রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পঁচিশ বছরের একটি মেয়ে এসে সকলের নজর কেড়ে নিল: জয় গোস্বামী

এক সময়ে মঞ্চে দাঁড়িয়ে অভিনয় করার শারীরিক শক্তি চলে গেল শাঁওলী মিত্রের। অথচ বালিকাবয়স থেকেই শাঁওলী মিত্র স্টেজে অভিনয় করতে করতে বয়ঃপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। ‘ডাকঘর’ নামক রবীন্দ্রনাটক যখন বহুরূপী নাট্যগোষ্ঠীর দ্বারা প্রথম মঞ্চস্থ হয়, তখন বালিকা শাঁওলী করেছিলেন ‘অমল’-এর চরিত্র। আমি সে অভিনয় দেখিনি। কিন্তু বহুরূপীর প্রবীণ অভিনেতা দেবতোষ ঘোষ, যিনি কোভিডে ২০২১ সালে প্রয়াত হয়েছেন, তাঁর মুখে শুনেছি গোটা নাটক জুড়ে ‘অমল’ চরিত্রের দীর্ঘ সব সংলাপ, কেমন মর্মগ্রাহী নিপুণতায় ফুটিয়ে তুলতেন শাঁওলী, তাঁর ওই অতটুকু বয়সে। অর্থাৎ বাল্যকাল থেকেই শাঁওলী মিত্রের অভিনয়-প্রতিভা সকলকেই মুগ্ধ করে এসেছে। ১৯৭১ সালে বাদল সরকার রচিত ও শম্ভু মিত্র নির্দেশিত ‘পাগলা ঘোড়া’ নাটকে শাঁওলী মিত্র নিজের অভিনয় দ্বারা এই সত্য প্রতিষ্ঠিত করেন যে, বাংলা রঙ্গমঞ্চে এক তরুণী, প্রতিভাময়ী অভিনেত্রী এসে পড়েছেন। এই নাটকেও দেবতোষ ঘোষ ও শাঁওলী মিত্র দু’জনের উজ্জ্বল অভিনয় আজও পুরনো দর্শকদের মনে আছে। সেই সব দর্শকের একজন আমি। এর পরের বছর, ১৯৭২ সালের ১ মে, বহুরূপী-র পঁচিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে শম্ভু মিত্র নির্দেশিত আর এক রবীন্দ্রনাটক ‘রাজা’র অভিনয় হয়। তৃপ্তি মিত্র করেছিলেন রানি ‘সুদর্শনা’র চরিত্র, শাঁওলী হয়েছিলেন ‘সুরঙ্গমা’। সুদর্শনা-সুরঙ্গমার এই জোট বাঁধা অভিনয় এবং বহুরূপী-র অনন্য টিমওয়ার্ক সে দিন প্রযোজনাটিকে কত উচ্চমাত্রায় নিয়ে গিয়েছিল, তার প্রমাণ পাওয়া যায় একটি লেখায়। লেখাটির রচয়িতা ছিলেন সন্তোষকুমার ঘোষ। আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত এ নাটক বিষয়ে তাঁর রচনার শিরোনাম ছিল: ‘এক নদীতে দু’বার স্নান’। দু’বার কেন? কারণ তার আট বছর আগে ’৬৪ সালে বহুরূপীর এই প্রযোজনা দেখেছিলেন সন্তোষকুমার। এ বার সুদর্শনার সঙ্গে সুরঙ্গমারও প্রশংসায় অকৃপণ হয়ে উঠল সন্তোষবাবুর কলম। সুরঙ্গমার কণ্ঠে যে গানগুলি নাটকে ব্যবহৃত হয়, সে সব গানের পরিবেশন ছিল অত্যন্ত সুরঋদ্ধ। তখন শাঁওলী মিত্রের বয়স মাত্র পঁচিশ। পরে, যখন তাঁর সঙ্গে আলাপ হল, তখন দেখেছিলাম ওই সময়ে সুচিত্রা মিত্রের কাছে গান শিখতেন শাঁওলী। মনে রাখতে হবে, সে সময়ে বাংলা থিয়েটারে তৃপ্তি মিত্র তো বটেই, শোভা সেন, কেতকী দত্ত, মায়া ঘোষ, কেয়া চক্রবর্তী... এঁরা দাপটের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। সেখানে পঁচিশ বছরের একটি মেয়ে এসে সকলের নজর কেড়ে নিল।

