সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সেবা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী কাজী আনোয়ার হোসেন মারা গেছেন

জনপ্রিয় থ্রিলার সিরিজ মাসুদ রানার স্রষ্টা, কিংবদন্তি লেখক, অনুবাদক, সেবা প্রকাশনী’র কর্ণধার কাজী আনোয়ার হোসেন মারা গেছেন। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে তিনি বারডেম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরে জটিল রোগের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। তার মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন পুত্রবধূ মাসুমা মায়মুর।

মাসুমা মায়মুর এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘নিভে গেছে দীপ জনমের তরে জ্বলিবে না সে তো আর। দূর আকাশের তারা হয়ে গেছে আমার ছেলেটা। আমার ছোট্ট ছেলেটা। আর কোনও দিনও আমার পিছু পিছু ঘুরে খুঁজবে না মায়ের গায়ের মিষ্টি গন্ধ। কোনও দিনই না। কিন্তু মাকে ছেড়ে থাকবে কীভাবে ওই অন্ধকার ঘরে আমার ছেলেটা? একা- শুধু একা? কী সব বকছি জানি না। আব্বা (কাজী আনোয়ার হোসেন) আর নেই। চলে গেছেন আমাদের ছেড়ে।’

তিনি জানান, ‘গত অক্টোবর মাসের ৩১ তারিখ প্রোস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়ে। মাঝে পাঁচ বার হসপিটালাইজড ছিলেন কাজী আনোয়ার হোসেন। চিকিৎসার সুযোগ খুব একটা পাওয়া যায়নি। একটা ব্রেইন স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক হয়ে সব শেষ হয়ে গেল। ১০ ই জানুয়ারি থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। আজ (বুধবার) চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে।’

কে এই কাজী আনোয়ার হোসেন সেটি সবারই জানা। কাজী মোতাহার হোসেনের অবাধ্য সন্তান, নবাব নামটি রেখেছিলেন বাবা; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মোতাহার হোসেন ভবনটি সেই কৃতবিদ্য ও জ্ঞানী মানুষটির নাম আলো করে আছে; তার অনেকগুলো ছেলেমেয়ের একজন তিনি। বোনদের মধ্যে আছেন সনজীদ খাতুন ও ফাহমিদা খাতুন। কিন্তু সবার চেয়েও কাজী আনোয়ার হোসেন ছিলেন কিছুটা আলাদা।

তার ভুবনও ছিল আলাদা। লেখার জগৎ; সাহিত্য-রোমাঞ্চ, অভিযান, অন্যরকমের বইগুলোকে বাংলাদেশের পাঠকদের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। যে কোনো বইমেলাতে এই দেশের যেকোনো প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিকের চেয়েও বেশি বিক্রি হয় এখনো তার পেপারব্যাকগুলো। অথচ সেগুলো নিউজপ্রিন্টে ছাপা, সেগুলোর কভার সেকেলে, বিদেশী ছবি থেকে কপি করা। তার বইগুলোর মতো। লেখাগুলো ঝরঝরে।

কাজী আনোয়ার হোসেনের সুবিখ্যাত সিরিজ হলো কুয়াশা। এই দিয়ে তার শুরু। সেটি এতই চমকপ্রদ যে কুয়াশার রহস্য উদঘাটন প্রণালী আজো বিস্ময়। তার মাসুদ রানা আমাদের কেবল গোয়েন্দা সাহিত্যের স্বাদ দেয় না, এটি আমাদের কিশোর-তরুণদের অব্যক্ত অনেক ক্ষুধা মেটায়। স্মাট করতে শেখায় এখনো। চ্যানেলগুলোর দৌরাত্ম্য যখন শুরু হয়নি, বই পড়তে ভালোবাসতেন যেসব প্রজন্মের যুবক, যুবতীরা তাদের ভুবনের নামকরা লোক তিনি।

মাসুদ রানা বা বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স যার আগের নাম পাকিস্তান কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স; তার সবচেয়ে বিখ্যাত স্পাই। তার সঙ্গী একটি পিস্তল ওয়াল্টার মডেলের। তার চেয়েও ক্ষুরধার বান্ধবী আছে সোহানা। এই ইন্টেলিজেন্সেরই আরেক দুর্ধর্ষ স্পাই। একটি হাত নেই সোহেলের, গিলটি মিয়া-এই হলো রানার ভুবনের লোক। অবিশ্বাস্য ও খ্যাতিমান কটি বই আছে এই সিরিজের। তার মধ্যে একটি হলো সংকেত। মাসুদ রানা তখন তেলআবিবে। ইসরাইলের রাজধানীতে তিনি গিয়েছেন ফিলিস্তিনদের জন্য। ওই শহরে রূপা ও আলেক বোগানের সঙ্গে তার যুদ্ধ। আলেক বোগান ছুরি হাতে ওস্তাদ এক হত্যাকারী। পুরনো প্রাচীন এক প্রত্ন শহরের গলিতে, অলিগলিতে হঠাৎ করে ছুরি হাতে ছুটে আসে সে রানাকে মেরে ফেলতে, ফিলিস্তিনদের বন্ধুকে শেষ করে দিতে। তবে সেটি সম্ভব হয় না। আর যৌনতার আদর্শ উদাহরণ রূপা, রানাকে যে বুঁদ করে রাখে। কিন্তু কাজ করে সে প্রাণপণে জায়নবাদীদের জন্য।

