জাতীয় গ্রন্থাগার ও সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত
'স্মার্ট লাইব্রেরি, স্মার্ট বাংলাদেশ' প্রতিপাদ্যে এবং 'এসো মিলি মুক্তির মিছিলে' স্নোগানকে ধারণ করে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার ও সাহিত্য সম্মেলন-২০২৩’।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি অডিটোরিয়ামে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ, পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক পাঠাগার আন্দোলন সংস্থা।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও বাংলা একাডেমীর সভাপতি সেলিনা হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মফিজ উদ্দিন আহমেদ, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদার ও কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বাবলু। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ইমাম হোসাইন।
অনুষ্ঠানের সমাপনী পর্বে অতিথিবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক কালবেলার সম্পাদক ও পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশের ট্রাস্টি জনাব আবেদ খান, ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. গাজী হাসান কামাল, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ও বিশ্ব ব্যাংকের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাহমুদুল করিম, ইডকলের পরিচালক আব্দুল হক, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর ন্যায়পাল কামরুল ইসলাম, আগামী প্রকাশনের স্বত্ত্বাধিকারী ওসমান গনি, বাংলা টিভির চেয়ারম্যান সৈয়দ শামাদুল হক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদের সভাপতি জনাব মালিক খসরু পিপিএম। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদের মহাসচিব ও সংরক্ষিত মহিলা আসন-১৭ এর সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান। অনুষ্ঠানে সারা দেশ হতে আগত প্রায় সাত শতাধিক গন্থাগারের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সকাল ৯ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হতে ‘বইয়ের জন্য রোডমার্চ’ শীর্ষক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সম্মেলনের মূল পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে দেশের সকল পাঠাগার নিয়মিত চালু রাখার স্বার্থে সরকারিভাবে একজন করে গ্রন্থাগারিক নিয়োগ এবং ডিজিটাল লাইব্রেরীর বিষয়ে আলোকপাত করেন। সেই সাথে একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে পাঠাগার তথা বই পড়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ লাইব্রেরী, শ্রেষ্ঠ সাহিত্য সংগঠন, শ্রেষ্ঠ পাঠক, শ্রেষ্ঠ সরকারী লাইব্রেরী, জ্ঞানবন্ধু পদক, শ্রেষ্ঠ সাংগঠনিক জেলা ও লাইব্রেরী বিষয়ে আবদানের জন্য বিশেষ সম্মাননাসহ মোট সাতটি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
/এএস