বইমেলায় পাঠকের তুলনায় দর্শনার্থী সংখ্যা কম
গেল দু’দিনের সাপ্তাহিক ছুটি শেষে অমর একুশে বই মেলার পঞ্চম দিনে পাঠকের তুলনায় দর্শনার্থী সংখ্যা বেশি ছিল। দর্শনার্থী আসছেন, নেড়ে-চেড়ে বই দেখে ছবি তুলে চলে যাচ্ছেন। এমনটাই অভিযোগ বিক্রেতাদের।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টা থেকে মেলা শুরু হলে লোক সমাগম সেভাবে না থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে লোক সমাগমও বৃদ্ধি পেতে থাকে। তবে দর্শনার্থী থাকলেও পাঠক এবং ক্রেতা অনেক কম দাবি অধিকাংশ স্টলের বিক্রেতাদের।
চারুলিপি প্রকাশনের বিক্রয়কর্মী গোলাম কাদের বলেন, দর্শনার্থীদের সমাগম হচ্ছে। গত দু’দিনের তুলনায় অনেক কম আজকে। তবে দর্শনার্থীদের সংখ্যায় পাঠক কম। দর্শনার্থী আসছেন, ছবি তুলছেন, চলে যাচ্ছেন। তবে চার/পাঁচ দিন পর পাঠক বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।
এবারের মেলায় শহীদুল্লাহ কায়সার, জাহানারা ইমাম, শামসুল হক, উপেন্দ্রনাথ কিশোর রায়ের চিরকালের সেরা কিশোর উপন্যাস বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে জানান চারুলিপি প্রকাশনের বিক্রয়কর্মী কাদের।
অবসর প্রকাশনী বিক্রয়কর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, শুক্রবার-শনিবার বেশ ভালো বিক্রি হয়েছে। আজ লোকসমাগম কম, সেই দিকে যতটুক লোকসমাগম হয়েছে তার তুলনায় পাঠক অনেক কম। বই বিক্রি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নোমান বলেন, মুহাম্মদ ইব্রাহীমের বিষ কাঁটালি, অনুবাদ শয়তানের উপাখ্যান তুলনামূলক পাঠকদের ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
তবে পাঞ্জেরি প্রকাশনীতে তুলনা মূলক বেশি ভিড় দেখা গেছে। সেখানে বেশির ভাগ ক্রেতাই শিশু-কিশোররা। পাঞ্জেরি প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী সাব্বির খান বলেন, গত দু’দিন পাঠকের তুলনায় আমাদের দর্শনার্থীদের যে ফ্লো ছিল তা ভাল ছিল না। তবে লোকসমাগমের আজ যে ফ্লো, তাতে বিক্রি বেশ সমনাতুপাতিক মনে হচ্ছে।
খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবারের বইমেলা থেকে এসেছেন আদনান হোসেন। আদনান বলেন, এখন পর্যন্ত বাংলা একাডেমির অনুবাদ পত্রিকা নেওয়া হয়েছে। সামনে আরো কিছুদিন আছি, পছন্দের কিছু বই কিনে ফেলব।
এদিকে উত্তরবঙ্গের জেলা দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেলায় এসেছেন জাকিরুল ইসলাম। তিন ধরে মেলা ঘুরেছেন, কিনেছেন পছন্দের বিভিন্ন লেখকের বই।
জাকিরুল জানান, এর আগেও বেশ কয়েকটি বই কেনা হয়েছে। আজ আরণ্যক, শেষের কবিতা ও আদর্শ হিন্দু হোটেল কেনা হয়েছে। দাম প্রসঙ্গে জানতে চাইল জাকিরুল জানান, সাধ্যের মধ্যেই ছিল। খুব বেশি মনে হয়নি।
এমএমএ/