শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫ | ২২ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

শিক্ষাক্রম: স্বপ্ন ও সামাজিক রূপান্তর

মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণীত ও ২০২৩ সাল থেকে তা চালু হয়েছে। শুরু হয়েছে সকল স্তরে এ শিক্ষাক্রম বিস্তরণ ও শিক্ষক-প্রশিক্ষণ। অনেকদিন অপেক্ষার পর নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি হলো। এ অনুযায়ী প্রস্তুত করা হয়েছে পাঠক্রম। এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এবং উন্নত শিক্ষা। ফলে খুব জরুরি ছিল এ শিক্ষাক্রম। এসব কার্যক্রমে বর্তমান সরকারের অঙ্গীকারই বাস্তবায়িত হচ্ছে। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমন্বিত, সর্বজনীন শিক্ষানীতি প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর আমরা সব ভুলে যাই। আবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণীত ও এর বাস্তবায়ন চলমান। যে শিক্ষানীতিতে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়নের কথা বলা হয়। এর আলোকেই নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও পাঠ্যপুস্তক রচিত হয়েছে। সমকালীন বিশ্ব, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, প্রযুক্তির অগ্রগতি ও জাতীয় চাহিদা সমন্বিত করে এ শিক্ষাক্রম প্রণীত হয়েছে। এ অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় বর্তমান সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এসব কার্যক্রমের লক্ষ্য জাতির স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও প্রয়োজনীয় সামাজিক রূপান্তর।

শিক্ষার মানোন্নয়নে এ-শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ছাড়া এখন আর কোনো বিকল্প নেই। তা বাস্তবায়ন করতে গেলে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সকলকে শিক্ষাক্রম ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সচেতন হওয়া, জানা বোঝা অতীব জরুরি। এক্ষেত্রে সৈয়দ মো. গোলম ফারুক রচিত ‘নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকের ভূমিকা (২০২৩)’ অতি দরকারি একটি গ্রন্থ। প্রণীত এ-শিক্ষাক্রম বোঝাপড়ায় অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে। কারণ শিক্ষাক্রম চালু হলেও এ বিষয়ে তথ্যসমৃদ্ধ, ব্যাখ্যামূলক কোনো বিশ্লেষণ এখনো নজরে পড়েনি। যেক্ষেত্রে বাজারি আলোচনাসমূহ একান্তই নিরর্থক। বস্তুত নতুন শিক্ষাক্রমের ভিত্তি আলোচনায় যা বলা হয়েছে, এসব বিষয়ে গোলাম ফারুক গুরুত্ব দিয়েছেন। এর আলোকে তিনি উল্লেখ করেছেন কিছু সমাধানসূত্র।

স্মরণীয় জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এ বলা হয়েছে, ’শিক্ষার মূল প্রাণবিন্দু শিক্ষাক্রম।...মূলত শিক্ষার্থীর জ্ঞান, দৃষ্টিভঙ্গি, দক্ষতা ও কাঙ্ক্ষিত আচরণিক পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি দক্ষ, দেশপ্রেমিক, আত্মনির্ভরশীল, নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন, শ্রমনিষ্ঠ সুনাগরিক জনগোষ্ঠী গড়ে তোলাই শিক্ষার লক্ষ্য। তাই শিক্ষাক্রম, পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যপুস্তকের গুরুত্ব অপরিসীম। শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনের উপযোগী শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে। আর সেই শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচির আলোকেই রচিত হবে পাঠ্যপুস্তক। পুস্তক প্রণয়নের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখা হবে যে প্রকৃত শিক্ষা যেন জীবনঘনিষ্ঠ হয় এবং তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত করে এবং চিন্তাশক্তি, কল্পনাশক্তি, অনুসন্ধিৎসা ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে সহায়ক হয়।’ (২০১০: ৬০) এর উপর ভিত্তি করে শুরু হয় শিক্ষাক্রম প্রণয়ন, যা এ বছর থেকে চালু হলো। এ নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখার কিছু বক্তব্যও পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে।

