বুধবার, ১ মে ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

একটি স্মার্টফোনের গড় আয়ু কত,জানেন কি?

ছবি সংগৃহিত

ওষুধপত্র হোক বা যেকোনো ব্যবহার জিনিসের ক্ষেত্রেই এক্সপায়ারি ডেট তার প্যাকেটের মধ্যেই লেখা থাকে। কিন্তু কখন ভেবে দেখেছেন একটি স্মার্টফোনের এক্সপায়ারি ডেট বা আয়ু কতদিন থাকে? যদিও কোন কোম্পানি এই ধরনের কিছু উল্লেখ করেনা। তবে এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানানো হয়েছে একটি স্মার্টফোনের আয়ু কতদিন থাকে।

এখনকার দিনে স্মার্টফোন শুধু ফোন কল কিংবা বিনোদনের জন্যই নয়, অনেক জরুরি কাজেও খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি অনেক স্কুল পড়ুয়াদেরও পড়াশোনার বিষয়ে খুঁটিনাটি নানান তথ্য সংগ্রহের জন্য-ও এই স্মার্টফোন এখনকার দিনে খুবই দরকারি একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস।

তাই আট থেকে আশি প্রায় সব বয়সী মানুষদের হাতেই এখন থাকে একটা করে স্মার্ট ফোন। বলতে গেলে সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত আমাদের সর্বক্ষণের সঙ্গী এই মুঠোফোন। তবে যত দামি মোবাইল ফোনই কেনা হোক না কেন তা ব্যবহারের সাথে সাথে পুরনো হবেই। আর ইলেক্ট্রনিক জিনিস পুরনো হওয়া মানেই তার গড় আয়ু (Life Span) কমে আসা।

আর এরফলে সময়ের সাথে সাথে এই সমস্ত পুরনো জিনিসের খারাপ হওয়ার প্রবণতাও বাড়তে থাকে। তাই কারও পুরনো মোবাইলে সাউন্ডের সমস্যা তো কারও আবার স্পিড কমে যাওয়া কিংবা ব্যাটারির খারাপ হওয়ার সমস্যা লেগেই থাকে। তবে একথাও ঠিক এখনকার দিনে বাজারে স্মার্টফোনের ব্যাপক চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই একের পর এক নতুন স্মার্টফোন লঞ্চ করছে বিভিন্ন কোম্পানি।

তবে এমনও অনেকে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী আছেন যারা ৩-৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে একই স্মার্টফোন ব্যবহার করে চলেছেন। তবে এখানে বলে রাখি, স্মার্টফোন এমন একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যার ব্যাটারিতে একাধিক কেমিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করা হয়। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর সেগুলির মেয়াদ-ও শেষ হয়ে যায়।

তবে স্মার্টফোনের ‘গড় আয়ু’ বলে কিছু হয় না। তাই কেউ চাইলে প্রয়োজন মতো ব্যাটারি বা অন্যান্য পার্টস পরিবর্তন করেই পুরোনো মোবাইল ব্যবহার করতে পারেন।মোদ্দা কথা হল স্মার্টফোনের এক্সপায়ারি ডেট বলে কিছু হয় না। বাজারে এখন বিভিন্ন নামি-দামি কোম্পানির মোবাইল বিক্রি হলেও এমন অনেকেই আছেন যারা ব্র্যান্ডেড স্মার্টফোন ব্যবহার করেন।

কোনও রিপ্লেসমেন্ট ছাড়াই বছরের পর বছর ধরে দিব্যিও একই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। আসলে এই ধরনের ফোনে যে চিপ এবং ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করা হয় তা অনেক বছর লাস্টিং করে। যদিও এখন স্মার্টফোন নির্মাতারা ২-৩ বছর পর স্মার্টফোনের সফটওয়্যার আপডেট করা বন্ধ করে দেয়। তাই পুরনো স্মার্টফোন আর ব্যবহার করা যায় না। এমনকি অনেক কোম্পানি ২-৩ বছর পর ওই নির্দিষ্ট মডেলের অ্যাকসেসরিজ তৈরিও বন্ধ করে দেয়।

তাহলে একটি স্মার্টফোন কত বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে? আসলে এর কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। এটি মূলত নির্ভর করছে ফোন ব্যবহারকারীর উপর। তবে এপ্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যতক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহারযোগ্য, ততক্ষণ তা ব্যবহার করা যেতে পারে। এমনকি দরকার পড়লে খারাপ ব্যাটারি এবং স্ক্রিন পাল্টেও ফোন ব্যবহার করা যেতে পারে।

Header Ad

মানুষের মস্তিষ্কের আকার বড় হচ্ছে!

