আইইউবির গ্রীষ্মকালের নবীনবরণে আনিসুল হক
লেখা ও ছবি : ফিচার ডেস্ক
২১ মে, দেশের অন্যতম প্রধান বেসরকারী শিক্ষা ও গবেষণা মহাবিদ্যালয় আইইউবি (ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ)’র ২০২২ সালের সামার সেশনে ভর্তি হওয়া নতুন ছাত্র, ছাত্রীদের আনন্দঘন নবীনবরণ হয়ে গেল।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় লেখক, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক, আজাদের ‘মা’; ‘লাল পিরান’ নাটকের মাধ্যমে প্যাকেজ নাটকের দিক বদলে দেওয়া, রাজশাহী শিক্ষাবোডের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও এইচএসসিতে সম্মিলিত মেধাতালিকায় তৃতীয় এবং অষ্টম স্থান অধিকার করা, ‘গদ্যকার্টুন’র রচয়িতা, প্রথম আলোর অন্যতম স্তম্ভ আনিসুল হক প্রধান আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছেন ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুুরি কমিশন)’র অর্থ ও হিসাব বিভাগের প্রধান, অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।
আইইউবি’র উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছেন।
আনিসুল হককে পেয়ে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার স্থায়ী ক্যাম্পাসের বিশ্ববিদ্যালয়টির নতুন ছাত্র, ছাত্রীরা খুব খুশি হয়েছেন। ‘ভালোবাসার চার উপন্যাস’সহ প্রেম-বিরহ-ভালোবাসা-মুক্তিযুদ্ধ ও সমাজ সচেতনতার অন্যতম নায়কের খুব ভালো লেগেছে।
তিনি তার আজাদ ও তার মায়ের গল্প করেছেন, লেখা নিয়ে তাকে নানা প্রশ্ন করেছেন তারা। সেলফি তুলেছেন সবাই।
আইইবির অনেক অধ্যাপকও বাংলাদেশের বরণ্যে এই লেখক ও সাংস্কৃতিক কর্মীকে পেয়ে আনন্দিত হয়েছেন।
গল্পের পরে আনিসুল হক চার বছর লেখাপড়া করতে আসা এই নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদেরসহ সবাইকে অনুরোধ করেছেন, ‘আমি আশা করবো আপনারা কেউ কোনোদিন মাদক ও মাদকজাতীয় কোনো দ্রব্য কখনো গ্রহণ করবেন না।’
তিনি নতুনদের বলেছেন, ‘তোমাদের যে মাদক নিতে বলবে, সে তোমার বন্ধু নয়।’
আনিসুল হক জানিয়েছেন, ‘মাদক না নেয়াটিই হলো আধুনিকতা, মাদক না খাওয়াই স্মার্টনেস।’
‘মা’ উপন্যাসের লেখক বলেছেন, ‘তোমরা আমার চেয়েও ভালো জানো, আগুনে হাত দিয়ে হাত পুড়িয়ে অভিজ্ঞতা নেওয়া নিজের হাতকে পুড়িয়ে ফেলা ও সারাজীবন সেই ভার বহন করা। ফলে এই ক্ষতির দিকে তোমরা কেউ যেও না।’
‘শখের বশেও মাদক থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশের সব ছেলেমেয়েদের আমি অনুরোধ করি সবসময়’-বলেছেন তিনি।
‘আইইউবি সামার সেশন-২০২২ নবীনবরণ’র প্রধান অতিথি ইউজিসির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেছেন, ‘তোমরা আইইউবিতে পড়তে এসে ভালো করেছ। কেননা, বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়টি আজকের বিশ্বের অত্যন্ত প্রতিযোগিতায় পূর্ণ, দ্রুত পরিবর্তনশীলতার পুরোপুরি উপযোগী।’
তিনি বলেছেন ‘এই ২০ শতাব্দী তথ্য, জ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর। ফলে মনের মতো করে বেঁচে থাকা এবং জীবনযাপনের স্থিতিশীলতার জন্যও তোমাদেরকে নানা সেক্টরে কাজ করতে যেতে হবে। তাই ভালোভাবে জীবনকে গড়ে তুলতে হবে।’
অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, জীবনমুখী ও জীবনভর শিক্ষা-গবেষণার মাধ্যমে যেকোনো শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীর জ্ঞান ও দক্ষতা হালনাগাদ হয়।
ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুুরি কমিশন)’র অর্থ ও হিসাব বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন, ‘এখনকার প্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞান এবং বিশ্ব সমাজে চলতে, কর্মক্ষেত্রের যেকোনো চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা এবং অর্জনকে নিজের করে নিতেও সঠিক কর্ম পরিকল্পনা ও কৌশল অবলম্বন করতে হবে।’
আইইউবি (ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ)’র রেজিস্ট্রার স্যার, স্কুলগুলোর ডিনরাও বক্তব্য দিয়েছেন।
বিভাগগুলোর বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কমচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছেন নবীনরা।
ওএস।