বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কোরআনে ইসলাম প্রসঙ্গে একটি সর্বজনীন বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি

ড. মুহম্মদ এমদাদ হাসনায়েন
বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী রুহুল আযম কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর শিলাইদহের পাশে কালোয়া গ্রামে জন্ম। তিনি অতি ছোটবেলা থেকে সত্যানুসন্ধানী। ১৯৬৯’র গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ, মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই ভারত গমন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ। লেখালেখির অভ্যাস স্কুল জীবন থেকে। ইতোমধ্যে ‘সবুজ নিসর্গের দাহ’ নামক একটি কাব্যগ্রন্থ বেরিয়েছে এবং ‘নিন্দিত সময়ের নন্দিত উপাসনা’ নামক একটি কাব্যগ্রন্থ পাণ্ডুলিপি আকারে বেরিয়েছে। কোরআন বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে তার দৃষ্টিভঙ্গি শ্রেণি বিভাজন এবং বক্তব্য প্রকাশের ক্ষেত্রে তার ভাষা অকপট ও তীক্ষ্ণ।

প্রকৌশলী রুহুল আযম ‘কোরআনে ইসলাম প্রসঙ্গে একটি সর্বজনীন বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি’ গ্রন্থটি কণ্ঠধ্বনি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। ১৬০ পৃষ্ঠার গ্রন্থটি ২০২৩ সালের গ্রন্থ মেলায় প্রকাশিত হবে। এই গ্রন্থটি তিনটি অধ্যায়ে বিভক্ত। প্রথম অধ্যায়ে মানব সৃষ্টি সম্পর্কে বিজ্ঞান-দর্শন ও বিভিন্ন ধর্মমত সমূহের আলোকে আলোচনা। প্রথম অধ্যায়টি বক্তব্যের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে কয়েকটি অনুচ্ছেদে বিভক্ত এবং প্রত্যেকটি অনুচ্ছেদের শেষে অনুচ্ছেদের মূল বক্তব্য-বিষয়কে অনুসিদ্ধান্ত আকারে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে আল-কোরআনের আয়াত সমূহের আলোকে নবী করিম (সঃ) এর কর্তব্য বা কাজ সমূহের বিবরণ আল-কোরআনের বিভিন্ন সুরা থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় অধ্যায়ে রয়েছে আল-কোরআনের নির্বাচিত কিছু আয়াত, যেগুলোকে আল-কোরআনে আল্লাহতালা ফুরকান নামে অভিহিত করেছেন। গ্রন্থটির একটি বৈশিষ্টের কথা এখানে উল্লেখ করতে হয়, যেটি আমার নিজস্ব ধারণা মতে সৃষ্টিশীল নতুন চিন্তার ফসল যেমন- সভ্যতার শুরু থেকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন স্তর অতিক্রমের মাধ্যমে সভ্যতার যে ক্রমোন্নতি হয়েছে, ভিত্তি হিসাবে তার মূলে রয়েছে মানুষের সৃষ্টিশীল মেধা বা জ্ঞান যেটা যুগে যুগে সৃষ্টিশীল মানুষের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার নিজের দেওয়া। মানুষের সঙ্গে স্রষ্টার যোগাযোগ হয় মানুষের সৃজনশীল চিন্তন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। সকল মানব সদস্যের জন্ম হয় আলাক স্তরে যখন প্রতিটি মানব সদস্যের ব্রেইন থাকে অভিজ্ঞতাবাদী দার্শনিক জন লকের ট্যাবুলা রাসা বা শূন্য শ্লেটের মত এবং এই আলাক স্তর থেকে বেছে নিয়ে আল্লাহতালা যুগে যুগে তাঁর পরিকল্পনা ও প্রয়োজন অনুসারে শারিরীক-মানসিক যোগ্যতা সহকারে একেক জন ইনছান মানুষ সৃষ্টি করেন। সেজন্য জাতি, স্থান-কাল, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি মানব শিশুকে সর্ব্বোচ্চ ছয় বছর বয়স পর্যন্ত আল্লাহতালা নিজের তত্ত্বাবধানে রেখে প্রয়োজনীয় শিক্ষা দেন। সমুদ্র প্রবাহের মতো মানব প্রবাহের দুইটি ধারা রয়েছে যার একটি প্রগতিপন্থী এবং অপরটি প্রগতিপরিপন্থী, এটিও আল-কোরআনের অন্যতম শিক্ষা। সুরা ফাতিহার শেষ অংশের অর্থ হতে হবে আরও বিস্তৃত ও উদার এবং তাহলেই মুসলিম জাতির দৃষ্টিভঙ্গি আধুনিককালের মানব জাতির দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হবে। সমস্ত বিষয়গুলোকে সে রকম নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিচার করার দায়িত্ব গুণী পাঠকদের।

