জাতীয় কবির ১২৩তম জন্মবার্ষিকীতে শিল্পকলার আয়োজন
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
বুধবার (২৫ মে) সন্ধ্যা ৭টায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে শুরু হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে আলোচনা করেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. হাকিম আরিফ।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একক সংগীত, সমবেত সংগীত, সমবেত নৃত্য ও আবৃত্তিতে মাতিয়ে তুলেন শিল্পীরা।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিল্পী শারমীন সাথী ইসলাম গেয়ে শোনান ‘আমার কালো মেয়ের পায়ের তলায়/ চেয়োনা সুনয়না/আমি গগন গহনে সন্ধ্যাতারা/সৃজন চন্দে আনন্দে’। মো. ইয়াকুব আলী খান গাইলেন ‘বধু তোমার আমার এই যে বিরহ’। বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী গেয়ে শোনান ‘সাদা মন চাহে/আমার আপনার চেয়ে/শাওন আসিল ফিরে’। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে ইয়াসমিন মুশতারী, ড. নাশিদ কামাল, ছন্দা চক্রবর্তী, ঊর্বী সোম, শেখ জসীম, মো. মফিজুর রহমান, শোভন মজুমদার একক সংগীত পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানে সরকারি সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের শিল্পীরা ‘দুর্গম গিরি কান্তার মরু/ ঝড় ঝঞ্ঝায়’, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিল্পীরা ‘জাগো অমৃত পিয়াস’, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিল্পীরা ‘মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম’, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু সংগীত দলের শিল্পীরা ‘মনের রং লেগেছে/শুকনো পাতার নূপুর পায়ে’ এবং বাংলাদেশ নজরুল সংগীত শিল্পী সংস্থার শিল্পীরা ‘এ কি অপরূপ রূপে মা’ পরিবেশনা করেন।
অনুষ্ঠানে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ‘আমার কৈফিয়ত’ ও ঝর্ণা সরকার ‘নারী’ কবিতা আবৃত্তি করেন। এছাড়াও শিমুল মুস্তাফার ও প্রজ্ঞা লাবনী আবৃত্তির পরিবেশিত হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন দিলরুবা সাথী ও আহসান উল্লাহ তমাল।
এপি/