তার পর বদল ঘটল যুগের। শম্ভু-তৃপ্তি-শাঁওলী কেউই আর রইলেন না বহুরূপী নাট্যদলে। এই সময়ে কলকাতার কয়েকটি নাট্যগোষ্ঠীর সদস্যরা একত্র হয়ে গঠন করলেন এক রেপার্টরি থিয়েটার। সেখানে মঞ্চস্থ হল ‘গ্যালিলিওর জীবন’ নামক নাটক, যাঁর লেখক বের্টোল্ট ব্রেখট। শম্ভু মিত্র অবতীর্ণ হলেন গ্যালিলিওর চরিত্রে। গ্যালিলিওর কন্যা ভার্জিনিয়ার চরিত্রটি করলেন শাঁওলী। এই ভার্জিনিয়ার জীবনে দুর্ভাগ্য নেমে এল তার পিতারই কারণে। ভার্জিনিয়ার হবু স্বামী, গ্যালিলিওর ছাত্র লুদোভিকোকে গ্যালিলিও অপমান করলেন। ক্রুদ্ধ যুবকটি তার প্রেমিকাকে ছেড়ে চলে গেল। যখন ভার্জিনিয়া তার বিয়ের পোশাকটি পরিধান করে মঞ্চে এসেছে সে সময়ে শুনল এই দুঃসংবাদ। মূর্ছিতা হয়ে পড়ল ভার্জিনিয়া।

গ্যালিলিও যখন শেষ বয়সে ভগ্নহৃদয়ে গৃহবন্দি হয়ে প্রহরী-নিয়ন্ত্রিত জীবন কাটাচ্ছে, তখন ভার্জিনিয়ার হাতেই তার পিতার দেখাশোনার ভার। ভার্জিনিয়ার সঙ্গে গ্যালিলিও অত্যন্ত রুক্ষ ও কঠোর ব্যবহার করে সর্বদা। কন্যা মুখ বুজে থাকে। এ-নাটকে ভার্জিনিয়ার সংলাপ খুব কম। শেষ দৃশ্যে মঞ্চের এক দিক দিয়ে ভার্জিনিয়ার প্রবেশ মাত্রই ঝাঁঝিয়ে ওঠে ক্রুদ্ধ গ্যালিলিও। কটুবাক্য বলে। ভার্জিনিয়া কোনও কথা না বলে ধীরে ধীরে পুরো মঞ্চ পার হয়ে অন্য দিক দিয়ে নিষ্ক্রান্ত হয়। শাঁওলী মিত্র সম্পূর্ণ সংলাপহীন এই দৃশ্যটিতে কেবল মুখের পেশির ভাঙন ও কম্পন ছাড়া আর কিছুই ব্যবহার করেন না— যে ভাঙন কন্যার উদ্‌গত কান্নাকে আটকে রাখে। দর্শক বোঝেন, এখনই ভার্জিনিয়া কান্নায় ভেঙে পড়বে। কিন্তু সে কান্নাকে আটকে রাখেন অভিনেত্রী। এ বড় কঠিন কাজ। একটিও সংলাপ ব্যতীত পুরো মঞ্চ পার হওয়া ও এতটা অনুভবের সঞ্চার দর্শকমনে ঘটানো মোটেই সহজ নয়। শাঁওলী তা পেরেছিলেন।

এল ১৯৮৩। দর্শক দেখলেন ‘নাথবতী অনাথবৎ’ নাটকের মঞ্চায়ন। শাঁওলী মিত্রের রচনায় ও একক অভিনয়ে এ নাটক বাংলা থিয়েটারে এক মাইলস্টোন হয়ে আছে। মহাভারতের এক-একটি চরিত্র, এক-এক রকম স্বরপ্রয়োগে, এক-এক রকম শরীরভঙ্গিমায়, এক-এক রকম পদক্ষেপে মূর্ত হয়ে উঠতে লাগল শাঁওলী মিত্রের তুলনারহিত অভিনয়-ক্ষমতায়। প্রত্যেক শো তখন হাউসফুল যাচ্ছে। ১৯৮৯ সালে এল মহাভারত নিয়ে আরও এক নাটক— ‘কথা অমৃতসমান’। এই নাটকও লিখলেন শাঁওলী মিত্র নিজেই। অভিনয়ও করলেন একা। দু’টি নাটক একত্র হয়ে গ্রন্থ রূপে প্রকাশ পাওয়ার পরে এই বইয়ের জন্য আনন্দ পুরস্কার প্রদান করা হল শাঁওলী মিত্রকে।

২০০৪ সালে জাঁ পল সার্ত্রের একটি নাটকের অনুবাদ করলেন অর্পিতা ঘোষ। ‘রাজনৈতিক হত্যা’ নামক সেই নাটকে শাঁওলী নিজে অভিনয় করেননি, কিন্তু নির্দেশনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এই নাটকের প্রযোজনা দর্শকের এবং সমালোচকের প্রশংসা পেয়েছিল।

এর পর ২০০৭ সালে এল নন্দীগ্রামে গুলিচালনায় ১৪ জন কৃষকের মৃত্যু এবং কৃষকরমণীদের ধর্ষিতা হওয়ার ঘটনা। মহাশ্বেতা দেবীর নেতৃত্বে বাংলার অনেক চিত্রকর, নাট্য ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ সকলে রাস্তায় নামলেন। মিছিলে হাঁটলেন শঙ্খ ঘোষ, অপর্ণা সেন, ঋতুপর্ণ ঘোষ, কৌশিক সেন, শুভাপ্রসন্ন, যোগেন চৌধুরী, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। সেই মিছিলে প্রথম সারিতে হাঁটলেন শাঁওলী মিত্রও। অন্য দিক থেকে রাজনৈতিক ভাবে এই ঘটনার প্রতিবাদে উঠে দাঁড়ালেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই যে সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি, তা হৃদয়ঙ্গম করে পশ্চিমবঙ্গবাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই তুলে দিলেন রাজ্য শাসনের ভার, নির্বাচনের মাধ্যমে। শাঁওলী মিত্র হলেন পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সভাপতি। মমতা খুবই শ্রদ্ধা করতেন শাঁওলী মিত্রকে, আন্দোলনের সময় থেকেই।

শারীরিক কারণে তখন তিনি মঞ্চে বসে কেবল পাঠ-অভিনয় করেন। তাঁর একক অভিনয়ের বিখ্যাত নাটক দু’টি তো বটেই, ‘রক্তকরবী’র পাঠ-অভিনয়ও দর্শকের কাছে মূল্যবান হয়ে উঠল। এ সময়ে তিনি গ্রন্থ রচনায় মনোনিবেশ করেছেন। ‘গণনাট্য, নবনাট্য, সৎনাট্য ও শম্ভু মিত্র’, ‘দিদৃক্ষা’ এবং ‘শম্ভু মিত্র রচনাবলী’ প্রকাশ পেল আনন্দ পাবলিশার্স থেকে। অন্য প্রকাশনা থেকে বেরোল তাঁর লেখা শম্ভু মিত্রের জীবনী।

