালে। সমরেশ মজুমদারের প্রথম উপন্যাস ‘দৌড়’ ছাপা হয়েছিলো ওই একই পত্রিকায়, ১৯৭৫ সালে।সমরেশ মজুমদারের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলির মধ্যে সাতকাহন, তেরো পার্বণ, স্বপ্নের বাজার, উজান, গঙ্গা, ভিক্টোরিয়ার বাগান, আট কুঠুরি নয় দরজা, অনুরাগ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।তবে বাংলা সাহিত্যের পাঠক তাঁকে সবচেয়ে বেশি মনে রেখেছেন উত্তরাধিকার, কালবেলা ও কালপুরুষের ট্রিলজির জন্য।ডুয়ার্সের চা বাগানকে সমরেশ মজুমদারের লেখার সূত্রেই চিনেছিলেন বহু পাঠক। গ্রুপ থিয়েটারের প্রতি তাঁর ছিল ভীষণ ঝোঁক। মঞ্চনাটকে চিত্রায়নের উদ্দেশ্যে তিনি সর্বপ্রথম ‘অন্তর আত্মা’ নামের একটি গল্প রচনা করেছিলেন। সেই গল্পে নাটক মঞ্চায়িত না হলেও পশ্চিমবঙ্গের পাক্ষিক সাহিত্য পত্রিকা দেশ-এ প্রকাশিত হয় গল্পটি। সেই থেকেই শুরু তাঁর লেখকজীবন। সমরেশ মজুমদার এর বই বাংলাদেশের প্রচুর মানুষ পড়েন, পড়তে ভালোবাসেন। দুই বাংলাতেই তিনি সমান জনপ্রিয়। তিনি ঔপন্যাসিক হিসেবে বিখ্যাত হলেও, ছোটগল্প, কিশোর উপন্যাস, নাটক, চিত্রনাট্যসহ, গোয়েন্দাকাহিনীও রচনা করেছেন। সমরেশ মজুমদার এর বই সমূহ, যেমন- সাতকাহন, গর্ভধারিণী, মৌষকাল, ট্রিলজি- উত্তরাধিকার-কালবেলা-কালপুরুষ, আট কুঠুরি নয় দরজা ইত্যাদি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাঁর সৃষ্ট চরিত্র অনিমেষ, মাধবীলতা, দীপাবলী আর জয়িতা পাঠকমনে আজও বিরাজমান।

