বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

কোরআনে ইসলাম প্রসঙ্গে একটি সর্বজনীন বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি

ড. মুহম্মদ এমদাদ হাসনায়েন
বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী রুহুল আযম কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর শিলাইদহের পাশে কালোয়া গ্রামে জন্ম। তিনি অতি ছোটবেলা থেকে সত্যানুসন্ধানী। ১৯৬৯’র গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ, মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই ভারত গমন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ। লেখালেখির অভ্যাস স্কুল জীবন থেকে। ইতোমধ্যে ‘সবুজ নিসর্গের দাহ’ নামক একটি কাব্যগ্রন্থ বেরিয়েছে এবং ‘নিন্দিত সময়ের নন্দিত উপাসনা’ নামক একটি কাব্যগ্রন্থ পাণ্ডুলিপি আকারে বেরিয়েছে। কোরআন বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে তার দৃষ্টিভঙ্গি শ্রেণি বিভাজন এবং বক্তব্য প্রকাশের ক্ষেত্রে তার ভাষা অকপট ও তীক্ষ্ণ।

প্রকৌশলী রুহুল আযম ‘কোরআনে ইসলাম প্রসঙ্গে একটি সর্বজনীন বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি’ গ্রন্থটি কণ্ঠধ্বনি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। ১৬০ পৃষ্ঠার গ্রন্থটি ২০২৩ সালের গ্রন্থ মেলায় প্রকাশিত হবে। এই গ্রন্থটি তিনটি অধ্যায়ে বিভক্ত। প্রথম অধ্যায়ে মানব সৃষ্টি সম্পর্কে বিজ্ঞান-দর্শন ও বিভিন্ন ধর্মমত সমূহের আলোকে আলোচনা। প্রথম অধ্যায়টি বক্তব্যের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে কয়েকটি অনুচ্ছেদে বিভক্ত এবং প্রত্যেকটি অনুচ্ছেদের শেষে অনুচ্ছেদের মূল বক্তব্য-বিষয়কে অনুসিদ্ধান্ত আকারে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে আল-কোরআনের আয়াত সমূহের আলোকে নবী করিম (সঃ) এর কর্তব্য বা কাজ সমূহের বিবরণ আল-কোরআনের বিভিন্ন সুরা থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় অধ্যায়ে রয়েছে আল-কোরআনের নির্বাচিত কিছু আয়াত, যেগুলোকে আল-কোরআনে আল্লাহতালা ফুরকান নামে অভিহিত করেছেন। গ্রন্থটির একটি বৈশিষ্টের কথা এখানে উল্লেখ করতে হয়, যেটি আমার নিজস্ব ধারণা মতে সৃষ্টিশীল নতুন চিন্তার ফসল যেমন- সভ্যতার শুরু থেকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন স্তর অতিক্রমের মাধ্যমে সভ্যতার যে ক্রমোন্নতি হয়েছে, ভিত্তি হিসাবে তার মূলে রয়েছে মানুষের সৃষ্টিশীল মেধা বা জ্ঞান যেটা যুগে যুগে সৃষ্টিশীল মানুষের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার নিজের দেওয়া। মানুষের সঙ্গে স্রষ্টার যোগাযোগ হয় মানুষের সৃজনশীল চিন্তন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। সকল মানব সদস্যের জন্ম হয় আলাক স্তরে যখন প্রতিটি মানব সদস্যের ব্রেইন থাকে অভিজ্ঞতাবাদী দার্শনিক জন লকের ট্যাবুলা রাসা বা শূন্য শ্লেটের মত এবং এই আলাক স্তর থেকে বেছে নিয়ে আল্লাহতালা যুগে যুগে তাঁর পরিকল্পনা ও প্রয়োজন অনুসারে শারিরীক-মানসিক যোগ্যতা সহকারে একেক জন ইনছান মানুষ সৃষ্টি করেন। সেজন্য জাতি, স্থান-কাল, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি মানব শিশুকে সর্ব্বোচ্চ ছয় বছর বয়স পর্যন্ত আল্লাহতালা নিজের তত্ত্বাবধানে রেখে প্রয়োজনীয় শিক্ষা দেন। সমুদ্র প্রবাহের মতো মানব প্রবাহের দুইটি ধারা রয়েছে যার একটি প্রগতিপন্থী এবং অপরটি প্রগতিপরিপন্থী, এটিও আল-কোরআনের অন্যতম শিক্ষা। সুরা ফাতিহার শেষ অংশের অর্থ হতে হবে আরও বিস্তৃত ও উদার এবং তাহলেই মুসলিম জাতির দৃষ্টিভঙ্গি আধুনিককালের মানব জাতির দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হবে। সমস্ত বিষয়গুলোকে সে রকম নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিচার করার দায়িত্ব গুণী পাঠকদের।