‘একবিংশ শতাব্দীর তথ্য ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেরকম

নাগরিক তৈরিতে হিমশিম খাচ্ছে সনাতনী শিক্ষাব্যবস্থা। কারণ এই সনাতন মুখস্থ ও পরীক্ষানির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি হয়েছিল আজ থেকে তিনশত বছর আগের তৎকালীন সমাজের জীবন ও জীবিকার প্রয়োজন মেটানোর জন্য, এরপর শিক্ষা-কাঠামোর গুণগত পরিবর্তন হয়েছে খুব কমই। এখন প্রয়োজন এমন শিক্ষাব্যবস্থা, যা নমনীয়, দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সক্ষম এবং উদ্ভূত আর্থসামাজিক প্রয়োজনের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন চলমান পুরোনো সমস্যার টেকসই সমাধান, আর নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার চেষ্টা ও আত্মবিশ্বাস।’ এ রূপরেখার অনুরূপ স্বরই উচ্চারিত হয়েছে সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক রচিত গ্রন্থে।

গ্রন্থভুক্ত লেখাগুলো বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত গ্রন্থটি তিনটি অধ্যায়ে বিভাজিত: নতুন শিক্ষাক্রম; নতুন শিক্ষাক্রম ও প্রযুক্তি এবং শিক্ষকের ভূমিকা। তিনটি অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে ৪৫টি প্রবন্ধ। সাম্প্রতিককালে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট এরূপ কোনো বই প্রকাশিত হয়েছে বা আছে বলে আমাদের জানা নেই। বস্তুত বৈশ্বিক প্রেক্ষিত ও দ্রুত পরিবর্তনশীল অবস্থার পর্যবেক্ষণে লেখক বলেছেন, ‘শুধু পেশারই পরিবর্তন হবে তা কিন্তু নয়; সমাজ, রাষ্ট্র, পারিবারিক সম্পর্ক, দেশের সীমানা, সাইবার মাইগ্রেশন, জেন্ডার আইডেন্টিটি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাবে ইন্দ্রিয় অনুভূতির মতো ক্ষেত্রেও বড়ো ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। এত সব পরিবর্তনের ধাক্কা সামলানোর জন্য যে মাত্রার মানসিক নমনীয়তা প্রয়োজন সেটা আমাদের নেই। তার চেয়ে বড়ো কথা এই মানসিক নমনীয়তা তৈরি করার জন্য যে নতুন শিক্ষাক্রমের কথা বলা হচ্ছে সেটা গ্রহণ করার মতো মানসিক ধারণ ক্ষমতাও তৈরি হয়নি এখনো।’ (২০২৩ : ২২)

ফলত শিক্ষাক্রম জানাবোঝা ও বৈশ্বিক শিক্ষাচিন্তার বিবিধ প্রসঙ্গ জানতে এ গ্রন্থটি অত্যন্ত সহায়ক। শিক্ষাক্রম বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে এ বইটি ব্যতিক্রম। গ্রন্থভুক্ত প্রবন্ধগুলোর শিরোনাম ও পাঠকৃতির ভাষা খুব আকৃষ্ট করে। বিশেষত সাধারণ পাঠক খুব আনন্দের সঙ্গে পাঠ ও অনুধাবন করবেন বলে আমাদের ধারণা। শিক্ষাক্রম ও সাম্প্রতিক বৈশ্বিক শিক্ষাতত্ত্ব এবং তথ্য অতি সহজবোধ্য ভাষায় লেখক উপস্থাপন করেছেন। তার লেখা থেকে চলমান শিক্ষাক্রমের কিছু বৈশিষ্ট্য আমরা শনাক্ত করি। সেগুলো হলো: (ক) কোমল দক্ষতা অর্জনই হবে লক্ষ্য, (খ) উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত শিক্ষকরা অনুকরণ করে গবেষণা প্রবন্ধ না লিখে সৃজনশীলতায় আগ্রহী হবেন, (গ) শিক্ষার্থীরা মুখস্থ প্রক্রিয়ায় শিখবে না, বাস্তব জীবন থেকে সমাধানের পথ নিজেরাই খুঁজে নেবে, (ঘ) শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হবে আত্মবিশ্বাস, (ঙ) নিশ্চিত হবে শিক্ষকের যোগ্যতা ও মর্যাদা, (চ) শিক্ষার্থীরা দক্ষতার অর্জনের সঙ্গে জ্ঞান, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠবে, (ছ) শিক্ষার্থীরা হবে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ, ঐতিহ্য সচেতন ও বিশ্বনাগরিক, (জ) প্রতিযোগিতায় অন্ধত্বের বিপরীতে শিক্ষার্থীরা অর্জন করবে সহযোগিতামূলক দক্ষতা। এসবই এ-শিক্ষাক্রমের মৌল ভাষ্য।

