‘একাত্তরে রুয়েট : মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা’
`মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের অহংকার। ইচ্ছে করলেও এখন আর কারো কোনোভাবেই মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ফলে আমাদের ও আগামী প্রজন্মের বাঙালির ঐতিহ্যগুলো, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ ও জানতে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ইতিহাসের বই পড়ার কোন বিকল্প নেই’, বলেছেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)’র সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী এম. আবদুস সবুর। তিনি আজ তাদের আইইবির শহীদ প্রকৌশলী ভবন, রমনা ঢাকায় ‘একাত্তরে রুয়েট : মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা’ বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
এই বিশেষ ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে প্রকৌশলী এম. আবদুস সবুর আরো বলেছেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর আমরা অতিক্রম করেছি। যারা আমাদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছেন ও মুক্তিযুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছেন, তারাই আমাদের প্রকৃত সাক্ষী৷’
আইইবির সাবেক সভাপতি জানিয়েছেন, ‘আমাদের আইইবি সবসময় চেষ্টা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচিহ্ন প্রকৌশলীদের মাধ্যমে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে চিরকালের জন্য সংরক্ষণ করতে৷ সারা বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ভবনগুলো শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামে গড়া হয়েছে। স্বাধীনতার কথা, স্বাধীনতার আলোচনা সর্বত্রই করা উচিত। না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধকে ভুলে যাবে৷ মুক্তিযুদ্ধে প্রকৌশলীদের ভূমিকা সংরক্ষণ করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
প্রকৌশলী আবদুস সবুর বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আরো অনেক বই লিখতে হবে। যারা লিখতে চান বা চাইবেন, তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে মর্যাদা দিয়ে উৎসাহিত করতে হবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে।'
‘একাত্তরে রুয়েট : মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা’র লেখক বাংলাদেশ আর্মি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বাউয়েট) নাটোরের পুরকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী অধ্যাপক মোহাম্মদ রশিদুল হাসান। প্রকাশক প্রকৌশলী শফিকুল ইকবাল। তারা দুজনেই এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন ও বক্তব্য প্রদান করেছেন।
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ছাত্র, ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের মুক্তিযুদ্ধের জীবন নিয়ে প্রকাশিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দিয়েছেন বুয়েটের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, আইইবি কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, ভারপ্রাপ্ত সম্মানী সাধারণ সম্পাদক প্রতীক কুমার ঘোষ, আইইবি ঢাকা সেন্টারের চেয়ারম্যান মোল্লা মো. আবুল হোসেন, সম্পাদক খায়রুল বাসার ও যন্ত্রকৌশল কমিটির সম্পাদক আবু সাঈদ হিরো।
লেখা ও ছবি : জনসংযোগ কর্মকর্তা, আইইবি।