মঞ্চে আসছে বটতলার নতুন নাটক ‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’
ঢাকার মঞ্চে আসছে নাট্যদল বটতলার নতুন নাটক ‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’। ইতালীয় নাট্যকার যুগল দারিও ফো এবং ফ্র্যাঙ্কা রামের লেখা নাটকটি ইংরেজি থেকে রূপান্তর করেছেন অধ্যাপক আবদুস সেলিম আর নির্দেশনা দিয়েছেন বটতলার তরুণ নির্দেশক ম. সাঈদ। একক অভিনয়ের এই নাটকে অভিনয় করেছেন কাজী রোকসানা রুমা।
নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হবে ১ জুন সন্ধ্যায় বেইলি রোডের বাংলাদেশ মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহীম মিলনায়তনে। প্রথম মঞ্চায়ন উদ্বোধন করবেন মিরপুরের গার্মেন্ট শ্রমিক ও সংগঠক লাইজু আক্তার, নাটকটির রূপান্তরকারী অধ্যাপক আবদুস সেলিম এবং বটতলার সভাপতি অধ্যাপক শফি আহমেদ। উল্লেখ্য, দর্শনীর বিনিময়ে প্রদর্শিত এই নাটক পরিচয়পত্র/ আইডি কার্ড দেখানো সাপেক্ষে গার্মেন্ট শ্রমিকরা বিনামূল্যে দেখতে পাবেন যে কোন দিন।
১ থেকে ৪ জুন পর্যন্ত চার দিনে বটতলার এই প্রযোজনাটির ৬টি প্রদর্শনী হবে। ১ ও ২ জুন সন্ধ্যা ৭:৩০ হবে একটি করে প্রদর্শনী। ৩ ও ৪ জুন হবে দুইটি করে প্রদর্শনী। প্রতিদিন বিকাল ৫টা ও সন্ধ্যা ৭.৩০টায়।
সারসংক্ষেপ
জীবনযুদ্ধ আর সংসারের খাঁচায় আটক এক নারীর গল্প নিয়ে নাটক ‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’! এ নারী আমাদের অচেনা নন, আমাদের আশাপাশেই তার বা তাদের বাস। এ যেন আমাদের সবার গল্প। প্রায় সকল নারীর, সকল মায়ের, সকল কর্মজীবী নারীর গাথা। মঞ্চে হয়তো শুধুই একজন অভিনেত্রীকে দেখা যাবে, কিন্তু আপনি আপনার চেনা যেকোনো নারীর সাথে মিলিয়ে নিতে পারবেন তার জীবন। প্রতিদিন সকালে রাস্তায় দলে দলে যে নারীদের আমরা রাস্তা পার হতে বা ফুটওভার ব্রীজে উঠতে ও নামতে দেখি, তেমনই এক নারীর সকাল থেকে শুরু হওয়া জীব-নাচার, তার রোজনামচা, সংসারের ‘ঘ্যান-চক্কর’ চুপচাপ সয়ে যাওয়া জীবন, মাল্টিন্যাশনাল ক্রেতার জন্য তৈরি পোশাকের কারখানায় ওভারটাইম, ‘ভাদাইম্যা’ স্বামীর বদমেজাজ এবং একদিন সব ছেড়ে জ্বলে ওঠার চেষ্টার নাম রাইজ অ্যান্ড শাইন – জেগে উঠবো না কেন!
কুশীলব
মঞ্চে: কাজী রোকসানা রুমা, তৌফিক হাসান ভুঁইয়া, হাফিজা আক্তার ঝুমা ও শাহনেওয়াজ ইফতি।
নির্দেশনা উপদেষ্টা ও আলোক পরিকল্পনা: মোহাম্মদ আলী হায়দার। আলোক প্রক্ষেপণ: মো. সাইফুল ইসলাম মণ্ডল। কোরিওগ্রাফি: সামিনা লুৎফা নিত্রা। সঙ্গীত পরিকল্পনা: লোচন পলাশ। সঙ্গীত প্রয়োগ ও প্রযোজনা ব্যবস্থাপনা: ইভা আফরোজ খান। পোশাক পরিকল্পনা: তৌফিক হাসান ভুঁইয়া। রূপসজ্জা: শেঁউতি শা’গুফতা ও আব্দুল কাদের।
মঞ্চ পরিকল্পনা: ইমরান খান মুন্না।
এপি/