ইসলামকে ধর্ম হিসাবে দেখলে তা শুধু মুসলিমদের ধর্মে পরিণত হয়। পক্ষান্তরে ইসলামকে যদি একটি সর্বজনীন বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি হিসাবে দেখা যায় তাহলে তা পৃথিবীর সমগ্র মানব জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য কল্যাণকর একটি ধারণা বা ধর্মে পরিণত হয়। এ দুটি ধারণার মধ্যে কোনটা যুক্তিসঙ্গত এবং আল্লাহতালার কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য এই সমস্যার নিষ্পত্তি আল্লাহতালা কর্তৃক নবীকে (সঃ) উদ্দেশ করে বলা সুরা সা-বা’র ২৮ নম্বর আয়াত: “আমি তো তোমাকে সমগ্র মানব জাতির প্রতি সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা উপলব্ধি করে না”-এর আলোকে করলেই বুঝা যায় আল্লাহতালা নবী’র (সঃ) কাছে ধর্ম পাঠাননি বরং মানব জাতির সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি দৃষ্টিভঙ্গি পাঠিয়েছেন। এ জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, ইসলাম কোনো ধর্ম নয় বরং সর্বকালের মানুষের জন্য আল্লাহতালার তরফ থেকে দেওয়া “একটি সর্বজনীন বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি”।

সকল মানব শিশুরই জন্ম হয় এক আলাক স্তরে। এটাই সকল মানুষের আদিরূপ বা মূলরূপ। সেখান থেকে যুগে যুগে জগত সংসারে নির্ধারিত বিশেষ বিশেষ কর্ম সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে এক একজন মানব শিশুকে গড়ে তোলা হয় এক একজন পৃথক ইনছান মানুষ হিসাবে। শিশু বয়স থেকে ইন্দ্রিয়-প্রত্যক্ষণ, ইন্দ্রিয় প্রত্যক্ষণের উপাত্তসমূহকে স্মৃতি হিসাবে মস্তিষ্কে সংরক্ষণের মাধ্যমে মানব বুদ্ধির ভাণ্ডার গড়ে তোলা এবং পরবর্তীতে চিন্তন প্রক্রিয়ার সাহায্যে স্মৃতিগুলোকে তুলে এনে জীবনে বাস্তব পরিস্থিতির মোকাবেলা করা ইত্যাদি সবগুলো প্রক্রিয়ার পেছনে থাকে একজন সৃষ্টিকর্তার প্রত্যক্ষ সহযোগিতা। এভাবেই গড়ে ওঠে মানুষের অভ্যাস। আর এই অভ্যাসের দাস হিসাবে মানুষ জীবনে সবকিছু পালন করে থাকে। জাতি, ধর্ম-বর্ণ, স্থান-কাল নির্বিশেষে সকল মানব শিশুর জন্য এটা এক চিরন্তন নিয়ম। এই দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে পৃথিবীর সকল মানুষই একজন অমৃতের সন্তান। মানুষের এই প্রকৃত পরিচয়ের পরও প্রতিটি মানুষ পৃথিবীতে আলাদা আলাদা পরিচয়ে জীবনযাপন করে ও আলাদা আলাদা ভাবে মৃত্যুবরণ করে। মানব জীবনের এই সমস্ত কিছুর নিয়ন্তা যিনি তিনিই সৃষ্টিকর্তা। সমস্ত বিশ্ব-ব্রহ্মা ও জগত-সংসার পরিচালিত হয় নির্দিষ্ট বিধি মোতাবেক বা সৃষ্টিকর্তার সৃষ্ট অমোঘ নিয়মে। সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হিসাবে মানুষ পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তার প্রতিনিধিত্ব করে। সেই সাথে পৃথিবীতে চলার জন্য মানুষের স্বাধীনতাও রয়েছে। সৃষ্টিকর্তার বিধি মোতাবেক পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব করা এবং নিজের ইচ্ছামতো স্বাধীনভাবে চলা এই দুইয়ের সংঘাতে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। সেজন্য যুগে যুগে কিতাবসহ নবী-রসুল পাঠানো হয়েছে মানুষকে দিক নির্দেশনা দিতে অর্থাৎ মানুষকে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি দিতে। এই সঠিক দৃষ্টিভঙ্গিটির নামই ইসলাম বা সর্বজনীন একটি বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি, যা প্রচার করার জন্য আল-কোরআনের মাধ্যমে শেষ নবী মুহম্মদ (সঃ) ও সকল নবী-রাসূলকেই আল্লাহতালা আদেশ দিয়েছেন। কোরআনের আলোকে এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা রয়েছে এই গ্রন্থে।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ভ্যাল কিলমার আর নেই

