সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মঞ্চস্থ হলো

বঙ্গবন্ধুর পাকিস্তানের বন্দিজীবন নিয়ে যাত্রাপালা ‘নিঃসঙ্গ লড়াই’

মঞ্চে এলো নতুন যাত্রাপালা ‘নিঃসঙ্গ লড়াই’। বঙ্গবন্ধুর লায়ালপুর জেলখানার বন্দিজীবনের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে যাত্রাপালাটি রচনা করেছেন নাট্যকার মাসুম রেজা। নির্দেশনা দিয়েছেন সাইদুর রহমান লিপন।

শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে পালাটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হলো শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায়।

‘নিঃসঙ্গ লড়াই’ এর কাহিনী সংক্ষেপ হচ্ছে: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার পরে রাখা হয় লাহোর থেকে আশি মাইল দূরে লায়ালপুর জেল। বিচার নামের এক প্রহসন মঞ্চস্থ হয় বঙ্গবন্ধুর এই জেল জীবনে। অভিযোগ দাঁড় করানো হয় বারোটি। যার ভেতরে ছয়টি প্রমাণিত হলে নিশ্চিত শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। বিচারের রায় হয় এবং রায়ে বঙ্গবন্ধুর ফাঁসির আদেশ ঘোষণা করা হয়। তাঁকে লায়ালপুর জেল থেকে নেওয়া হয় মিয়াঁওয়ালি জেলে যেখানে তার ফাঁসি কার্যকর করা হবে। কবর খোঁড়া হয় তাঁর জন্যে। বঙ্গবন্ধু সেই কবর খোঁড়া দেখতেও পান। তিনি মৃত্যুকে ভয় পাননি। কেবল বলেছিলেন তাঁর লাশটা যেন তাঁর দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এদিকে দেশ স্বাধীন হয় আর বিশ্বনেতৃত্বের চাপে বন্ধ হয়ে যায় ফাঁসি কার্যকরের আয়োজন। পাকিস্তানের জেল থেকে মুক্তি পেয়ে বিলাত ও ভারত হয়ে দশ জানুয়ারি, উনিশশ’ বাহাত্তুর দেশে ফেরেন তিনি।

পালাটি সম্পর্কে পালাকার মাসুম রেজা বলেন, ‘এই সত্যাশ্রয়ী গল্প নিয়েই আমি যাত্রাপালাটি লিখেছি। এটি আমার লেখা প্রথম যাত্রাপালা। দেশের নানাপ্রান্ত থেকে যাত্রাশিল্পীরা অভিনয় করছেন এই যাত্রাপালায়। তাঁদের অভিনয়ে ঋদ্ধ হবে এই প্রযোজনাটি। তাঁদের অভিনয়শৈলীতে মুগ্ধ হবেন সকল দর্শক। এ আমার একান্ত বিশ্বাস।’ 

পালা সম্পর্কে নির্দেশক সাইদুর রহমান লিপন বলেন, ‘নিঃসঙ্গ লড়াই রচনার কাঠামোটি ধারাবাহিক বা এপিসোডিক-যাত্রা’র প্রচলিত ‘বই’ বা ‘পালা’র ন্যায় অঙ্ক ও দৃশ্যের বিভাজনে মেলোড্রামাটিক সংকটশীর্ষ (ক্লাইমেক্স) তৈরি করে না। পালাটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের পাকিস্তানে জেল-জীবনের ঐতিহাসিক দিনগুলিকে পয়ক্রমিভাবে ১১টি দৃশ্যে বিন্যস্ত করা হয়। কিন্তু চ্যালেঞ্জিং বিষয় হলো-এই গল্প ইতিহাসের সত্য ও তথ্যের আশ্রয়ে আমাদের নিত্য কথনের চেনা-জানা বাস্তবিক চরিত্র-যেমন, বঙ্গবন্ধু, ইয়াহিয়া, জুলফিকার আলী ভুট্টো প্রভৃতি চরিত্রদের তুলে আনে। ফলে প্রথমে যে সংকটটি সামনে এসে দাঁড়ায় তা হলো-এঁদের আসর বা মঞ্চ-জীবনের স্বরূপ কি বাস্তববাদ দ্বারা নির্ধারিত হবে, নাকি যাত্রার দৈনন্দিন-অতিরিক্ত অভিনয়ের প্রচলিত প্রথা ও শৈলী দ্বারা রূপান্তরিত হবে?’

