‘শাহ আবদুল করিমের সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণে কাজ চলছে’
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের গান, সৃষ্টিকর্ম ও স্মৃতি সংরক্ষণে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে তার রচিত ৫০০টি গানের মধ্যে ৪৭২টি গানের স্বত্ব সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তার পরিবারের রয়্যালটি প্রাপ্তির অধিকারকে নিশ্চিত করা হয়েছে। ‘সাংস্কৃতিক মনীষীদের নামে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ' শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে শাহ আবদুল করিম এর নামে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটির ডিপিপি প্রণয়নের কাজ শিগগির শেষ হবে।
প্রতিমন্ত্রী সোমবার (১০অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম এর ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সংস্কৃতি ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শাহ আবদুল করিমকে খুব পছন্দ করতেন এবং তার গানের ভক্ত ছিলেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, শাহ আবদুল করিম তৎকালীন সুনামগঞ্জ মহকুমা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বাউলশিল্পী কামালউদ্দিনসহ বিভিন্ন নির্বাচনী জনসভায় গণসংগীত পরিবেশন করে খ্যাতি অর্জন করেন। তা ছাড়া তিনি ১৯৫৭ সালে টাঙ্গাইলের কাগমারী সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সংস্কৃতি ফোরামের সভাপতি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মফিজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য (সিলেট-সুনামগঞ্জ) অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খানম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনারেল সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম চৌধুরী ও নাবিহা এক্সপ্রেসের চেয়ারম্যান সেলিনা চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ঢাকার সভাপতি সি এম কয়েস সামী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের ছেলে শাহ নূর জালাল প্রমুখ।
পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
এনএইচবি/আরএ/