ব্যক্তিগত ভাবে ২০০৭ সালের নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় থেকেই তাঁর সস্নেহ সাহচর্য পেয়েছি আমৃত্যু। বাংলা আকাদেমির কাজে দেখেছি, সকলকে স্নেহ করার সঙ্গে সঙ্গে বয়সে কনিষ্ঠদেরও তাঁদের কাজের জন্য সম্মান প্রদর্শন করতে তিনি অকুণ্ঠিত ছিলেন। গ্যালিলিওর কন্যা ভার্জিনিয়া তাঁর পিতাকে কিছু চিঠি লিখেছিলেন, তার একটি সঙ্কলন আমার কাছে ছিল, ইংরেজি অনুবাদে। বইটি আমি শাঁওলীদিকে পড়তে দেওয়ায় উনি খুব খুশি হন। শাঁওলী মিত্রকে হারানো আমার কাছে এক নিজস্ব ক্ষতি। অর্পিতা ঘোষের মুখে শুনলাম, মৃত্যু সন্নিকট জেনে কী ভাবে তিনি শান্ত হাতে অক্সিজেন মাস্ক খুলে ফেলেছিলেন। অর্পিতা বাধা দিলে বলেছিলেন, ‘‘আমাকে যেতে দে। আমি যাই।’’ তার পরেই চলে যান তিনি। এই ভাবে সুদৃঢ় সাহসে, মৃত্যুযন্ত্রণাকে বরণ করা, এ কি আমরা, সাধারণ মানুষরা ভাবতে পারি?

সৌজন্য: আনন্দবাজার পত্রিকায় সকাল ৫টা ২৩ মিনিটে জয় গোস্বামীর এই লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে।

 টিটি/

Header Ad

বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস। সরকারি সফরের অংশ হিসেবে ভারতীয় উপমহাদেশে আসার পরিকল্পনা করছেন তিনি। চলতি বছরের শুরুর দিকে শরীরে ক্যানসার শনাক্ত হওয়ার পর বিদেশ সফর থেকে বিরত রয়েছেন ব্রিটিশ এই রাজা। তবে কিছু দিনের মধ্যে তিনি বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান সফর করতে পারেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস ও তার স্ত্রী রানি ক্যামিলা অদূর ভবিষ্যতে ভারতীয় উপমহাদেশ সফরের পরিকল্পনা করছেন। রাজা তৃতীয় চার্লস ক্যানসার থেকে ধীরে ধীরে সেরে ওঠায় শিগগিরই এই সফরে বের হতে পারেন। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটেনের রাজার সফরের পরিকল্পনাকে তার শারীরিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতির লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ঠিক কবে নাগাদ ব্রিটিশ রাজা ও রানির এই সফর শুরু হতে পারেন, সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য জানায়নি ডেইলি মিরর।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর তৃতীয় চার্লস সব ধরনের সফর বাতিল করতে বাধ্য হন। তবে ভারতীয় উপমহাদেশের তিন দেশ—বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান সফরের এই পরিকল্পনার মাধ্যমে পুনরায় তার সফর শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রেক্সিট পরবর্তী বিশ্বে তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক সংযোগ প্রতিষ্ঠা করতে চায় ব্রিটেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্রিটিশ রাজা ও রানির সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

দেশটির একটি সূত্র বলেছে, ‘‘রাজা এবং রানির জন্য এই ধরনের সফরের পরিকল্পনা করাটা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের একটি সফর শুরুর কথা রয়েছে; যা বিশ্ব মঞ্চে ব্রিটেনের জন্য রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে ব্যাপক তাৎপর্যপূর্ণ হবে। এই সময়ে ব্রিটেনের জন্য রাজা এবং রানিই জুতসই রাষ্ট্রদূত।’’

ডেইল মিরর বলছে, রাজ সফরের জন্য সম্ভাব্য আয়োজক দেশগুলোর সাথে আলোচনার করতে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান সফরের খসড়া তৈরি করা হচ্ছে। গত বছর ভারত সফর বাতিল করার পর রাজা ও রানিকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে দেশটিতে ব্রিটিশ রাজা ও রানির সফর নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। গত মাসে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে সাক্ষাৎ করেছিলেন এই দুই রাষ্ট্রনেতা। এছাড়া গত মঙ্গলবার ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার ‘‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’’ স্বাগত জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউক্রেন যুদ্ধ ‘‘শান্তিপূর্ণভাবে শেষ’’ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন।