তিনি বলেন, ‘যাত্রা’র আসর থেকে মেলে এর উত্তর-কেননা, যাত্রার আসরেই তো মাইকেল মধুসূদন, লেলিন, নবাব সিরাজউদ্দৌলা প্রভৃতি চরিত্রদেরকে চিনে নিয়েছি একরকম করে। তবে আমাদের বঙ্গবন্ধু নয় কেন? কেন নয় ইয়াহিয়া বা ভুট্টো? তাছাড়া, বঙ্গবন্ধুর জনসভা আর তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের দিকে তাকালে আর কোনো দ্বিধা থাকে না-যে বিশাল পারফরম্যাটিভ ব্যক্তিত্ব নিয়ে নেতা বঙ্গবন্ধু ভাষণ-আসরে এসে দাঁড়ান, সে তো দৈনন্দিনের ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে ছাপিয়ে যায় নিমিষেই।’ 

কলা-কুশলীরা হলেন: প্রযোজনা উপদেষ্টা লিয়াকত আলী লাকী, নির্দেশনা উপদেষ্টা ওয়াহিদা মল্লিক জলি, প্রযোজনা তত্ত্বাবধান আফসানা মিমি, মঞ্চ ও দ্রব্যসামগ্রী পরিকল্পনা আশিকুর রহমান লিয়ন, আলোক পরিকল্পনা জুনায়েদ ইউসুফ, পোশাক পরিকল্পনা এনাম তারা সাকি, সংগীত পরিচালনা কমল খালিদ, নৃত্য পরিচালনা অমিত চৌধুরী, রূপসজ্জা শুভাশীষ দত্ত তন্ময়, পোস্টার ডিজাইন চারু পিন্টু এবং বিবেকের গান রচয়িতা শ্যামল দত্ত, হাফিজ রেদু ও জহির রায়হান। 

কুশীলবরা হলেন- বঙ্গবন্ধু: মিঠুন ইসলাম টিস্যু, ইয়াহিয়া: এস এম শফি, জুলফিকার আলী ভুট্টো: আফসারুজ্জামান রনি, ব্যারিস্টার ব্রোহি: মোস্তফা জাফরুল আজম, রাজা খান: সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, মালেক: রাহুল মজুমদার, সামরিক ১: শান্তনু সাহা, সামরিক ২: শাহ মো: রইচ উদ্দীন আশীষ, নেভাল কমান্ডার: আবুল কালাম, আজাদ, উইং কমান্ডার: পরিতোষ কুমার সাহা, জেনারেল গুল: লিয়াকত হোসেন, জেনারেল রোয়েদাদ: কাজী রফিকুল ইসলাম, সেশন জাজ: মো: তাহাজ উদ্দীন, সাংবাদিক ১: মো: সানাউল্লাহ, জেলার হাবীব: আসকার আলী ওয়াসিম, লেফটেন্যান্ট মোজাম্মেল: তুষার কান্তি মল্লিক, স্মারক: হরেন্দ্রনাথ মন্ডল, বিবেক: শিশির রহমান, জহির রায়হান, বন্দনা/কোরাস: শাহানাজ পারভীন, লিপি শর্মা, ঝুমা তরফদার, স্বপ্না বিশ্বাস, মিলিতা সরকার, অনুরাধা মন্ডল, মুনজেরিন বিনতে সিথি, হুমায়রা জাহান নীড়, উজমা হাসান ও লিপি পাল। যন্ত্রশিল্পী : গোকুল গোষ, আয়ুব আলী ভুইয়া, রমজানুল হক ইমন, মোহাম্মদ আলী, মানিক খান, ভোলা ভৌমিক, জাহাঙ্গীর মিয়া ও মেহেদী হাসান রাব্বি। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে পালাটি প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগ। 

এপি/এএন

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের আশঙ্কায় পাকিস্তানকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দিচ্ছে তুরস্ক। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ইতোমধ্যে তুরস্ক থেকে সাতটি অস্ত্রবাহী সামরিক বিমান পাকিস্তানে পৌঁছেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৭ এপ্রিল তুরস্কের বিমান বাহিনীর একটি হারকিউলিস সি-১৩০ কার্গো বিমান করাচিতে অবতরণ করে, যাতে নানা ধরনের সামরিক সরঞ্জাম ছিল। এ ঘটনাকে তুরস্কের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের জন্য বৃহত্তর প্রতিরক্ষা সহায়তার অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।

শুধু একটি বিমানই নয়, ইসলামাবাদের সামরিক ঘাঁটিতেও তুরস্কের আরও ছয়টি কার্গো বিমান অবতরণ করেছে, যেগুলোতেও সামরিক সরঞ্জাম ছিল বলে নিশ্চিত করেছে তুর্কি ও পাকিস্তানি সূত্র।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া বিশ্লেষণ করে বলছে, ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনার পর দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে বেড়ে চলা উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তুরস্কের এই পদক্ষেপ এসেছে।

তুরস্কের পাশাপাশি পাকিস্তান চীনের সঙ্গেও সামরিক সম্পর্ক জোরদার করছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে চীন প্রায় ৪০টি দেশে অস্ত্র রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে ৮২ শতাংশেরও বেশি অস্ত্র গেছে পাকিস্তানে।

এদিকে, ভারতের সাথে যুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানের পক্ষে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছে খালিস্তানপন্থী শিখরা। খালিস্তানি নেতা গুরপাতওয়ান্ত সিং পান্নু হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যুদ্ধ বাধলে দুই কোটি শিখ পাকিস্তানের পক্ষে অপ্রতিরোধ্য দেয়াল হয়ে দাঁড়াবে এবং ভারতীয় সেনাদের পাঞ্জাব পার হতে দেওয়া হবে না। পান্নু আরও দাবি করেন, ভারতের বিজেপি সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে কাশ্মীরে হামলার নাটক সাজিয়েছে এবং হিন্দুদের হত্যা করে নির্বাচনী ফায়দা তুলতে চাইছে।

তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সতর্ক করে বলেন, ইন্দিরা গান্ধীর পরিণতি তাদেরও হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—আগামী ৯ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে সেমিনার ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় তিন সংগঠন সম্মিলিতভাবে ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে ৪টি বৃহত্তর অঞ্চলে ভাগ করে এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। উদ্দেশ্য হলো—তরুণদের ক্ষমতায়ন, রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং একটি আধুনিক, মানবিক বাংলাদেশ নির্মাণে তরুণ প্রজন্মের মতামত ও চিন্তা সংগ্রহ করা।

প্রথম দিন: "তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ" শীর্ষক সেমিনার।
দ্বিতীয় দিন: "তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ"।

সেমিনারে তরুণ প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, চিন্তাবিদ ও উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রযুক্তি, পরিবেশ ও রাজনৈতিক অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। এ কর্মসূচি বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা ও তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের আলোকে পরিচালিত হবে।

চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগ:
▪ ৯ মে — কর্মসংস্থান ও শিল্পায়ন নিয়ে সেমিনার
▪ ১০ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

খুলনা ও বরিশাল বিভাগ:
▪ ১৬ মে — শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে সেমিনার
▪ ১৭ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ:
▪ ২৩ মে — কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা ও নাগরিক সমস্যা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৪ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ:
▪ ২৭ মে — তরুণদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও রাজনৈতিক ভাবনা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৮ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

মোনায়েম মুন্না বলেন, এই কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে তরুণদের প্রত্যাশা, মতামত ও ভাবনাকে রাজনৈতিক নীতিতে যুক্ত করে একটি জনমুখী, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনের পথ তৈরি করবে বিএনপি।

Header Ad
Header Ad

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

দেশের পাঁচটি জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ও সোমবার (২৭ ও ২৮ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। কুমিল্লার মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলায় চারজন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে তিনজন, নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও মদনে দুজন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় একজন এবং চাঁদপুরের কচুয়ায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রপাতে দুজন কৃষক নিহত হন। নিহতরা হলেন নিখিল দেবনাথ (৫৮) ও জুয়েল ভূঁইয়া (৩০)।

একই জেলার বরুড়া উপজেলার খোসবাস উত্তর ইউনিয়নের পয়েলগচ্ছ গ্রামে দুপুর ১২টার দিকে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় বজ্রপাতে মারা যায় দুই কিশোর—মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) ও মো. ফাহাদ (১৩)। এ সময় আবু সুফিয়ান (সাড়ে ৭) নামের একটি শিশু আহত হয় এবং তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে খয়েরপুর আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের হাওরে ধান কাটার সময় সকালে বজ্রপাতে প্রাণ হারান দুই কৃষক—ইন্দ্রজিৎ দাস (৩০) ও স্বাধীন মিয়া (১৫)। একই সময়ে মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে ধানের খড় শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন ফুলেছা বেগম (৬৫) নামের এক নারী।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধনুন্দ গ্রামে রবিবার রাত ১০টার দিকে বজ্রপাতে আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান দিদারুল ইসলাম (২৮)। তিনি একটি ইফতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
আজ সকাল ৭টার দিকে মদন উপজেলার তিয়োশ্রী গ্রামে মাদ্রাসাগামী শিশু মো. আরাফাত (১০) বজ্রপাতে মারা যায়।

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান রিমন তালুকদার। তিনি শাল্লা ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামে সকালে বজ্রপাতের বিকট শব্দে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বিশাখা রানী (৩৫)। তিনি কৃষক হরিপদ সরকারের স্ত্রী। চিকিৎসক জানান, বজ্রপাতের সরাসরি আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না, শব্দের প্রভাবে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি