বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শুয়ে আছেন কাজীদা সবুজ জায়নামাজের ভেতর

পুরানা পল্টনের ২৪/৪, সেগুন বাগিচার নামটি প্রায় সবার জানা, যারা বই পড়েন। এখানে পা পড়েনি বা নাম শোনেননি শিল্প-সাহিত্য জগতে বিচরণ করা এমন মানুষ বিরল। কেননা, সেবা প্রকাশনীর প্রতিটি বইয়ের কাভারের পরের পাতায় লেখা থাকে ঠিকানাটি। তাতে আরও লেখা থাকে প্রকাশকের নাম কাজী আনোয়ার হোসেন। এই অফিসে ঢুঁ মারতে গিয়ে ফিরে এসেছেন এমন মানুষের সংখ্যা কোনোদিন কী হিসেব করা হয়েছে? কারণ, সেটি বন্ধ থাকে বেশিরভাগ সময়। তবে আজ সেটি খোলা।

আজ গেটে তালা নেই। ঠিক যেন কোনো ওয়েস্টার্ন সেলুনের ফটক। সেটি ঠেলে ভেতরে ঢুকে যেতে যেতে অবাক বনে যেতে হলো। তারপর সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে দেখা গেল সেখানে বারটেন্ডারের মতো বসে আছে একটি ছেলে। বয়স কম তবে ওয়েসলি হারডিন, রক বেননের মতো মুখভর্তি কাঁচা দাড়ি। তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, কাজী আনোয়ার হোসেন সাহেবকে কোথায় রাখা হয়েছে? প্রশ্নের সঙ্গে সঙ্গে আততায়ী বা এমন কোনো নামের পশ্চিমা বইয়ের মতো মোটাসোটা এক ব্যক্তি বেরিয়ে এলেন। ছেলেটি উঠে দাঁড়িয়ে বললো, ‘আমি আপনাকে নিয়ে যাচ্ছি।’

চেয়ার সরিয়ে সে বেরিয়ে এলো। তাকে নিয়ে আবার নামার সিঁড়ি ধরতে হলো। নামার সময় চোখে পড়লো একটি চৌবাচ্চা। পরিস্কার পানিতে ভরা। তাতে একটি রূপালি অ্যাকুয়ারিয়ামের মাছ একা একা ভেসে বেড়াচ্ছে আর মুখ হাঁ করে শ্বাস নিচ্ছে। ঠিক যেন নিঃসঙ্গ আততায়ী। চমকে গেলাম! পাশের যে গলি সেটিই যে সেবা প্রকাশনীর তিন লেখকের বাড়ি জানা ছিল না। পরতে, পরতে গোপনীয়তায় ঠাসা, উত্তেজনায় ভরা ক্লাসিক বইগুলোর মতো; যেগুলো নামকরা নন, তবে বিদেশি নামের; সেগুলোর মতো অবিশ্বাস্য বিষ্ময়ের মধ্যে পড়ে গেলাম।

সেবা প্রকাশনীর পেছনে লাগোয়া বিরাট আটতলা বাড়ি। রঙিন বাড়িতে থাকেন আরও রঙিন তিন লেখক-কাজী আনোয়ার হোসেন ও তার দুই ছেলে কাজী শাহনূর হোসেন এবং কাজী মায়মূর হোসেন। শুরুতে সেলুনের গেটের মতো অ্যালুমিনিয়ামের গেট। তাতে লেখা ‘সেলুন পার্লার ফর ম্যান।’ ঠিকানা লেখা-২৪/২, সেগুন বাগিচা। এই হলো কাজীদার বাড়ি। কেউ কি জানেন, লেখকরা ছাড়া?

নীচতলায় গাড়ি পার্কিংয়ে কালো একটি কার পড়ে আছে- মাসুদ রানার ব্যবহার করা কারের মতো। তার বাতির সামনে শুয়ে আছেন লম্বা মানুষটি। একহারা গড়নের, সবুজ জায়নামাজে মোড়া তার শরীর। ঠিক যেন পশ্চিমের ঢেউ খেলানো কোনো তৃণভূমি। তার পায়ের কাছে স্বযত্নে মোড়া ফুলের তোড়ার ভেতরে জ্বলজ্বল করছে লাল একটি গোলাপ। সেবার বাগানের মালির জন্য অর্ঘ্য সবার।

তোড়াটির গায়ে কাগজ ও স্কচটেপ দিয়ে লাগানো একটি সাদা পৃষ্ঠা-‘নবাবকে শ্রদ্ধাঞ্জলি, গেরিলা ৭১’। কে জানতো! কোনোদিন বলেননি তো ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনিও একজন যোদ্ধা ছিলেন। তিনি নবাব কাজী মোতাহার হোসেনের বড় আদরের দুলাল।