ছবি: সংগৃহীত

কোনো অঞ্চলে বৃদ্ধ বয়সে পৌঁছানো মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার মানে হল, সে স্থানে ডিমেনশিয়া বা আলঝেইমার রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু গবেষকরা দেখছেন, ডিমনেশিয়া রোগীর সংখ্যা বরং কমতে শুরু করেছে। যার কারণ খুঁজতে গিয়ে তারা আবিষ্কার করেন, মানুষের ব্রেইনের আকার আগের থেকে বড় হয়ে গেছে। ১৯৩০ সাল থেকে ক্রমাগত এই বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে; যা ডিমেনশিয়া রোগের প্রবণতা কমিয়ে আনছে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

সম্প্রতি সাইন্টিফিক আমেরিকানের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে আসে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং গ্রেট ব্রিটেনসহ বৃহৎ জনসংখ্যার দেশগুলিতে গবেষণায় দেখা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লোকেরা গত ১০০ বছরের তুলনায় বর্তমানে বেশি দিন বাঁচেন। তারপরও সাম্প্রতিক দশকগুলিতে ডিমেনশিয়ার নতুন কেস সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। ফ্রেমিংহাম হার্ট স্টাডি, ১৯৪৮ সাল থেকে ফ্রেমিংহাম, ম্যাসাচুসেটসে বসবাসকারী ব্যক্তিদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আসছে। তৃতীয় প্রজন্মসহ প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তাদের কাছে।

ইউটি হেলথ সান আন্তোনিওর নিউরোলজিস্ট সুধা শেশাদ্রি বলেন, '১৯৭০ সালের পর থেকে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে। ৩০ বছরের পরে এর লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার কথা থাকলেও তা আরও দেরিতে পাওয়া যাচ্ছিল; যা একটি আশাব্যঞ্জক খবর ছিল।'

কিন্তু তারা চিন্তা করছিলেন, ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি হ্রাসের কারণ কী?

ফ্রেমিংহামের বাসিন্দাদের মধ্যে তাদের পূর্ব বংশধরদের থেকে পাওয়া কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য, যা ডিমেনশিয়া হওয়ার সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করে তার উপস্থিতি ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা উন্নতির দিকে। রোগটি প্রধানত বংশগত হলেও তাদের মধ্যে এই ধারা লোপ পাচ্ছে।

১৯৯৯ সালে ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং (MRI) ব্যবহার করে ৩ হাজার ২২৬ জনের মস্তিষ্ক স্ক্যান করা হয়। যেখানে ১৯৩০ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে জন্ম নেয়া মানুষের মস্তিষ্কের তথ্য ধারণ করা হয়। তার উপর ভিত্তি করে, মার্চ মাসে জামা নিউরোলজি এক বিশ্লেষণ প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয়েছে, ১৯৩০ থেকে ১৯৭০ সালে জন্ম নেওয়াদের মস্তিষ্কের আকারে পরিবর্তন ঘটেছে।

মস্তিষ্কের আয়তন, যা মাথার খুলির মধ্যে স্থান পরিমাপ করে (এটি ইন্ট্রাক্রানিয়াল ভলিউম নামেও পরিচিত), তা ৬.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৩০ এর দশকে জন্ম গ্রহণকারীদের পরিমাণ ১,২৩৬ মিলিলিটার ছিল; যা বেড়ে ১৯৭০ দশকে ১৩১৭ মিলিলিটার হয়েছে। এছাড়া, শ্বেত পদার্থ এবং হিপ্পোক্যাম্পাস যা মেমরি প্রক্রিয়াকরণের একটি অঞ্চলের চাবিকাঠি, উভয়ের আয়তন বড় হয়ে উঠেছে। কর্টেক্সের পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল (মস্তিষ্কের বাইরের স্তর) বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু কর্টেক্সের পুরুত্ব প্রায় ২০ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া ডেভিস মেডিকেল সেন্টারের নিউরোলজিস্ট এবং গবেষণার প্রথম লেখক চার্লস ডিকার্লি বলেন, 'কর্টিকাল পুরুত্ব হ্রাস দেখে প্রথমে কিছুটা অবাক হয়েছিলাম। মস্তিষ্ক বড় হওয়ার সাথে সাথে এটি আরও জটিল হয়ে ওঠে; যা জিরিফিকেশন নামে পরিচিত। এটি কর্টেক্সের পৃষ্ঠের ক্ষেত্রকে প্রসারিত করে। এই পরিবর্তনের একটি সম্ভাব্য পরিণতি হতে পারে যে, পরবর্তী প্রজন্মের মানুষের মস্তিষ্ক কেবল বড় হচ্ছে না, তারা আরও আন্তঃসংযুক্তও হচ্ছে।'

শ্বেত পদার্থের বৃদ্ধি, মস্তিষ্কের কোষের সংযোজক ফাইবার সমন্বিত হওয়ার মাধ্যমে প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় মস্তিষ্কের আকার শীর্ষে পৌঁছায়। গবেষকরা মনে করেন, এটি কেবল ডিমনেশিয়া নয় বরং একটি মানুষের সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং বিকাশে প্রভাব ফেলে।

শেশাদ্রি বলেন, '২০২৩ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গত ৫০ হাজার বছরে মানুষের মস্তিষ্ক উষ্ণ অঞ্চলের তুলনায় শীতল অঞ্চলে আকারে ছোট হয়। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মানুষের আবির্ভাবের পর থেকে ৭ মিলিয়ন বছরে আমাদের মস্তিষ্কের আকার তিনগুণ হয়েছে।'

দ্য ইউনিভার্সিটি অফ কেমব্রিজের একজন স্নায়ু বিজ্ঞানী এবং এপিডেমিওলজিস্ট ক্যারল ব্রেইন বলেন, 'বিশ্বজুড়ে, এমন অনেক শিশু জন্ম নেয় যারা ছোট বেলা থেকেই ডিমেনশিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে এখন আমরা প্রাপ্ত বয়স্কদের মস্তিষ্কে যে পরিবর্তন দেখছি তা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। যাতে আমরা ভবিষ্যতের কঠিন কোনো সমস্যা থেকে সচেতন হতে পারি।' সূত্র- সাইন্টিফিক আমেরিকান

শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা

ধর্ষক মফিজুল ইসলাম এবং সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছেন র‌্যাব-১১-এর পরিচালক তানভীর মাহমুদ পাশা। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লায় ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে কাঁদলেন র‌্যাব-১১-এর পরিচালক তানভীর মাহমুদ পাশা। বুধবার (১ মে) দুপুরে কুমিল্লা নগরীর শাকতলায় র‍্যাব-১১ এর সিপিসি-২ কার্যালয়ে শিশু হত্যায় জড়িত মফিজুল ইসলাম মফুকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এই র‌্যাব কর্মকর্তা। পরে ধরা গলায় ঘটনার বর্ণনা দেন। এ সময় উপস্থিত অনেক সাংবাদিককেও আবেগাপ্লুত হতে দেখা যায়।

ধর্ষণের পর হত্যার শিকার শিশু ঝুমুর কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামের জাকির হোসেনের একমাত্র মেয়ে। সে স্থানীয় সোনালী শিশু বিদ্যানিকেতনের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছেন র‌্যাব-১১-এর পরিচালক তানভীর মাহমুদ পাশা। ছবি: সংগৃহীত

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানাধীন ফেরুয়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি সদর দক্ষিণ উপজেলার খিলপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মফিজুল ইসলাম প্রকাশ মফু (৩৮)।

র‌্যাব-১১-এর পরিচালক তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, ঘটনার দিন ২৯ এপ্রিল সকালে ঝুমুর স্কুলে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়। কিন্তু বেলা ১১টা পর্যন্ত সে বাড়ি না ফিরলে তার মা স্কুলে যান। সেখানে মেয়ের কোনও হদিস না পেয়ে ফেরার পথে ঝুমুরের সহপাঠীর কাছে জানতে পারেন সে স্কুল শেষে বাড়ি চলে গেছে। বিকালে বাড়ির অদূরে ধানক্ষেতে একটি মরদেহ পড়ে আছে বলে তিনি জানতে পারেন। সেখানে গিয়ে তিনি তার মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন।

গ্রেফতার মফিজুল ইসলাম মফু। ছবি: সংগৃহীত

এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন জানান, গ্রেফতার মফিজুল ইসলাম মফুকে ঘটনাস্থলের পাশে থাকা বাঁশঝাড়ের ভেতর থেকে দ্রুত রাস্তায় উঠে আসতে দেখেছেন।

গ্রেফতার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহত ঝুমুরকে সে চিনতো। এই সুযোগে ২৯ এপ্রিল সকালে ঘটনাস্থলের পাশের রাস্তায় ওত পেতে থাকে। ঝুমুর ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছালে মফু তাকে রাস্তার পাশের ধানি জমিতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ঝুমুর চিৎকার করার চেষ্টা করলে মফু তার মুখ ও গলা চেপে ধরে। এতে সে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায়। কোনও নড়াচড়া দেখতে না পেয়ে ভিকটিমের কানে থাকা দুল ছিড়ে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে আসামি। এ ঘটনায় মামলা করলে মফু চাঁদপুরে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মফু মাদকাসক্ত ও তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য গাঁজা সেবনের বিষয়েও তথ্য পাওয়া যায়।

বিমানের খাবার নিয়ে অসন্তোষ প্রধানমন্ত্রী, দুইদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ

ফাইল ছবি

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে মেনু কার্ডের ছবির সঙ্গে খাবারের মিল পাওয়া যায়নি বলে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই অভিযোগ করেছেন। সম্প্রতি থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন শেখ হাসিনা। এই সফরে যাওয়ার ফ্লাইটেই মেনু অনুযায়ী পছন্দের খাবার অর্ডার দিয়ে পাওয়া গেছে 'ভিন্ন খাবার'।

এদিকে, এমন ঘটনায় বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারের মহাব্যবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্টদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

গত ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশ থেকে ব্যাংককের ডং মিউয়েং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। বিমানে পরিবেশিত মেনু কার্ডের ছবির সঙ্গে খাবারের মিল না থাকার বিষয়টি নজরে আসে তার। পরে তিনি এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়েছে, ভিভিআইপি মেনু অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ অনুযায়ী 'ফ্রাইড চিলি উইথ স্টাফিং' পরিবেশন করা হলে মেনু কার্ডে প্রদর্শিত খাবারের ছবির সাথে বাস্তবে মিল পাওয়া যায় না। এতে প্রধানমন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানার পছন্দ অনুযায়ী 'চিকেন মর্টাডেলা স্যান্ডউইচ অন ব্রাউন ব্রেড' পরিবেশন করা হলে মেনু কার্ডে প্রদর্শিত খাবারের ছবির সাথে বাস্তবে মিল পাওয়া যায় না। এতে তিনিও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, খাবার প্রস্তুতকালে আপনি সঠিকভাবে তদারকি বা মনিটরিং করেননি, তাই উল্লিখিত খাবার দুটি মেনু অনুযায়ী সঠিক রেসিপি অনুসরণ করে প্রস্তুত করা হয়নি। এতে প্রতীয়মান হয়, ভিভিআইপি-এর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্লাইটের খাবার প্রস্তুতকালে আপনি কর্তব্যে অবহেলা ও গাফিলতির পরিচয় দিয়েছেন।

নোটিশে আরও বলা হয়, আপনি একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও এ ধরনের কার্যকলাপ মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। আপনার কর্তব্য পালনে অবহেলা ও গাফিলতির কারণে প্রধানমন্ত্রী ও উনার ছোট বোন শেখ রেহানার নিকট বিএফসিসি তথা বিমানের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। আপনার এ ধরনের কার্যকলাপ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স গৃহীত ও অনুসৃত বাংলাদেশ বিমান কর্মচারী (চাকরি) প্রবিধানমালা অনুযায়ী, কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অতএব, উপর্যুক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে আপনার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার কারণ দর্শিয়ে আপনার লিখিত জবাব ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জমাদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

মানুষের মস্তিষ্কের আকার বড় হচ্ছে!
শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা
বিমানের খাবার নিয়ে অসন্তোষ প্রধানমন্ত্রী, দুইদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ
ছাত্রলীগ নেতাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে
শেখ হাসিনার অধীনে কেয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না: রিজভী
যতবার সরকারে এসেছি ততবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড
জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব!
সৌদি আরবে ভারী বৃষ্টিপাতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, মদিনায় রেড এলার্ট!
সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
নাটোরে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
বৃষ্টি নিয়ে সুসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
কেনিয়ায় বৃষ্টি-বন্যায় নিহত বেড়ে ১৬৯, নিখোঁজ শতাধিক
টাঙ্গাইলে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষ, নারীসহ নিহত ২
শ্রমিকের কল্যাণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে সরকার: রাষ্ট্রপতি
‘আমার জীবনটা এখানেই থেমে গেলো’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: ভিনিসিয়ুসের জোড়া গোলে বায়ার্নকে রুখে দিলো রিয়াল
মহান মে দিবস: শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের দিন আজ
মহাদেবপুরে খাদ্যগুদামের ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ফিলিপাইনে গরমে জেগে উঠল ৩০০ বছর আগে ডুবে যাওয়া শহর