ইসলামকে ধর্ম হিসাবে দেখলে তা শুধু মুসলিমদের ধর্মে পরিণত হয়। পক্ষান্তরে ইসলামকে যদি একটি সর্বজনীন বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি হিসাবে দেখা যায় তাহলে তা পৃথিবীর সমগ্র মানব জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য কল্যাণকর একটি ধারণা বা ধর্মে পরিণত হয়। এ দুটি ধারণার মধ্যে কোনটা যুক্তিসঙ্গত এবং আল্লাহতালার কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য এই সমস্যার নিষ্পত্তি আল্লাহতালা কর্তৃক নবীকে (সঃ) উদ্দেশ করে বলা সুরা সা-বা’র ২৮ নম্বর আয়াত: “আমি তো তোমাকে সমগ্র মানব জাতির প্রতি সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা উপলব্ধি করে না”-এর আলোকে করলেই বুঝা যায় আল্লাহতালা নবী’র (সঃ) কাছে ধর্ম পাঠাননি বরং মানব জাতির সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি দৃষ্টিভঙ্গি পাঠিয়েছেন। এ জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, ইসলাম কোনো ধর্ম নয় বরং সর্বকালের মানুষের জন্য আল্লাহতালার তরফ থেকে দেওয়া “একটি সর্বজনীন বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি”।

সকল মানব শিশুরই জন্ম হয় এক আলাক স্তরে। এটাই সকল মানুষের আদিরূপ বা মূলরূপ। সেখান থেকে যুগে যুগে জগত সংসারে নির্ধারিত বিশেষ বিশেষ কর্ম সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে এক একজন মানব শিশুকে গড়ে তোলা হয় এক একজন পৃথক ইনছান মানুষ হিসাবে। শিশু বয়স থেকে ইন্দ্রিয়-প্রত্যক্ষণ, ইন্দ্রিয় প্রত্যক্ষণের উপাত্তসমূহকে স্মৃতি হিসাবে মস্তিষ্কে সংরক্ষণের মাধ্যমে মানব বুদ্ধির ভাণ্ডার গড়ে তোলা এবং পরবর্তীতে চিন্তন প্রক্রিয়ার সাহায্যে স্মৃতিগুলোকে তুলে এনে জীবনে বাস্তব পরিস্থিতির মোকাবেলা করা ইত্যাদি সবগুলো প্রক্রিয়ার পেছনে থাকে একজন সৃষ্টিকর্তার প্রত্যক্ষ সহযোগিতা। এভাবেই গড়ে ওঠে মানুষের অভ্যাস। আর এই অভ্যাসের দাস হিসাবে মানুষ জীবনে সবকিছু পালন করে থাকে। জাতি, ধর্ম-বর্ণ, স্থান-কাল নির্বিশেষে সকল মানব শিশুর জন্য এটা এক চিরন্তন নিয়ম। এই দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে পৃথিবীর সকল মানুষই একজন অমৃতের সন্তান। মানুষের এই প্রকৃত পরিচয়ের পরও প্রতিটি মানুষ পৃথিবীতে আলাদা আলাদা পরিচয়ে জীবনযাপন করে ও আলাদা আলাদা ভাবে মৃত্যুবরণ করে। মানব জীবনের এই সমস্ত কিছুর নিয়ন্তা যিনি তিনিই সৃষ্টিকর্তা। সমস্ত বিশ্ব-ব্রহ্মা ও জগত-সংসার পরিচালিত হয় নির্দিষ্ট বিধি মোতাবেক বা সৃষ্টিকর্তার সৃষ্ট অমোঘ নিয়মে। সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হিসাবে মানুষ পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তার প্রতিনিধিত্ব করে। সেই সাথে পৃথিবীতে চলার জন্য মানুষের স্বাধীনতাও রয়েছে। সৃষ্টিকর্তার বিধি মোতাবেক পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব করা এবং নিজের ইচ্ছামতো স্বাধীনভাবে চলা এই দুইয়ের সংঘাতে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। সেজন্য যুগে যুগে কিতাবসহ নবী-রসুল পাঠানো হয়েছে মানুষকে দিক নির্দেশনা দিতে অর্থাৎ মানুষকে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি দিতে। এই সঠিক দৃষ্টিভঙ্গিটির নামই ইসলাম বা সর্বজনীন একটি বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি, যা প্রচার করার জন্য আল-কোরআনের মাধ্যমে শেষ নবী মুহম্মদ (সঃ) ও সকল নবী-রাসূলকেই আল্লাহতালা আদেশ দিয়েছেন। কোরআনের আলোকে এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা রয়েছে এই গ্রন্থে।

এসআইএইচ

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া