ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে নিয়ে প্রবন্ধ লিখে পুরস্কার পেল ৭২ শিক্ষার্থী

শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত সারা দেশের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ‘জাতীয় পর্যায়ে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা-২০২১’ এর বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো সারাদেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক এই দুই বিভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। মাধ্যমিকে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব : অনুকরণীয়-অনুসরণীয় এক মহীয়সী নারী’ এবং উচ্চমাধ্যমিক বিভাগে ‘সংকট-সংগ্রাম, দুর্যোগ-দুর্বিপাকে অবিচল এক নারীর প্রতিকৃতি : বঙ্গমাতা বেগম মুজিব’ বিষয়ে এই প্রতিযোগিতায় ব্যাপক সাড়া পড়ে এবং সারাদেশের ৮ হাজারের অধিক ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করেন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। অনলাইনে নিবন্ধন ফর্ম পূরনপূর্বক ডাকযোগে এবং ইলেকট্রনিক মেইলের মাধ্যমে তাদের রচনা গ্রহণ করা হয়।
প্রতিযোগিতায় প্রত্যেক বিভাগে ১ জন শ্রেষ্ঠ, ১০ জন সস্মান এবং ২৫ জন বিশেষ প্রবন্ধ অর্থাৎ দুই বিভাগে মোট ৭২ জন পুরস্কার অর্জন করেন।
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কেবল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী নন, বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের অন্যতম এক নেপথ্য অনুপ্রেরণাদাত্রী। বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি বঙ্গবন্ধুকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় চেতনাকে আরো শাণিত করেছেন এ মহীয়সী নারী। মোদ্দাকথা, বঙ্গবন্ধুর ‘বঙ্গবন্ধু’ হয়ে ওঠার পেছনে রয়েছে বঙ্গমাতার গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, বঙ্গমাতা রাজনীতির নানা দুঃসময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছিলেন গঠনমূলক পরামর্শ। তাঁর বলিষ্ঠ ও সময়োপযোগী পরামর্শসমূহ জাতির জীবনে সুফল বয়ে এনেছে, যা জাতীয় ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। যেকোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণই মুখ্য বিষয় উল্লেখ করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, পুরস্কার হলো স্বীকৃতি আর অংশগ্রহণ হলো মহাস্বীকৃতি। এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম জাতির সঠিক ইতিহাস জানতে পারঠে মর্মে তিনি এসময় উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও প্রতিযোগিতার বিচারক প্যানেলের সদস্য ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উপপরিচালক (গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগ) ও প্রতিযোগিতার মুখ্য সমন্বয়কারী এস এম শামীম আকতার। স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক (গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগ) আশরাফুল আলম পপলু।