প্রসঙ্গত, হাওয়ার্ড গার্ডেনারসহ অনেকেই বলেছেন, মানুষের মধ্যে আছে বহুমাত্রিক বুদ্ধিমত্তা। এর বিকাশে নতুন শিক্ষাক্রমে টুলস ও পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়াও এতে ‘ইভালুশনারি মানবতাবাদে’র মূল্যবোধ, নৈতিকতা, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, সৃজনশীলতা, সূক্ষ্ম চিন্তনদক্ষতা, যোগাযোগ দক্ষতা, সহমর্মিতা ইত্যাদির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, বাণিজ্যপুঁজির বিকাশ, নিওলিবারেলিজমের দুনিয়াতে প্রযুক্তি নির্ভর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনেক শক্তিশালী। আমরা যদি দ্রুত বিকাশমান প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্য অর্জন এবং আয়ত্ত করতে পারি, তাহলে প্রতিযোগিতাময় এ বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারব। ফলে শিক্ষাক্রমে এ বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের মতো দেশে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার বিকল্প নেই। লক্ষণীয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সকল সদস্যেরই আসক্তি

ক্রম-বর্ধমান। এখন প্রশ্ন হলো, প্রযুক্তি নির্ভর বিচিত্র মাধ্যমের অস্বাভাবিক ব্যবহার মানুষের সৃজনশীলতা গ্রাস করবে কি না। যেক্ষেত্রে প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহার ও নির্ভরতা টক্সিন-এর মতো হয়ে উঠেছে। সেক্ষেত্রে লেখক ইউভাল নোয়া হারারি ও এডওয়ার্ড উইলসনের যুক্তির দ্বারস্থ হয়েছেন। প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া এ মুহূর্তে বিকল্প নেই। তবে সতর্ক বার্তাও তিনি রেখেছেন, ‘... আপনাকে হয় প্রযুক্তির লাগাম টেনে ধরতে হবে, না হয় আপনার শত সহশ্র্র বৎসরের সাধনার ধনকে বিসর্জন দিতে হবে। এখন কী করবেন সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ও কিন্তু সীমিত। কিছুদিন পর আপনি চাইলেও আর প্রযুক্তির লাগাম টেনে ধরতে পারবেন না। একবার সময় চলে গেলে ‘মানুষ’ হিসেবে আপনার আর সাধন হবে না।’ (২০২৩ : ১০৯)

