শনিবার প্রদর্শনীর পঞ্চতন্ত্র: স্মরণীয় ও অবিস্মরণীয় বর্তমান শীর্ষক আলোচনা
এশীয় দ্বিবার্ষিক প্রদর্শনী ও ঢাকা আর্ট সামিটকে কেন্দ্র করে দ্বিবার্ষিক প্রদর্শনীসমূহের চরিত্র, অবদান, সম্ভাবনা ও সুনির্দিষ্ট ব্যর্থতার উপর আলোচনা ‘প্রদর্শনীর পঞ্চতন্ত্র: স্মরণীয় ও অবিস্মরণীয় বর্তমান’ শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে।
'উত্তরসুরী: নুরজাহান-সারওয়ার মুরশিদ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আলোচনার সূত্রধর হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী, উত্তরসূরীর পরিচালক মোস্তফা জামান ও লেখক-গবেষক তাহমিদ জামি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন উত্তরসূরীর প্রধান নির্বাহী শারমীন মুরশিদ।
বিয়েনালে বা দ্বিবার্ষিক প্রদর্শনী একটি বিশেষ স্থান নির্মাণের বাসনাজাত। যার অৰ্থনীতি আছে, আছে রাজনীতি এবং সেই সূত্রে আদর্শিক বা মতাদর্শিক মাত্রা। আধুনিক ও সমসাময়িক (মডার্ন ও কন্টেম্পোরারি) ধারার ছত্রছায়ায় বিশেষ বিশেষ শিল্পের প্রচলন ঘটাবার পিছনে শিল্পকলার এমন স্মরণীয় ও অবিস্মরণীয় মঞ্চ বা মন্যুমেন্টের অবদান অনস্বীকার্য। এই প্রদর্শনীসমূহ চারুশিল্পসহ আলোকচিত্র, সিনেমা, পারফরমেন্স ও আন্তরশৃঙ্খলা নির্ভর নানান উপস্থাপনা দর্শকের সামনে হাজির করে। শিল্পকলার মূলধারা, উপধারা মিলিয়ে এদেশে শিল্পে শৃঙ্খলা ও মাধ্যমের মিশ্রতাসহ আরো নানাবিধ নতুনত্ব বুঝতে হলে বুঝতে হবে এই স্মরণীয় ও অবিস্মরণীয় এই মন্যুমেন্টসমূহ।
'উত্তরসুরী: নুরজাহান-সারওয়ার মুরশিদ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র' সাংস্কৃতিক ও চিন্তার বিকাশে অবদান রাখার তাগিদ থেকে জন্ম নিয়েছে। বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্র জন্মের পেছনের মেধা ও মননের যে ইন্ধন একদা পূর্ববঙ্গের সমাজকে পুনর্গঠনের স্বপ্ন দেখিয়েছে এবং নতুন রাষ্ট্র নির্মাণের সাহস জুগিয়েছে সেই বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে অবহিত করা উত্তরসূরীর একটা প্রধান লক্ষ।
‘প্রদর্শনীর পঞ্চতন্ত্র’ শিরোনামের অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে উত্তরসূরী শিল্প শিক্ষায় ভূমিকা রাখতে শিল্প বিষয়ক চিন্তা শিল্প ও চর্চায় বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে কিছু জরুরি বিষয়ে আলোচনা উত্থাপন করতে চায়।
এনএইচবি/এসআইএইচ