সাহিত্যে তাঁর অনন্য এবং অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বিভিন্ন সময়ে আনন্দ পুরস্কার, সত্য আকাদেমী পুরষ্কার, বঙ্কিম পুরস্কার এবং আইআইএমএস পুরস্কার অর্জন করেছেন। তার শৈশব কেটেছে ডুয়ার্সের গায়েরকাটা চা বাগানে। ডুয়ার্সের জল-জঙ্গল ও চা-বাগানের জীবন তাঁর বহু গল্প ও উপন্যাসে উঠে এসেছে।১৯৮২ সালে তিনি আনন্দ পুরস্কার, ১৯৮৪ সালে সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার এবং বঙ্কিম পুরস্কার লাভ করেছিলেন। নকশাল আমলের প্রেক্ষাপটে লেখা ‘কালবেলা’র চরিত্র অনিমেষ ও মাধবীলতা সমরেশ মজুমদারের অনন্য এক সৃষ্টি বলেই গণ্য করা হয়, যা অসংখ্য পাঠকের ভালবাসা ও সমাদর পেয়েছে।সমরেশ মজুমদারের জন্ম ১৯৪২ সালের ১০ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের গয়েরকাটায়। তাঁর শৈশব কেটেছে ডুয়ার্সের চা–বাগানে। স্কুলজীবন কেটেছে জলপাইগুড়িতে। ষাটের দশকের শুরুর দিকে কলকাতায় এসে স্কটিশ চার্চ কলেজে স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর করেন তিনি। সমরেশ মজুমদারের লেখালেখির শুরু গ্রুপ থিয়েটার ও নাটক লেখার মধ্য দিয়ে। তাঁর প্রথম গল্প প্রকাশিত হয় ১৯৬৫ সালে। তবে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে বেড়ে ওঠা সমরেশকে সম্ভবত বাঙালি পাঠক বেশি মনে রাখবে পশ্চিমবঙ্গের নকশাল আন্দোলনের পটভূমিতে লেখা তাঁর ত্রয়ী উপন্যাস ‘উত্তরাধিকার’, ‘কালবেলা’, ‘কালপুরুষ’ এর জন্য। তাঁর সাহিত্যিক জীবনের একেবারে গোড়ার দিকে লেখা এই তিন উপন্যাস তাঁকে রাতারাতি পশ্চিমবঙ্গের একজন তারকা লেখকে পরিণত করে। পরবর্তী সময়ে এর চতুর্থ পর্ব ‘মৌষলকাল’ লেখেন সমরেশ।তার জন্মের সময় পুরোদমে চলছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। যার ছাপ খানিক পড়েছিল উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলেও। এই উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সেই কেটেছে সমরেশ মজুমদারের ছাত্রজীবন। তার গল্পে, উপন্যাসে বার বার ঘুরেফিরে এসেছে উত্তরবঙ্গের অনন্য সৌন্দর্য। বিপ্লব, সংগ্রাম ও জীবনকে অন্যভাবে যাপনের কাহিনী কখনও তিনি ছেড়ে যাননি। তার ‘গর্ভধারিনী’ উপন্যাস কার্যত বৈপ্লবিক। সমাজতন্ত্র, সমাজ পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে হিমালয়ের কোলে, সান্দাকফু পেরিয়ে এক বরফঢাকা গ্রামে নিয়ে গিয়েছিলেন তার উপন্যাসের তরুণ চরিত্রদের। গোয়েন্দা-গল্পেও তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। তার লেখা অর্জুনের গল্পে বিভোর থেকেছে পাঠকরা। বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দা কম নেই। ফেলুদা, ব্যোমকেশ সবাই সক্রিয়ভাবে বিরাজ করছেন আজও। কিন্তু, সবাই কলকাতায় থাকেন। রহস্য ধরতে হিল্লি-দিল্লি যান। সেখানে সমরেশের গল্পের গোয়েন্দা, তথা, সত্যসন্ধানী অর্জুন জলপাইগুড়ির ছেলে। কলকাতাতেও কেস সলভ করতে আসেন। কিন্তু তার আসল জায়গা জলপাইগুড়ি।

লেখালেখির জগতেও প্রবেশ বাংলার একটি বিখ্যাত পত্রিকার হাত ধরে। প্রথম লেখা প্রকাশ ওখানেই। পরে কর্মসূত্রেও জড়িয়ে ছিলেন বাংলার একটি প্রথমসারির পত্রিকা গোষ্ঠীর সঙ্গে। তবে সমরেশ মজুমদারকে একধাক্কায় খ্যাতির আলোয় নিয়ে আসে তার বিখ্যাত ‘ট্রিলজি’। ‘উত্তরাধিকার’ যার প্রথম খন্ড। পরের খন্ড ‘কালবেলা’ আজও বাংলা সাহিত্যের অন্যতম আধুনিক ক্লাসিক বলে স্বীকৃত। কলকাতার উত্তাল নকশাল আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে লেখা স্লোগান, বিপ্লব, রক্ত, বোমা ও প্রেমের এক তোলপাড় ফেলা কাহিনীর জন্য ১৯৮৪ সালে সাহিত্য আকাডেমি পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় তাকে। শহরকেন্দ্রিক জীবনের আলেখ্য বারবার উঠে এসেছে সমরেশ মজুমদারের লেখায়। যে কারণে তাঁকে আপাদমস্তক ‘আরবান’ লেখক বলে অনেক সময় বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু এরই পাশাপাশি নিজের শৈশব–কৈশোরের চা–বাগানের জীবন, শ্রমিক, রাজনৈতিক নেতা থেকে ছোট ছোট চরিত্র ঘুরেফিরে এসেছে শুধু তাঁর প্রধান উপন্যাসগুলোতেই নয়, ছোটগল্পেও। ঘরোয়া আড্ডার সময়ও খুব মনোযোগ দিয়ে কৈশোরের এই চরিত্রগুলোকে তুলে ধরতেন তিনি। মফস্বল শহর, তার মানুষ, জলপাইগুড়ির আশেপাশে তিস্তা, তোর্সা ইত্যাদি নদী ছাড়িয়ে জলদাপাড়া, মাদারিহাট, বীরপাড়া, মালবাজার, রাজাভাতখাওয়া, হলং, গরুমারা ইত্যাদি ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ পাহাড় জঙ্গলে আর চা বাগানে ঘেরা এক প্রাকৃতিক পরিবেশে গজিয়ে ওঠে নানা ভয়ানক রহস্য। ‘খুঁটিমারি রেঞ্জ’, ‘খুনখারাপি’, ‘কালিম্পং-এ সীতাহরণ’ ইত্যাদি গল্পে দুরন্ত রহস্য সমাধান করে অর্জুন। তার লাল মোটরবাইক কার্যত এক ‘আইকনিক’ অংশ হয়ে ওঠে গল্পের। লেখক অর্জুনকে শুধু বাংলাতেই আটকে রাখেননি। নিয়ে গিয়েছিলেন আমেরিকায়, অর্জুন কেস ধরেছে একেবারে নিউইয়র্ক সিটিতে।