হারারি সম্প্রতি বলেছেন এ শতাব্দীর মধ্যে শ্রমঘন শিল্পে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স মানুষের স্থান দখল করে নেবে। যা ইতিমধ্যে কিছুটা লক্ষ করছি। এক্ষেত্রে হয়তো নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি হবে। তবে এজন্য অপেক্ষা করতেই হচ্ছে। মানুষ যদি শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষতা অর্জন না করতে পারে, তা হলে অপ্রাসঙ্গিক হওয়াই স্বাভাবিক। যেক্ষেত্রে তৈরি হবে বিশাল এক কর্মহীন শ্রেণি। এ অবস্থায় কোমল দক্ষতাসমূহ অর্জন বিচ্ছিন্নভাবে সম্ভব নয়। পরস্পর সহযোগিতার হাত বাড়াতেই হবে। কথা যেহেতু শিক্ষা নিয়ে, অতএব স্বভাবতই প্রশ্ন আসে, এ শিক্ষাক্রমে শিক্ষকসমাজের ভূমিকা কী। লেখকের সুপারিশ হলো, প্রতি শিক্ষককে অবশ্যই সমকালিক দক্ষতা অর্জনের সঙ্গে মর্যাদা সচেতন, জ্ঞানী, সমকাল সচেতন ও স্বপ্নবাজ হতে হবে। তিনি স্পষ্টই বলে দিয়েছেন, শিক্ষকের মর্যাদার উপর অনেকটাই নির্ভর করে শিক্ষার গুণগত রূপান্তর। মনে রাখতে হবে, এদেশে কেউ স্বেচ্ছায় শিক্ষকতা পেশায় আসে না। যখন কেউ স্বপ্ন নিয়ে ও স্বেচ্ছায় এ পেশায় যুক্ত হবে, তখনই শিক্ষার মৌলিক পরিবর্তন আশা করা যেতে পারে। সেই স্বপ্ন জাগানোর পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনাই এখন মুখ্য। অন্যদিকে শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেও অনেকে শিক্ষক হয়ে উঠতে পারে না। তারা শুধু নিবন্ধিত শিক্ষক হিসেবে চাকরি বজায় রাখেন মাত্র। রয়েছে শিক্ষক নিয়োগে সমস্যা ও প্রেষণার অভাব। মূলত একজন শিক্ষকের সামনে কোনো ক্যারিয়ার প্ল্যান নেই। এ ছাড়াও না-আছে মর্যাদা, না-আছে আর্থিক সুবিধা। এর মধ্যেই নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষককেন্দ্রিক শিক্ষা পদ্ধতি আর থাকছে না; এ কালের শিক্ষা হবে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক। এখন গোটা বিশ্বে টেকসই উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে। সেক্ষেত্রেও আগে প্রয়োজন টেকসই শিক্ষক। শিক্ষককে টেকসই না হলে ওই পেশাও হারাতে হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না, শিক্ষকতা সব সময়ই চ্যালেঞ্জের পেশা। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, প্রযুক্তির রূপান্তর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদির কালে শিক্ষকের ভূমিকা কী, কেমন হতে পারে তা লেখক স্পষ্ট করেছেন তৃতীয় অধ্যায়ে। স্পষ্টত প্রথাগত উপায়ে শিক্ষকতা এখন অচল। একইসঙ্গে লেখক বলেছেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমের অন্য সব সফট স্কিলের ক্ষেত্রে ওই একই কথা প্রযোজ্য। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাধীনভাবে চিন্তা করার বা কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। না হলে শিক্ষার্থীরা এই দক্ষতাগুলো অর্জন করতে পারবে না, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হবে না এবং এতে টেকসই উন্নয়ন ৪-এর অন্তত দুটো লক্ষ্যে গুনগত ও জীবনব্যাপী শিক্ষা পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে যাবে।’ [২০২৩ : ১৭০]