অভিনেতা ভ্যাল কিলমার। ছবি: সংগৃহীত

হলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা ভ্যাল কিলমার আর নেই। ‘টপ গান’ এবং ‘ব্যাটম্যান ফরএভার’ খ্যাত এই তারকা ১ এপ্রিল (মঙ্গলবার) লস অ্যাঞ্জেলেসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরে কণ্ঠনালীতে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। এছাড়া শেষ সময়ে নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন, যা তার শারীরিক অবস্থাকে আরও জটিল করে তোলে।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভ্যাল কিলমার দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তবে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থা দ্রুত অবনতির দিকে যায়। অভিনেতার মেয়ে মার্সিডিজ কিলমার জানান, শেষ সময়ে তার বাবা লড়াই চালিয়ে যেতে পারছিলেন না।

আশির ও নব্বই দশকে হলিউডে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলেন ভ্যাল কিলমার। তার সোনালি চুল, আকর্ষণীয় চেহারা এবং অনবদ্য অভিনয়ের কারণে তিনি হয়ে উঠেছিলেন দর্শকদের প্রিয় তারকা। ‘টপ গান’, ‘রিয়াল জিনিয়াস’, ‘উইলো’, ‘হিট’ এবং ‘দ্য সেন্ট’-এর মতো ছবিতে তার অসাধারণ অভিনয় এখনো দর্শকদের মনে অমলিন।

বিশেষ করে ১৯৯১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দ্য ডোর্স’ সিনেমায় কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী জিম মরিসনের চরিত্রে তার অভিনয় ব্যাপক প্রশংসিত হয়। ১৯৯৫ সালে ‘ব্যাটম্যান ফরএভার’ ছবিতে তিনি ব্যাটম্যান চরিত্রে অভিনয় করেন, যা তাকে সুপারহিরো সিনেমার জগতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা এনে দেয়। যদিও ১৯৯৭ সালের ‘ব্যাটম্যান অ্যান্ড রবিন’ সিনেমায় এই চরিত্রে জর্জ ক্লুনি অভিনয় করেন, কিন্তু ভক্তদের মনে ব্যাটম্যান হিসেবে গেঁথে ছিলেন ভ্যাল কিলমারই।

ক্যান্সারের কারণে বহু বছর অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন কিলমার। তবে ২০২১ সালে ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’ সিনেমার মাধ্যমে তিনি বড় পর্দায় ফিরে আসেন। যদিও শারীরিক অসুস্থতার কারণে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারতেন না, তবুও তার প্রত্যাবর্তন দর্শকদের মনে নস্টালজিয়ার ঝড় তোলে।

ভ্যাল কিলমারের মৃত্যুতে চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। হলিউডে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

Header Ad
Header Ad

ময়মনসিংহে সিনেমা হলে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে দর্শকদের ভাঙচুর

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে একটি সিনেমা হলে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রচার বন্ধ হয়ে গেলে ক্ষুব্ধ দর্শকেরা ব্যাপক ভাঙচুর চালান। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজারের মাছ মহালে অবস্থিত সোনালি টকিজ সিনেমা হলে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে চলমান ‘বরবাদ’ সিনেমার সন্ধ্যার শো দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর দর্শক সমাগম ঘটে। ডিসি, বেলকনি এবং প্রথম শ্রেণির টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। কিন্তু সিনেমার মাঝপথে সাউন্ড সিস্টেমে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়, ফলে সিনেমা প্রদর্শন বন্ধ হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ অনেক চেষ্টা করেও সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর কোনো আশার আলো দেখতে না পেয়ে ক্ষুব্ধ দর্শকেরা হলে ভাঙচুর শুরু করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, রাত সাড়ে ৮টা থেকে প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলা এই তাণ্ডবে সিনেমা হলের বসার বেঞ্চ, চেয়ার ও টিকিট কাউন্টার ভাঙচুর করা হয়। পাশাপাশি হলের দেয়ালে লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে নিচতলায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় একদল যুবক বিক্ষুব্ধ দর্শকদের ধাওয়া করলে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।

কিছু দর্শক অভিযোগ করেন, যান্ত্রিক ত্রুটির সময় হল কর্তৃপক্ষ কোনো আশ্বস্ত না করে কলাপসিবল গেটে তালা মেরে চলে যান। এতে দর্শকেরা আরও বেশি ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন এবং হলের বিভিন্ন অংশ ভাঙচুর করেন।

ঘটনার সময় হলে উপস্থিত থাকা একজন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, উত্তেজিত দর্শকেরা তাকে মারধর করতে উদ্যত হন। তবে তিনি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ কক্ষের লাইট বন্ধ করে দরজায় তালা লাগিয়ে ভেতরে বসে থাকায় অল্পের জন্য রক্ষা পান।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাস জানান, সিনেমা চলার সময় সাউন্ড সিস্টেমে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। সেটি ঠিক করতে না পেরে কর্তৃপক্ষ বাইরে থেকে সাউন্ড সিস্টেম ভাড়া আনতে যান। কিন্তু দর্শকেরা কলাপসিবল গেটে তালা লাগানো দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং পরবর্তীতে ভাঙচুর চালান।

