বাইশ বসন্তে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স
পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৪ সালের ১৯ নভেম্বর। আর ২০০০ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানটি প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে। দীর্ঘ ২৮ বছরের পথ চলায় পাঞ্জেরী এদেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিষয়ক প্রকাশনায় ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে। দীর্ঘ পথ চলায় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গী হিসেবে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রকাশক, প্রকাশনা ও মুদ্রণ বিশেষজ্ঞ কামরুল হাসান শায়ক।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির ২২ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল হাসান শায়ক দেশের শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবী, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, পাঠক, শিক্ষার্থীসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি স্বপ্ন বিনির্মাণে বিভোর হয়েছিলাম। হয়তো স্বপ্নটিকে শক্তভাবে বাস্তবায়নে উজ্জীবিত না হলে আমাদের জন্মই হতো না।’
কামরুল হাসান শায়ক বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রকাশন সেক্টরের উন্নয়ন ও পরিবর্তনের স্বপ্নের তাড়নাই পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সের জন্মের প্রত্যয়। ১৯৯৪ সালে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সের জন্ম হলেও ২০০০ সালে এটি লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়। লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন ২২ বছর পূর্তি উদযাপন করতে যাচ্ছে। আমাদের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় পাঞ্জেরীকে প্রতিনিয়ত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ পরিকল্পনায় মেধা, শ্রম ও সমর্থন দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবী, কবি,সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, পাঠক, শিক্ষার্থী সর্বোপরি এক ঝাঁক সহযোদ্ধা -সকলের প্রতি হৃদয়ের অক্লান্ত ভালোবাসা, অশেষ কৃতজ্ঞতা। যারা যে কোন সময়ে মুহূর্তের জন্য হলেও পাঞ্জেরীকে ভালোবেসে ন্যূনতম অবদান রেখেছেন তাদেরকেও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।’
প্রকাশনা শিল্পকে উজ্জ্বল অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জন্মলগ্ন থেকে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স বাংলাদেশের ট্রেড পাবলিশিং, এডুকেশনাল পাবলিশিং এবং একাডেমিক পাবলিশিং নিয়ে গবেষণা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে চলেছে। যা শুধু পাঞ্জেরীর অবস্থানকে গৌরবান্বিত করবে না, বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পকে একটি উজ্জ্বল জায়গায় পৌঁছে দিতে পারবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। প্রকাশনায় আমাদের পেশাদারিত্ব ইতোমধ্যে লেখক, পাঠক ও সংশ্লিষ্ট সকল সমাজের দৃষ্টি কেড়েছে এবং আমাদের প্রতি দৃঢ় আস্থা তৈরি হয়েছে। যা প্রতিনিয়ত আমাদের প্রেরণা জোগাচ্ছে।’
বাংলাদেশ সরকারের 'সবার জন্য শিক্ষা' কার্যক্রমে বেসরকারি গর্বিত অংশীদার হয়ে কাজ করতে চায় পাঞ্জেরী। কামরুল হাসান শায়ক বলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের 'সবার জন্য শিক্ষা' এবং ইউনেস্কো প্রণীত 'সবার জন্য বই'- এই যৌথ কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রদীপ্ত অংশীদার হতে চায় পাঞ্জেরী। আমাদের এই পথচালায় সকলের সহযোগিতা আমরা একান্তভাবে কামনা করছি। আজকে পাঞ্জেরীর জন্মদিনে সকলের প্রতি শুভেচ্ছা, প্রগাঢ় ভালোবাসা।’
/এএস