প্রসঙ্গত, এ-বই পাঠের পর সাধারণ পাঠক হিসেবে একটি শূন্যতা অনুভব করেছি। যদিও লেখাগুলোতে শিক্ষাক্রমের বিষয়াবলি নানাভাবে এসেছে। অর্থাৎ, শিক্ষাক্রম কেন্দ্রে রেখে বৈশ্বিক ভাবনা ও তত্ত্ব উপস্থাপন করতে পারতেন লেখক। শিক্ষাক্রমের একটা সাধারণ বিশ্লেষণ বা ভাষ্য সৃজন করা তাঁর পক্ষেই সম্ভব ছিল। এটা অত্যন্ত জরুরি এ কারণে যে, শিক্ষাক্রম না-পড়ে না-বুঝে, একটি গোষ্ঠী অপকথার মাধ্যমে ধূম্রজাল তৈরি করছে। যদিও তা আমলে নেওয়ার মতো কোনো বিষয় নয়। আমরা লেখকের মহত্বকে ছোটো করছি না। এ পরিধিতে শিক্ষাক্রমের সাধারণ আলোচনা থাকলে গ্রন্থটি পূর্ণতা পেত বলে মনে করি। তারপরও এ-গ্রন্থ পাঠে আমরা শিক্ষাক্রমের সারার্থ বুঝে নিতে সক্ষম হই। শিক্ষাক্রম প্রসঙ্গে অনেকের ধারণা অতি সামান্য, নেই বললেই চলে। এ শিক্ষাক্রমে কী কী বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, গোলাম ফারুক তা নানা তত্ত্ব, বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা, প্রায়োগিক জ্ঞান, পারিপাশ্বিক বিষয়াবলির সহযোগে উল্লেখ করেছেন। সংক্ষেপে আমরা যা শনাক্ত করি। প্রথমত, শিক্ষার্থীরা এখন আর মুখস্থ করবে না, নিজের আবেগ, অনুভূতি, বিচার বিবেচনায় সমস্যার সমাধান খুঁজে নেবে। দ্বিতীয়ত, কেবলই দক্ষতা একজন শিক্ষার্থীর মেধা, প্রতিভা নিশ্চিত করে না। বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করা শিক্ষার অন্যতম লক্ষ। তৃতীয়ত, শিক্ষার্থীরা যা কিছু শিখবে, আনন্দের সঙ্গে শিখবে। চতুর্থত, শিক্ষা হবে নান্দনিক, যেক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক চাপ থাকবে না, পারিপাশ্বিক বিচিত্র অভিজ্ঞতা, জ্ঞান অর্জনের ভেতর দিয়ে তার নিজস্ব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে শিখবে। বস্তুত, এ বই পাঠে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষাবিষয়ক গবেষকসহ সকলেই উপকৃত হবেন।

 

 

Header Ad
Header Ad

সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হলেন সেনাপ্রধান

পদক গ্রহণ করছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনালের ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট পদে ভূষিত করা হয়েছে। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের জনগণের সার্বিক উন্নয়নে, বিশেষ করে চিকিৎসা খাতে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকৃতি প্রদান করেই তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় আইএসপিআর।

আইএসপিআর জানায়, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফর শেষে আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান। সফরকালে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি কন্টিনজেন্টসমূহ ও বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সেনাবাহিনী প্রধানকে অবহিত করা হয়। এ সময় তিনি তাঁর মূল্যবান দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সেনাবাহিনী প্রধান স্পেশাল রিপ্রেজেনটেটিভ অব দ্য সেক্রেটারি জেনারেল ভ্যালেন্টাইন রুগাবিজা এবং ফোর্স কমান্ডার লে. জেনারেল হামফ্রে নায়নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

ছবি: সংগৃহীত

সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক্যান ফোর্স (এফএসিএ) এর প্রধান জেনারেল মামাদু জেফিরিনের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধান দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এবং সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক শান্তিরক্ষী মিশনের অধীনে বেসামরিক লোকদের সহায়তার অংশ হিসেবে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এ নির্মিত তোয়াদেরা কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন। এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট ফসটিন আরচেঞ্জ তৌদেরার সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের জনগণের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রেসিডেন্ট সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাবাহিনী প্রধানকে সম্মানসূচক রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত করেন।

এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের বাংগি এলাকায় নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কন্টিনজেন্টসমূহ পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের এ সফর সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদারের পাশাপাশি সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে আশা করা যায়।

উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী প্রধান গত ৩ মার্চ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফরে যান।

Header Ad
Header Ad

তৃতীয় বিয়ে করলেন অভিনেতা মিলন, পাত্রী কে?

অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন ও তার স্ত্রী শিপা। ছবি: সংগৃহীত

আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন ছোট ও বড়পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। প্রায় এক মাস আগেই ভালোবাসার মাস ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে সারেন এ অভিনেতা।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। মিলন ও তার স্ত্রীকে দেখতে অভিনেতার বাড়ি থেকে ৫টি ছবি পোস্ট করেন তিনি।

পোস্ট করা ছবির ক্যাপশনে বিবাহিত জীবনের জন্য শুভকামনাও জানান চয়নিকা। শুধু যে চয়নিকা নব দম্পতিকে দেখতে গিয়েছিলেন এমন নয়। ছোট পর্দার অনেক অভিনয়শিল্পীই আজ মিলনের বাড়ি হাজির হন নতুন বউ দেখতে।

জানা যায়, মিলনের স্ত্রীর নাম শিপা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগামে দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, অভিনেতার প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল লুসি গোমেজ। ১৯৯৯ সালে তাদের বিয়ে হয়। ২০১৩ সালে তাদের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘটে। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী পলির সঙ্গে মিলনের বিয়ে ও চার বছরের সংসার জীবনের গুঞ্জন শোনা গেলেও তা অস্বীকার করে আসছিলেন অভিনেতা।

তবে ২০১৩ সালের অক্টোবরে শ্রীলঙ্কায় স্ত্রী-পুত্র সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছবি প্রকাশ করেন আনিসুর রহমান মিলন। সেই ছবি থেকে জানা যায়, তার স্ত্রীর নাম পলি আহমেদ এবং সন্তানের নাম মিহ্রান।

এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পলি আহমেদকে বিয়ে করেন। যিনি ২০২২ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

Header Ad
Header Ad

ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের মামলা

ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন ও প্রায় ৫৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়া ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে দুদক কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে এদিন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সোহানুর রহমান বাদি হয়ে লাক মিয়ার নামে মামলা করেন।

মামলার এজহারে বলা হয়, লাক মিয়া চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫৫ কোটি ২৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৯৫১ টাকা মূল্যের সম্পত্তির মালিকানা অর্জনপূর্বক দখলে রাখে।

তার নামে ৪৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৫০১ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করে। যার কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এদিকে একই অভিযোগে লাক মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধেও মামলা করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান।

মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধে করা মামলার এজহারে বলা হয়, স্বামীর সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৪ কোটি ৫০ লক্ষ ২৩ হাজার ১৯৭ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অসাধু উপায়ে অর্জনপূর্বক দখলে রেখে এবং ১৪টি ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪৬১ কোটি ১৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ১৪৬ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রুপান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হলেন সেনাপ্রধান
তৃতীয় বিয়ে করলেন অভিনেতা মিলন, পাত্রী কে?
ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের মামলা
লাইফ সাপোর্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক
যশোর সীমান্ত থেকে ৫ কোটি ১২ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ
অনেক কো-আর্টিস্ট, ডিরেক্টর তখন আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না: প্রভা
ভয়াবহ দাবানলের কবলে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, ২০ স্থানে ছড়িয়েছে আগুন (ভিডিও)
নাগরিক পার্টি ছাড়লেন আবু হানিফ, ফিরে গেলেন গণ অধিকার পরিষদে
প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
রোজায় বেড়েছে আনারসের চাহিদা, দ্রুত পাকাতে রাসায়নিক ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি
সন্তানের জন্য ‘ডন থ্রি’ সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ালেন কিয়ারা
অস্থিরতার কারণে এ বছর নির্বাচন কঠিন হবে: রয়টার্সকে নাহিদ ইসলাম
চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলেন মির্জা ফখরুল
বিয়ে বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে বরের মৃত্যু
মুশফিক অযু ছাড়া ব্যাট-বল স্পর্শ করতেন না: মুশফিকের স্ত্রী
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে ভারত, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও ভালো উন্নতি বাংলাদেশের
ছাত্র-জনতা কোথাও অভিযান চালাতে পারে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফ্রান্সে মুসলিম খেলোয়াড়দের রোজায় নিষেধাজ্ঞা
স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন আবরার ফাহাদসহ ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি
রাবিতে সভাপতি নিয়োগ নিয়ে দুই পক্ষের ধস্তাধস্তি