এদিকে, ঘটনার পর সিনেমা হলের দায়িত্বে থাকা হারুনুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, তিনি অসুস্থ হয়ে বিশ্রামে আছেন। হলের অন্যান্য কর্মীরাও ভয়ে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং দোষীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের তীব্র প্রতিক্রিয়া

সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের তীব্র প্রতিক্রিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে এক বক্তৃতায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যকে (সেভেন সিস্টার্স) স্থলবেষ্টিত বলে উল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশকে এ অঞ্চলের জন্য সমুদ্রের অভিভাবক হিসেবে বর্ণনা করেন।

ড. ইউনূস তার বক্তব্যে বলেন, ভারতের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত সাতটি রাজ্য সম্পূর্ণরূপে স্থলবেষ্টিত। সমুদ্রের সঙ্গে তাদের কোনো সরাসরি সংযোগ নেই। ফলে বাংলাদেশ এই অঞ্চলের জন্য সমুদ্রের একমাত্র প্রবেশদ্বার এবং অভিভাবক হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে।

তার এই মন্তব্য ভারতের রাজনৈতিক নেতা ও কূটনীতিকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে অনেক ভারতীয় রাজনীতিবিদ হতাশাজনক এবং নিরাপত্তার জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন।

ভারতের আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মন্তব্য করেছেন, ড. ইউনূসের বক্তব্য ভারতের ‘চিকেনস নেক’ করিডোরের দুর্বলতা নিয়ে পাকিস্তান ও চীনের দীর্ঘদিনের প্রচারণাকে উসকে দিতে পারে। তিনি আরও বলেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের সংযোগ আরও জোরদার করতে শক্তিশালী রেল ও সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি।

ত্রিপুরার আদিবাসী দল টিপ্রা মোথার নেতা প্রদ্যোত মানিক্য বলেন, ‘১৯৪৭ সালে চট্টগ্রাম ভারতের অংশ হলে আজ এ সমস্যা হতো না। আমাদের বাংলাদেশের পরিবর্তে নিজস্ব সমুদ্রবন্দর প্রয়োজন।’

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার বীণা সিক্রি বলেন, ‘উত্তর-পূর্ব ভারতের সমুদ্র প্রবেশাধিকার নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ইতোমধ্যেই চুক্তি রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্য অত্যন্ত হতাশাজনক এবং তিনি এ ধরনের মন্তব্য করার অধিকার রাখেন না।’

ড. ইউনূসের বক্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন একাধিক কংগ্রেস নেতা। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা পবন খেরা মন্তব্য করেছেন, ‘বাংলাদেশের এ ধরনের অবস্থান উত্তর-পূর্ব ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ভ্যাল কিলমার আর নেই
ময়মনসিংহে সিনেমা হলে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে দর্শকদের ভাঙচুর
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের তীব্র প্রতিক্রিয়া
মিয়ানমারের ভূমিকম্পে এক ইমামের ১৭০ স্বজনের মৃত্যু
ঈদের আনন্দে যমুনার দুর্গম চরে গ্রাম-বাংলার ঘুড়ি উৎসব, আনন্দে মেতে উঠে বিনোদনপ্রেমীরা!
ইমামকে ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায়, দেওয়া হলো ৯ লাখ টাকার সংবর্ধনা
লন্ডনে একসঙ্গে দেখা গেলো সাবেক চার আওয়ামী মন্ত্রীকে
ঢাকায় ফিরছে ঈদযাত্রীরা, অনেকে ছুটছেন শহরের বাইরে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আবারও সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৭
বিটিভিতে আজ প্রচারিত হবে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা, নেই যানজটের চিরচেনা দৃশ্য
মাদারীপুরে তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২
থানায় জিডি করলেন ভোক্তা অধিকারের জব্বার মন্ডল
রাশিয়া আমাদের চিরকালের বন্ধু, কখনো শত্রু নয়: চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান খালেদা জিয়ার
দ্বিতীয় দফায় মিয়ানমারে ত্রাণ সহায়তা পাঠালো বাংলাদেশ
ভারতে প্রশিক্ষণ প্লেন বিধ্বস্ত, পাইলট আহত
এপ্রিলে ঢাকায় আসছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল
জাপানে মেগা ভূমিকম্পের শঙ্কা, প্রাণহানি হতে পারে ৩ লাখ
জুলাই কন্যাদের সম্মানজনক পুরস্কার নিয়ে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র