২০০৬ সালে ক্যামিলাকে সঙ্গে নিয়ে ওয়েলসের যুবরাজ হিসেবে এক সপ্তাহের জন্য পাকিস্তান সফর করেছিলেন চার্লস। সেই সময় শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আপনাদের কাছে পৌঁছাতে আমার প্রায় ৫৮ বছর লেগেছে। তবে এটা যে চেষ্টা করার অভাবে নয়, তা আমি বলতে পারি।’’

Header Ad

নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

যেসব নেতাকর্মী সামনে নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন। তারা সাবধান হন। সামনে ভয়ংকর অন্ধকার দেয়াল আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেল পাঁচটায় রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলার বিষয়ে আইনজীবীর প্রশ্নের উত্তরে তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার পড়ে গেছে, পালিয়ে গেছে। তারা তো বসে নাই, তারা ষড়যন্ত্র করছে। যদি তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়- মামলা তো উঠবেই না বরং নেতাকর্মীদের নামে জ্যামিতিক হারে ২০টা মামলা হয়ে যাবে। সেই সম্ভাবনাও আছে। সেই সম্ভাবনাকে যদি নস্যাৎ করে দিতে হয়, তাহলে আজকে থেকে আপনাদের প্রত্যেকেই সতর্ক হতে হবে।

তিনি বলেন, আপনাদের একটাই টার্গেট হতে হবে। জনগণ, জনগণ অ্যান্ড জনগণ। এর বাইরে যদি কিছু চিন্তা করেন। তাহলে পতিত স্বৈরাচার সফল হবে। তারা সফল হলে আইনজীবী সহকর্মীর বক্তব্য অনুযায়ী মামলা আপনাদের মিটবে না। বরং মাথার ওপরে আরও ১০টি, ২০টি মামলা চেপে বসবে। আপনাদের নিজেকে যদি বাঁচাতে হয় তাহলে উপায় একটাই- জনগণের আস্থা অর্জন করেন। আপনার পরিবার-পরিজনকে রক্ষা করতে হলে উপায় একটাই জনগণের আস্থা আর্জন করেন।

তিনি বলেন, ফারাক্কা বাঁধের বিষয়ে আমাদের একটি ধারণা আছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক বিষয়। বিএনপির বাইরে অন্য সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছে, তারা যথাযথভাবে এটা দেখেনি। পতিত স্বৈরাচার সরকার প্রতিবেশী দেশকে খুশি করার জন্য ইচ্ছা করেই করেনি। আমরা সময়মতো অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কাজ করবো। আমাদের ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য প্রয়োজনে দেশের স্বার্থে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়েই কাজ করবো।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে পাঁচ বছরে পাঁচ কোটি বৃক্ষরোপণের ইচ্ছে আছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের পানি বাড়ছে। গবেষণায় উঠে আসছে বাংলাদেশের অনেকাংশ, অর্ধেক বা তার কম অংশ ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এই দেশের মানুষকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। খালেদা জিয়া সরকারের সময় আমরা বৃক্ষমেলা করতাম। আমাদের যেভাবেই হোক, এই কর্মসূচি আবার শুরু করতে হবে। সবাইকে উৎসাহ দিতে হবে বৃক্ষরোপণের জন্য। গাছ প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ব্যক্তিগতভাবে আমার একটা পরিকল্পনা আছে। আগামী দিনে আমরা সুযোগ পেলে পাঁচ বছরে আমরা পাঁচ কোটি বৃক্ষরোপণ করব।

এর আগে সকাল ১০টায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়। এসময় বক্তব্য দেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, চেয়ারপারসনের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মাহাদী আমিন।

কর্মশালায় আলোচনা করেন, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশিদা বেগম হীরা ও কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা হাবিব। সভাপতিত্ব করেন, বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত।

বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব এবিএম মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় নেতা ওবায়দুর রহমান চন্দন, আমিরুল ইসলাম আলীম প্রমুখ।

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস
নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান
গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