সমরেশ মজুমদারের উপন্যাসের বিষয়, গল্প ও গঠনশৈলী ছিল গতানুগতিক ধারার বাইরে। সহজেই তিনি দুই বাংলার পাঠকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। সমরেশ মজুমদার ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন লব্ধপ্রতিষ্ঠ কথাকার। কলকাতা বাংলা সাহিত্যের নক্ষত্রপতনে সাহিত্য জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।

 

রেজিস্ট্রার, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর।

 

ডিএসএস/

Header Ad
Header Ad

জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার অভিযোগপত্র পর্যালোচনা এবং মেঘনা আলমের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল মডেল মেঘনা আলমকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আটক করে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর আদালতে তাকে আটক রাখার আবেদন করলে সেটি মঞ্জুর হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন মিলে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রটি বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের ব্যবহার করে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহিত করত। এরপর এসব সম্পর্কের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ভিকটিমদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হতো।

 

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি দেওয়ান সমির 'কাওয়ালি গ্রুপ' নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং 'সানজানা ইন্টারন্যাশনাল' নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক। এর আগে তার 'মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড' নামের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল।

চক্রটি 'ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর' নিয়োগের নামে সুন্দরী ও আকর্ষণীয় মেয়েদের ব্যবহার করে সহজে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে যাতায়াতের সুযোগ তৈরি করত। উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের চাঁদা আদায় এবং দেওয়ান সমিরের ব্যক্তিগত ব্যবসাকে লাভজনক করা।

Header Ad
Header Ad

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ, আন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং এই গণ-অভ্যুত্থানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর' গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকার।

সোমবার (২৮ এপ্রিল ২০২৫) সরকারের পক্ষ থেকে গেজেট আকারে এ সংক্রান্ত ঘোষণা প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই অধিদপ্তর গঠনের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনেই এই নতুন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি, অধিদপ্তর গঠনের প্রক্রিয়ায় গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে উপদেষ্টা পরিষদে বিষয়টি উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই অধিদপ্তর শুধু ইতিহাস সংরক্ষণের কাজই করবে না, বরং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ও আদর্শকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন গবেষণা, প্রকাশনা এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। একইসঙ্গে, নিহত এবং আহতদের পরিবারদের যথাযথ পুনর্বাসন ও সহায়তার ব্যবস্থাও করা হবে।

Header Ad
Header Ad

নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি

ছবি: সংগৃহীত

নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।


তিনি বলেন, “৫ আগস্টের পর একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মূল আসামির পাশাপাশি নিরীহ মানুষকেও মামলায় আসামি করছে। এটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ধরনের হয়রানি সহ্য করা হবে না। পুলিশ নিরপেক্ষভাবে মামলার তদন্ত করবে এবং নিরীহ কাউকে হয়রানির শিকার হতে দেওয়া হবে না।”

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) থেকে তিন দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ শুরু হচ্ছে। এবার পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, “এবার আমরা অনাড়ম্বরভাবে নয়, বরং বাস্তবসম্মত ও কার্যকরভাবে পুলিশ সপ্তাহ পালন করতে চাই। শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও দায়িত্ববোধ বাড়ানো হবে।”

তিনি আরও জানান, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কার্যকর পরিকল্পনা ও মতামত সংগ্রহ করে সেগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া এবারের পুলিশ সপ্তাহে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা সরাসরি পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে তাদের মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ প্রদান করবেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি