শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫ | ২২ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

কোরআনে ইসলাম প্রসঙ্গে একটি সর্বজনীন বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি

ড. মুহম্মদ এমদাদ হাসনায়েন
বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী রুহুল আযম কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর শিলাইদহের পাশে কালোয়া গ্রামে জন্ম। তিনি অতি ছোটবেলা থেকে সত্যানুসন্ধানী। ১৯৬৯’র গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ, মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই ভারত গমন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ। লেখালেখির অভ্যাস স্কুল জীবন থেকে। ইতোমধ্যে ‘সবুজ নিসর্গের দাহ’ নামক একটি কাব্যগ্রন্থ বেরিয়েছে এবং ‘নিন্দিত সময়ের নন্দিত উপাসনা’ নামক একটি কাব্যগ্রন্থ পাণ্ডুলিপি আকারে বেরিয়েছে। কোরআন বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে তার দৃষ্টিভঙ্গি শ্রেণি বিভাজন এবং বক্তব্য প্রকাশের ক্ষেত্রে তার ভাষা অকপট ও তীক্ষ্ণ।

প্রকৌশলী রুহুল আযম ‘কোরআনে ইসলাম প্রসঙ্গে একটি সর্বজনীন বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি’ গ্রন্থটি কণ্ঠধ্বনি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। ১৬০ পৃষ্ঠার গ্রন্থটি ২০২৩ সালের গ্রন্থ মেলায় প্রকাশিত হবে। এই গ্রন্থটি তিনটি অধ্যায়ে বিভক্ত। প্রথম অধ্যায়ে মানব সৃষ্টি সম্পর্কে বিজ্ঞান-দর্শন ও বিভিন্ন ধর্মমত সমূহের আলোকে আলোচনা। প্রথম অধ্যায়টি বক্তব্যের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে কয়েকটি অনুচ্ছেদে বিভক্ত এবং প্রত্যেকটি অনুচ্ছেদের শেষে অনুচ্ছেদের মূল বক্তব্য-বিষয়কে অনুসিদ্ধান্ত আকারে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে আল-কোরআনের আয়াত সমূহের আলোকে নবী করিম (সঃ) এর কর্তব্য বা কাজ সমূহের বিবরণ আল-কোরআনের বিভিন্ন সুরা থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় অধ্যায়ে রয়েছে আল-কোরআনের নির্বাচিত কিছু আয়াত, যেগুলোকে আল-কোরআনে আল্লাহতালা ফুরকান নামে অভিহিত করেছেন। গ্রন্থটির একটি বৈশিষ্টের কথা এখানে উল্লেখ করতে হয়, যেটি আমার নিজস্ব ধারণা মতে সৃষ্টিশীল নতুন চিন্তার ফসল যেমন- সভ্যতার শুরু থেকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন স্তর অতিক্রমের মাধ্যমে সভ্যতার যে ক্রমোন্নতি হয়েছে, ভিত্তি হিসাবে তার মূলে রয়েছে মানুষের সৃষ্টিশীল মেধা বা জ্ঞান যেটা যুগে যুগে সৃষ্টিশীল মানুষের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার নিজের দেওয়া। মানুষের সঙ্গে স্রষ্টার যোগাযোগ হয় মানুষের সৃজনশীল চিন্তন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। সকল মানব সদস্যের জন্ম হয় আলাক স্তরে যখন প্রতিটি মানব সদস্যের ব্রেইন থাকে অভিজ্ঞতাবাদী দার্শনিক জন লকের ট্যাবুলা রাসা বা শূন্য শ্লেটের মত এবং এই আলাক স্তর থেকে বেছে নিয়ে আল্লাহতালা যুগে যুগে তাঁর পরিকল্পনা ও প্রয়োজন অনুসারে শারিরীক-মানসিক যোগ্যতা সহকারে একেক জন ইনছান মানুষ সৃষ্টি করেন। সেজন্য জাতি, স্থান-কাল, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি মানব শিশুকে সর্ব্বোচ্চ ছয় বছর বয়স পর্যন্ত আল্লাহতালা নিজের তত্ত্বাবধানে রেখে প্রয়োজনীয় শিক্ষা দেন। সমুদ্র প্রবাহের মতো মানব প্রবাহের দুইটি ধারা রয়েছে যার একটি প্রগতিপন্থী এবং অপরটি প্রগতিপরিপন্থী, এটিও আল-কোরআনের অন্যতম শিক্ষা। সুরা ফাতিহার শেষ অংশের অর্থ হতে হবে আরও বিস্তৃত ও উদার এবং তাহলেই মুসলিম জাতির দৃষ্টিভঙ্গি আধুনিককালের মানব জাতির দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হবে। সমস্ত বিষয়গুলোকে সে রকম নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিচার করার দায়িত্ব গুণী পাঠকদের।

ইসলামকে ধর্ম হিসাবে দেখলে তা শুধু মুসলিমদের ধর্মে পরিণত হয়। পক্ষান্তরে ইসলামকে যদি একটি সর্বজনীন বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি হিসাবে দেখা যায় তাহলে তা পৃথিবীর সমগ্র মানব জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য কল্যাণকর একটি ধারণা বা ধর্মে পরিণত হয়। এ দুটি ধারণার মধ্যে কোনটা যুক্তিসঙ্গত এবং আল্লাহতালার কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য এই সমস্যার নিষ্পত্তি আল্লাহতালা কর্তৃক নবীকে (সঃ) উদ্দেশ করে বলা সুরা সা-বা’র ২৮ নম্বর আয়াত: “আমি তো তোমাকে সমগ্র মানব জাতির প্রতি সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা উপলব্ধি করে না”-এর আলোকে করলেই বুঝা যায় আল্লাহতালা নবী’র (সঃ) কাছে ধর্ম পাঠাননি বরং মানব জাতির সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি দৃষ্টিভঙ্গি পাঠিয়েছেন। এ জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, ইসলাম কোনো ধর্ম নয় বরং সর্বকালের মানুষের জন্য আল্লাহতালার তরফ থেকে দেওয়া “একটি সর্বজনীন বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি”।

সকল মানব শিশুরই জন্ম হয় এক আলাক স্তরে। এটাই সকল মানুষের আদিরূপ বা মূলরূপ। সেখান থেকে যুগে যুগে জগত সংসারে নির্ধারিত বিশেষ বিশেষ কর্ম সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে এক একজন মানব শিশুকে গড়ে তোলা হয় এক একজন পৃথক ইনছান মানুষ হিসাবে। শিশু বয়স থেকে ইন্দ্রিয়-প্রত্যক্ষণ, ইন্দ্রিয় প্রত্যক্ষণের উপাত্তসমূহকে স্মৃতি হিসাবে মস্তিষ্কে সংরক্ষণের মাধ্যমে মানব বুদ্ধির ভাণ্ডার গড়ে তোলা এবং পরবর্তীতে চিন্তন প্রক্রিয়ার সাহায্যে স্মৃতিগুলোকে তুলে এনে জীবনে বাস্তব পরিস্থিতির মোকাবেলা করা ইত্যাদি সবগুলো প্রক্রিয়ার পেছনে থাকে একজন সৃষ্টিকর্তার প্রত্যক্ষ সহযোগিতা। এভাবেই গড়ে ওঠে মানুষের অভ্যাস। আর এই অভ্যাসের দাস হিসাবে মানুষ জীবনে সবকিছু পালন করে থাকে। জাতি, ধর্ম-বর্ণ, স্থান-কাল নির্বিশেষে সকল মানব শিশুর জন্য এটা এক চিরন্তন নিয়ম। এই দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে পৃথিবীর সকল মানুষই একজন অমৃতের সন্তান। মানুষের এই প্রকৃত পরিচয়ের পরও প্রতিটি মানুষ পৃথিবীতে আলাদা আলাদা পরিচয়ে জীবনযাপন করে ও আলাদা আলাদা ভাবে মৃত্যুবরণ করে। মানব জীবনের এই সমস্ত কিছুর নিয়ন্তা যিনি তিনিই সৃষ্টিকর্তা। সমস্ত বিশ্ব-ব্রহ্মা ও জগত-সংসার পরিচালিত হয় নির্দিষ্ট বিধি মোতাবেক বা সৃষ্টিকর্তার সৃষ্ট অমোঘ নিয়মে। সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হিসাবে মানুষ পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তার প্রতিনিধিত্ব করে। সেই সাথে পৃথিবীতে চলার জন্য মানুষের স্বাধীনতাও রয়েছে। সৃষ্টিকর্তার বিধি মোতাবেক পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব করা এবং নিজের ইচ্ছামতো স্বাধীনভাবে চলা এই দুইয়ের সংঘাতে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। সেজন্য যুগে যুগে কিতাবসহ নবী-রসুল পাঠানো হয়েছে মানুষকে দিক নির্দেশনা দিতে অর্থাৎ মানুষকে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি দিতে। এই সঠিক দৃষ্টিভঙ্গিটির নামই ইসলাম বা সর্বজনীন একটি বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি, যা প্রচার করার জন্য আল-কোরআনের মাধ্যমে শেষ নবী মুহম্মদ (সঃ) ও সকল নবী-রাসূলকেই আল্লাহতালা আদেশ দিয়েছেন। কোরআনের আলোকে এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা রয়েছে এই গ্রন্থে।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হলেন সেনাপ্রধান

পদক গ্রহণ করছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনালের ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট পদে ভূষিত করা হয়েছে। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের জনগণের সার্বিক উন্নয়নে, বিশেষ করে চিকিৎসা খাতে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকৃতি প্রদান করেই তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় আইএসপিআর।

আইএসপিআর জানায়, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফর শেষে আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান। সফরকালে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি কন্টিনজেন্টসমূহ ও বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সেনাবাহিনী প্রধানকে অবহিত করা হয়। এ সময় তিনি তাঁর মূল্যবান দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সেনাবাহিনী প্রধান স্পেশাল রিপ্রেজেনটেটিভ অব দ্য সেক্রেটারি জেনারেল ভ্যালেন্টাইন রুগাবিজা এবং ফোর্স কমান্ডার লে. জেনারেল হামফ্রে নায়নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

ছবি: সংগৃহীত

সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক্যান ফোর্স (এফএসিএ) এর প্রধান জেনারেল মামাদু জেফিরিনের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধান দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এবং সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক শান্তিরক্ষী মিশনের অধীনে বেসামরিক লোকদের সহায়তার অংশ হিসেবে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এ নির্মিত তোয়াদেরা কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন। এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট ফসটিন আরচেঞ্জ তৌদেরার সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের জনগণের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রেসিডেন্ট সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাবাহিনী প্রধানকে সম্মানসূচক রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত করেন।

এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের বাংগি এলাকায় নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কন্টিনজেন্টসমূহ পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের এ সফর সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদারের পাশাপাশি সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে আশা করা যায়।

উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী প্রধান গত ৩ মার্চ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফরে যান।

Header Ad
Header Ad

তৃতীয় বিয়ে করলেন অভিনেতা মিলন, পাত্রী কে?

অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন ও তার স্ত্রী শিপা। ছবি: সংগৃহীত

আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন ছোট ও বড়পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। প্রায় এক মাস আগেই ভালোবাসার মাস ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে সারেন এ অভিনেতা।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। মিলন ও তার স্ত্রীকে দেখতে অভিনেতার বাড়ি থেকে ৫টি ছবি পোস্ট করেন তিনি।

পোস্ট করা ছবির ক্যাপশনে বিবাহিত জীবনের জন্য শুভকামনাও জানান চয়নিকা। শুধু যে চয়নিকা নব দম্পতিকে দেখতে গিয়েছিলেন এমন নয়। ছোট পর্দার অনেক অভিনয়শিল্পীই আজ মিলনের বাড়ি হাজির হন নতুন বউ দেখতে।

জানা যায়, মিলনের স্ত্রীর নাম শিপা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগামে দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, অভিনেতার প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল লুসি গোমেজ। ১৯৯৯ সালে তাদের বিয়ে হয়। ২০১৩ সালে তাদের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘটে। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী পলির সঙ্গে মিলনের বিয়ে ও চার বছরের সংসার জীবনের গুঞ্জন শোনা গেলেও তা অস্বীকার করে আসছিলেন অভিনেতা।

তবে ২০১৩ সালের অক্টোবরে শ্রীলঙ্কায় স্ত্রী-পুত্র সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছবি প্রকাশ করেন আনিসুর রহমান মিলন। সেই ছবি থেকে জানা যায়, তার স্ত্রীর নাম পলি আহমেদ এবং সন্তানের নাম মিহ্রান।

এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পলি আহমেদকে বিয়ে করেন। যিনি ২০২২ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

Header Ad
Header Ad

ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের মামলা

ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন ও প্রায় ৫৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়া ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে দুদক কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে এদিন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সোহানুর রহমান বাদি হয়ে লাক মিয়ার নামে মামলা করেন।

মামলার এজহারে বলা হয়, লাক মিয়া চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫৫ কোটি ২৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৯৫১ টাকা মূল্যের সম্পত্তির মালিকানা অর্জনপূর্বক দখলে রাখে।

তার নামে ৪৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৫০১ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করে। যার কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এদিকে একই অভিযোগে লাক মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধেও মামলা করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান।

মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধে করা মামলার এজহারে বলা হয়, স্বামীর সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৪ কোটি ৫০ লক্ষ ২৩ হাজার ১৯৭ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অসাধু উপায়ে অর্জনপূর্বক দখলে রেখে এবং ১৪টি ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪৬১ কোটি ১৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ১৪৬ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রুপান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হলেন সেনাপ্রধান
তৃতীয় বিয়ে করলেন অভিনেতা মিলন, পাত্রী কে?
ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের মামলা
লাইফ সাপোর্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক
যশোর সীমান্ত থেকে ৫ কোটি ১২ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ
অনেক কো-আর্টিস্ট, ডিরেক্টর তখন আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না: প্রভা
ভয়াবহ দাবানলের কবলে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, ২০ স্থানে ছড়িয়েছে আগুন (ভিডিও)
নাগরিক পার্টি ছাড়লেন আবু হানিফ, ফিরে গেলেন গণ অধিকার পরিষদে
প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
রোজায় বেড়েছে আনারসের চাহিদা, দ্রুত পাকাতে রাসায়নিক ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি
সন্তানের জন্য ‘ডন থ্রি’ সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ালেন কিয়ারা
অস্থিরতার কারণে এ বছর নির্বাচন কঠিন হবে: রয়টার্সকে নাহিদ ইসলাম
চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলেন মির্জা ফখরুল
বিয়ে বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে বরের মৃত্যু
মুশফিক অযু ছাড়া ব্যাট-বল স্পর্শ করতেন না: মুশফিকের স্ত্রী
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে ভারত, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও ভালো উন্নতি বাংলাদেশের
ছাত্র-জনতা কোথাও অভিযান চালাতে পারে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফ্রান্সে মুসলিম খেলোয়াড়দের রোজায় নিষেধাজ্ঞা
স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন আবরার ফাহাদসহ ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি
রাবিতে সভাপতি নিয়োগ নিয়ে দুই পক্ষের ধস্তাধস্তি