দেশপ্রেম আর কাকে বলে? রানাকে খুঁজে পাওয়া যায় সেই উ সেন, আবার উ সেন, ধ্বংস পাহাড়, ভারত নাট্যমের মতো বইগুলোতে। সেবা প্রকাশনীর প্রধানের বলিষ্ঠ লেখনী, সম্পাদনার জাদু আর বৈচিত্র্য ভাবনার সাক্ষ্য হয়ে আছে শত, শত বই। যেগুলো খ্যাতি লাভ করিয়েছে ওই লেখকদের।

এই কাজী আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশের ও বাংলা ভাষার পাঠকদের হাতে তুলে দিয়েছেন অবিশ্বাস্য মজার, একটি যৌন শব্দও নেই; কিন্তু টান, টান উত্তেজনায় ভরা একটি সিরিজ। যার অনেকগুলো বই চিরকালীন। সেটি ওয়েস্টার্ন সিরিজ। একটি বইয়ের কথাই কেবল বলি-হাফ বিদ শাঁওলও। বাবা তার অ্যাপাচি সদার, মা সাদা চামড়ার মানুষ। ভাই অ্যাপাচিদের নেতা। খুঁজে ফিরছে তাকে মেরে ফেলার জন্য দল নিয়ে। সাওলো অকুতোভয়, দুর্দান্ত সাহসী, নুড়ি, পাথর দেখে ট্র্যাকে ওস্তাদ সিরিজের বইগুলোর মতো। শেষতক কঠিন লড়াইয়ে সেই জেতে। কী নাম? পাঠকদের আলোচনা বিভাগ, যেটি সেবার আরেক দারুণ আয়োজন; সেখানে রম্যের মতো পাঠকদের হাতে কুইজ হিসেবে তোলা রইলো।

কাজী আনোয়ার হোসেনের দান বাংলা সাহিত্যে, বাংলাদেশের মানুষের জীবনে অসীম। তিনি ওয়েস্টার্ন সিরিজ চালু করেছেন, রহস্য পত্রিকার মতো একটি বিজ্ঞাপনহীন কাজের ম্যাগাজিন এনেছেন; বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। নিজে লিখেছেন সেরা রোমাঞ্চ সাহিত্যিক হিসেবে। আছে পঞ্চ রোমাঞ্চ আরও কত কী! এই মানুষটি আজীবন সম্মানিত হয়ে থাকবেন পাঠকদের হৃদয়ে।

তিনি নিয়মিত ব্যায়াম করতেন, খুব স্বাস্থ্য সচেতন ছিলেন। নিয়ম করে ঘড়ি ধরে চলতেন বছরের পর বছর। অনেক ভক্ত, পাঠক তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েও ২৪/৪ সেগুনবাগিচার সেই বিখ্যাত সড়ক থেকে; পুরনো একটি ছোট কয়েক তলা বাড়ির সামনে থেকে ফিরে গিয়েছেন। তিনি তাদের দেখা দেননি। এই মানুষটি ছিলেন পুরোপুরি প্রচারবিমুখ।

লেখক কাজী আনোয়ার হোসেন ছদ্মনাম হিসেবে বিদ্যুৎ মিত্র ও শামসুদ্দীন নওয়াব নাম ব্যবহার করতেন। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৯ জুলাই ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম কাজী শামসুদ্দিন আনোয়ার হোসেন। ডাক নাম ‘নবাব’।

 

ওএস/এমএসপি/এপি

আরও পড়ুন : কাজীদার শেষ শয্যা হবে বনানীতে

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ভারত এখন পাকিস্তানে সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যে বিশ্বের এক ডজনেরও বেশি দেশের নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং দিল্লিতে কূটনৈতিকদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন। তবে এসব আলোচনা মূলত অভিযানের যৌক্তিকতা তুলে ধরতেই হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

কাশ্মির সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে গুলিবিনিময় অব্যাহত রয়েছে। কাশ্মিরে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে এবং শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অতীতের সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার ইতিহাস তুলে ধরলেও এবারকার হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ এখনো প্রকাশ করেনি। পাকিস্তান সরকার সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, যেহেতু ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই পরমাণু শক্তিধর দেশ, তাই সামরিক সংঘাত বড় ধরনের বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে।

ইরান ও সৌদি আরব মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন জানালেও, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতি তাদের মনোযোগ সীমিত বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৯ সালের ঘটনার তুলনায় এবার প্রমাণের স্বচ্ছতা কম, আর “রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট” নামে একটি অজ্ঞাত গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করলেও ভারত এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠনের ছায়া গোষ্ঠী বলে মনে করছে।

ভারতীয় সরকারের ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ রয়েছে এবং মোদি সরকার “বড় ধরনের কিছু” করার পরিকল্পনায় এগোচ্ছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