দশনার্থীদের দাবি অনুযায়ী তাকে মাঝে মাঝে দেখানো হচ্ছে। তার মাথার দুপাশে দুটি কালো ক্ষতচিহ্ন। মুখটি একেবারে পান্ডুর। ঠিক তার অতি বিখ্যাত ছাত্র ও সহকর্মী রকিব হাসানের বিশ্বখ্যাত ক্লাসিক অনুবাদ ব্র্যাম স্টোকারের ড্রাকুলার মতো। তেমন লম্বা শরীর কাজী সাহেবের। এই সময়ে তার সমাধি যাত্রায় কেউ নেই-মানে কোনো হৈ চৈ নেই।

নানা বয়সের নয়জন নারী বসে আছেন এই বিখ্যাতের শবদেহকে ঘিরে। পাশে অতি সুন্দরী এক নারী আছেন মুখে সবুজ মাস্ক পরে। শোকে আকুল একহারা গড়নের এক বয়স্ক নারী দূর থেকে, বাড়ির ছাউনির নীচ থেকে তাকিয়ে আছেন এক দৃষ্টিতে। বহুকালের চেনা তার আপনজন, পরিবেশই বলে দিচ্ছে। সেবার বইগুলোতে এমন পরিবেশের ছড়াছড়ি আছে।

সেবার লাখ, লাখ পাঠক ভাবতেই পারবেন নির্জন এই গলির ভেতরের বাড়িতে পশ্চিমের দুনিয়ার কোনো বইয়ের মতো মোট ৩০ থেকে ৩৫ জন মানুষকে সঙ্গী করে শেষ যাত্রায় চলেছেন কিংবদন্তীকে ছাড়িয়ে যাওয়া কাজী আনোয়ার হোসেন। তার ও তাদের উপস্থিতিতেও নিস্তব্ধ, চুপচাপ চারিধার! সেবার প্রতিটি রহস্য বইয়ের মতো। কয়েকজন কয়েকটি বেতের টুলে বসে আছেন কাজী সাহেবের স্টিলের শবাসনটির ডান পাশে।

একেবারে মাথার কাছে বেতের টুলে বসে শবাসনের একটি কোনা দুই হাতে শক্ত করে ধরে আছে এক কিশোর। তার মতো বয়সের ছেলেমেয়েরাই কাজী সাহেবের লক্ষ্য ছিল। উত্তর পুরুষটি চুপচাপ কাঁদছে। থেকে, থেকে ডুকরে উঠছে সে। কান্নার দমকে শরীর কাঁপছে তার। তার দৃষ্টি সরছে না ওই মানুষটিকে ঢেকে রাখা জায়নামাজ থেকে। উল্টো দিকের আসনে, তার মতোই লম্বা-চওড়া এক মহিলা; যৌবনে ভরপুর! প্রতিটি বিদেশি কাহিনীর মতো এই পরিবারেরই একজন দাপুটে। তিনি ঘুরে, ঘুরে কথা বললেন সবার সঙ্গে। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা ওই বয়স্ক, শীর্ণ নারীটির সঙ্গেও সামান্য কথা বললেন। তাদের সান্ত্বনা বিনিময় হলো চোখের জলে। তারপর ভেতরের সাদা দালানের ভেতর থেকে লিফটে নেমে এলেন সাদা সালোয়ার কামিজের এক তরুণী। আবার তারা দুজনে শোকের সাগরে ভাসলেন। লম্বা সেই নারীর উচ্চারণ স্পষ্ট, কোনো কথায় কোনো জড়তা নেই। নাতির দিকে তাকিয়ে অন্য একজনকে বললেন, ‘ও এখানে থাকুক না। থাকুক। দাদার সঙ্গে তার সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। সবসময় দাদার কাছে কাছে থাকতো।’

তার পাশে বেতের টুলে বসে আছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে নামকরা দুই গায়িকার একজন-সাবিনা ইয়াসমিন। মুখে তার কালো মাস্ক, কোনো কথা নেই। চুপচাপ বসে আছেন শান্ত মানুষটি। কারা এসেছেন কী আসেননি খোঁজ নিলেন একটু পরে সামান্য হেঁটে। তারপর আবার গিয়ে বসলেন কাজী সাহেবের পায়ের কাছের বেতের চেয়ারে। সাবিনা ইয়াসমিনের মাথা চাদরে মোড়া।

এই গলিটি সবসময় চুপচাপ থাকে। কোনো শব্দ, বাহুল্য কোনো সময় দেখতে পান না কাছের বা দূরের কোনো মানুষ। এমনকি পাশের গাজী টিভি ও সারাবাংলা অনলাইনের অফিসের কেউ কখনও হৈ চৈ করেন না। এটি যে সেবা প্রকাশনীর পিতৃপুরুষের ভিটে।

মায়ের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত
মায়ের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন পাঠকপ্রিয় থ্রিলার সিরিজ ‘মাসুদ রানা’ স্রষ্টা এবং সেবা প্রকাশনীর কর্ণধার কাজী আনোয়ার হোসেন। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মা সাজেদা খাতুনের কবরে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। এর আগে সেগুনবাগিচার কাঁচাবাজার মসজিদে বাদ জোহর কাজী আনোয়ার হোসেনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

কাজী আনোয়ার হোসেন বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে বারডেম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরে জটিল রোগের সঙ্গে লড়াই করছিলেন।

/এএন/এপি

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত