‘মুজিবনগরের নাম আমার দেওয়া’, বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত
ইন্ডিয়াতে থাকলেও আমি বাংলাদেশি। কারণ, আমি বাংলাদেশে জন্মেছি উল্লেখ করে উপমহাদেশের কৃতি সাংবাদিক ও লেখক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত বলেছেন, ‘আনন্দবাজার পত্রিকায় রিপোর্ট করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছাকাছি থাকতাম। স্বাধীনতার সময় মুজিবনগরের নাম আমার দেওয়া। এ জন্য বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাংলাদেশে ২৮ বছর নিষিদ্ধ ছিলাম।’
‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু ও ইন্দিরাগান্ধী’ বই এর প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠানে তিনি এই সব কথা বলেন।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। জিলিয়াস পাবলিকেশন্স-এর উদ্যোগে ইতিহাস ভিত্তিক এই দুইটি বইয়ের প্রকাশনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ-এর রেজিস্ট্রার ড. শেখ মেহেদী হাসান, সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মোসতাক আহমেদ, কবি ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর, জিলিয়াস পাবলিকেশন্সের প্রধান নির্বাহী মো. হাবিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, ঢাকাপ্রকাশ-এর প্রধান সম্পাদক মোস্তফা কামালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা।
অনুষ্ঠানে সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্র ইন্দিরা গান্ধী অনেক আগেই জানতেন। আমি বঙ্গবন্ধুকে তা বলেছিলাম। কিন্তু তিনি বলতেন, আমাকে কেউ মারবে না, আমি জাতির পিতা। যারা বাংলাদেশ চায়নি তারাই এ ষড়যন্ত্র করেছে। তারাই বলেছে ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশ দখল করবে। বাংলার মানুষ স্বাধীনতা চায় না। এটা ইন্দিরা গান্ধীর ষড়যন্ত্র।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এদেশেরই মানুষ। জন্মেছি এদেশে। রিফিউজি হয়ে ভারতে কষ্ট করে মানুষ হতে হয়েছে। কারণ ছিল একটাই আমি বাঙালি। এখনো আমি চিৎকার করে বলি আমি বাঙালি। তাজ উদ্দিনের সঙ্গে আলাপ করেই মুজিবনগরের নাম ঠিক করা হয়েছিল।’
ড. মসিউর রহমান বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি ও বাংলাদেশের বাঙালির মধ্যে পার্থক্য বুঝা মুসকিল।
বঙ্গবন্ধু সব সময় নির্বাচনে সম্পৃক্ত ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামাজিক বিবর্তনে কোনো সম্পৃক্ততা না থাকলে দল টিকে না। তাই দলকে নির্বাচনে যেতে হয়। নির্বাচনে না গেলে, বিচ্ছিন্ন থেকে দল টেকে না।
জেডএ/এমএমএ/