বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪ | ১৯ আষাঢ় ১৪৩১
Dhaka Prokash

হলি আর্টিজান হামলার ৮ বছর আজ

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ গ্রাফিক্স

২০১৬ সালের ১ জুলাই, শুক্রবার। হঠাৎ রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে খবর এল রাজধানীর গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের হোলি আর্টিজান বেকারিতে ‘সন্ত্রাসীদের সঙ্গে’ পুলিশের চরম গোলাগুলি হচ্ছে। সশস্ত্র হামলাকারীরা এক রেস্টুরেন্টে ঢুকে বিদেশী নাগরিকসহ বেশ কয়েকজনকে ভেতরে জিম্মি করে রেখেছে। ভয়াবহ এ ঘটনায় প্রায় ১২ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস জিম্মি সংকটের ঘটনায় স্তম্ভিত করেছিল পুরো জাতিকে।

ওই দিনের হামলায় মোট ২২ জন নিহত হন। এর মধ্যে ছিলেন ২ পুলিশ কর্মকর্তা ও ১৭ বিদেশি নাগরিক ছিল। ওই দিন পুরো রাত স্পর্শকাতর বিবেচনায় কয়েকবার প্রস্তুতি নেওয়া সত্ত্বেও অভিযান চালোনো থেকে বিরত থাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

হলি আর্টিজানে হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্সসহ প্রথমে পৌঁছান গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার দাস। মামলার এজাহারে ঘটনার বিবরণীতে তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন গুলশান থানার রোড নম্বর-৭১ থেকে ৯২ এবং এর আশপাশ এলাকায় পেট্রোল ডিউটির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। রাত আনুমানিক পৌনে ৯টার দিকে ওয়্যারলেসে ভেসে আসে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বেকারিতে গুলির খবর। খবর পেয়েই ফোর্সসহ রাত আনুমানিক ৮টা ৫০ মিনিটে ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছান এসআই রিপন। হলি আর্টিজানের কাছে উপস্থিত হয়ে তারা দেখতে পান, রেস্টুরেন্টের ভেতরে কতিপয় সন্ত্রাসীরা ‘আল্লাহ্ আকবর’ ধ্বনি দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করছে।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ ও এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীদের নিক্ষিপ্ত গুলি ও গ্রেনেডের আঘাতে এসআই ফারুক হোসেন ও কনস্টেবল প্রদীপ চন্দ্র দাস ও আলমগীর হোসেন গুরুতর আহত হন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং এসআই রিপন কুমার দাস বিষয়টি তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।

যার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিটের অফিসার ও ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। এরপর পুলিশসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হলি আর্টিজানের বেকারির চারপাশে কর্ডন করে ফেলে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে অনবরত গ্রেনেড ও গুলি করতে থাকে।

এ অবস্থায় রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে সন্ত্রাসীরা হলি আর্টিজানের বেকারির পশ্চিম দিকের বাড়ির সামনে অবস্থানরত পুলিশ অফিসার ও ফোর্সদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে অন্তত ৩০-৩৫ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য আহত হন, কেউ কেউ মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হয়। সে সময় চারদিকে ঘিরে থাকা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-পুলিশসহ অন্য বাহিনীর সদস্যরা দৌড়ে নিরাপদ দূরত্বে যান। আহতদের সবাইকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টা ২০ মিনিটে বনানী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহউদ্দিন খান মৃত্যুবরণ করেন। এর কিছুক্ষণ পরই ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) মো. রবিউল করিমের মৃত্যু হয়।

পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনা করে রাতেই সিদ্ধান্ত হয় পরের দিন ২ জুলাই ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’ পরিচালনা করা হবে। এ অভিযানের মধ্য দিয়েই জিম্মিদশার অবসান ঘটান যৌথ সেনা, নৌ, পুলিশ, র‍্যাব এবং বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ কমান্ডো দল। নিহত হয় ৬ জঙ্গি, আহত অবস্থায় ধরা পড়ে একজন।

রাত দেড়টার ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠী তাদের বার্তা সংস্থা বলে পরিচিত ‘আমাক’ এ হামলার দায় স্বীকার করে ২০জন নিহত হবার কথা জানায়। আইএস এর পক্ষ থেকে হামলাকারীদের মধ্যে পাঁচজনকে তাদের ‘সৈনিক’ বলে দাবি করে, হামলার দায় নেয় তারা।

২০১৬ সালের ২ জুলাই ভোর ৭টা ৩৫ মিনিটে গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট অভিযানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয় যৌথ কমান্ডো দল। ৭টা ৪৫ মিনিটে কমান্ডো বাহিনী অভিযান শুরু করে। অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত দলের সদস্যরা রেস্টুরেন্টের ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। সকাল সোয়া ৮টায় রেস্টুরেন্ট থেকে প্রথম দফায় নারী ও শিশুসহ ৬ জনকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। পাশের একটি ভবন থেকে একজন বিদেশী নাগরিক তার মোবাইল ফোনে সেটি ধারণ করেন। ৮টা ৫৫ মিনিটে ভবনের নিয়ন্ত্রণ নেয় অভিযানকারীরা। গোয়েন্দা দল ভবনের ভেতর বিস্ফোরকের জন্য তল্লাশি শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই আলামত সংগ্রহের কাজ শুরু করে গোয়েন্দারা। ৯টা ১৫ মিনিটে অভিযান শেষ হয়। কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে প্রায় ১২ ঘণ্টার রক্তাক্ত জিম্মি সংকটের অবসান হয়।

সকাল ১০টায় ৪ জন বিদেশীসহ ১৩ জন জীবিত উদ্ধারের খবর জানানো হয়। রেস্টুরেন্টের ভেতরে অজ্ঞাত পাঁচজনের মৃতদেহ পাবার কথা পুলিশ জানায়। ১১টা ৫০ মিনিটে অভিযানে জঙ্গিদের ৫ জন নিহত হয় বলে নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অভিযানে নিহত জঙ্গিরা হলেন- মীর সামিহ মোবাশ্বের (১৯), রোহান ইমতিয়াজ (২০), নিরবাস ইসলাম (২০), খায়রুল ইসলাম পায়েল (২২), শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ওরফে বিকাশ (২৬)।

পরে জিম্মি থাকাবস্থায় সন্ত্রাসী কর্তৃক নৃশংসভাবে নিহত হওয়া ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে নয়জন ইতালির নাগরিক, সাতজন জাপানের, একজন ভারতের ও তিনজন বাংলাদেশি।

উদ্ধার জিম্মিদের বয়ান অনুযায়ী তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, জঙ্গিরা হামলার প্রথম ২০ মিনিটেই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়। তারা দেশি-বিদেশিদের গুলি করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে-গলা কেটে করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। হত্যার পর ছবি তুলে অ্যাপের মাধ্যমে বাইরে অবস্থানরত নব্য জেএমবির নেতা তামিম চৌধুরী ও মারজানের কাছে পাঠায় তারা। জঙ্গিরা এতটাই নিষ্ঠুর ছিল যে, লাশের সারি মেঝেতে রেখেই খাবার খায়।

Header Ad

লবণ দেওয়া চামড়ার ৯০ শতাংশ বিক্রি, ক্ষতের দাগে নষ্ট ১০ শতাংশ

ছবি: সংগৃহীত

পুরান ঢাকার পোস্তায় লবণ দেওয়া চামড়ার প্রায় ৯০ শতাংশের বিক্রি এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চামড়া বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। বিক্রি হওয়া এসব চামড়ার ডেলিভারি হয়েছে ৫০ শতাংশের বেশি। বাকি চামড়ার বিক্রি ও ডেলিভারি আগামী এক মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে চামড়া ব্যবসায়ীদের সংগঠন। তবে পশুর চামড়ায় এক ধরনের ক্ষতের মতো দাগ থাকায় অনেক ব্যবসায়ীর ১০ শতাংশের বেশি চামড়া নষ্ট হয়েছে।

কোরবানির ৭ দিন পর থেকে পুরান ঢাকার পোস্তায় লবণ দেওয়া চামড়ার বেচাবিক্রি শুরু। এরই মধ্যে লবণ দেওয়া চামড়ার প্রায় ৯০ শতাংশ বিক্রিও শেষ। আর বিক্রি হওয়া এসব চামড়ার ডেলিভারি হয়েছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। হাজারীবাগ থেকে চামড়াশিল্প সাভারে স্থানান্তরিত হওয়ায় লালবাগে এখন আর চামড়া বেচাকেনার চিরচেনা ভিড় নেই। তবে স্বল্প পরিসরে যে বেচাকেনা চলছে সেখানে ভালো দাম পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। তবে পশুর চামড়ায় এক ধরনের ক্ষতের মতো দাগ থাকায় অনেক ব্যবসায়ীর ১০ থেকে ২০ শতাংশের মতো চামড়া নষ্ট হয়েছে বলে জানান কেউ কেউ।

একজন চামড়া ব্যবসায়ী বলেন, মোটামুটি অনেক চামড়াই বিক্রি হয়েছে। মার্কেটে কেমন একটা চামড়া নেই এখন। প্রতিদিনই ডেলিভারি হচ্ছে, যা আছে আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে এটাও চলে যাবে। তবে চামড়ায় একটা দাগ দেখা যাচ্ছে। এটা থেকে পক্সের মতো হবে। শেষে এ চামড়া আমরা কোনো কাজে লাগাতে পারব না। বলতে গেলে এ জায়গায় আমরা ক্ষতির মুখে আছি। এবার ১ লাখ পিস কাঁচা চামড়া কেনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। এরই মধ্যে সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এছাড়া লবণ দেওয়া বাকি ১০ শতাংশ চামড়ার বিক্রি ও ডেলিভারি আগামী এক মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে চামড়া ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি।

বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. আফতাব খান বলেন, আমাদের যেসব ব্যবসায়ী আছেন, তাদের যে টার্গেট ছিল, তা পূরণ হয়েছে। সে অনুযায়ী লবণজাত করেছে এবং কোরবানির পঞ্চম দিন থেকে তারা বিক্রি শুরু করেছে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ চামড়া বিক্রি হয়েছে আর ৫০ শতাংশ চামড়া ডেলিভারি চলে গেছে। এবার ঢাকায় লবণ দেওয়া গরুর চামড়ার সরকার নির্ধারিত দাম ছিল প্রতি বর্গফুট ৫৫ থেকে ৬০ এবং ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুটের দাম নির্ধারণ হয় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। এছাড়া ঢাকায় খাসির চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট নির্ধারণ হয় ২০ থেকে ২৫ টাকা।

অপু বিশ্বাসকে কড়া হুঁশিয়ারি বুবলীর

অপু বিশ্বাস ও বুবলী। ছবি: সংগৃহীত

ঈদ মৌসুমের সিনেমা উন্মাদনায় ভাটা পড়তেই জোয়ার এসেছে অপু-বুবলীর বাকবিতন্ডায়। ফের বাজতে চলেছে এই দুই নায়িকার মধ্যে যুদ্ধের দামামা। এবার শুরুটা করেছেন অপু। শাকিবকে ঘিরে বীরের মা যাই বলছেন তাই নিয়ে চলছে জয়ের মায়ের কটাক্ষ। এতদিন চুপ থাকলেও এবার সরব হলেন। সন্তান শেহজাদকে শাকিব থেকে আলাদা করতে চাইলে চুপ থাকবেন না বলে দিলেন কড়া হুঁশিয়ারি।

অপুকে হুশিয়ারি দিয়ে বুবলী বলেন, সে ভেবেছে সবসময় আমাকে আর আমার ছেলেকে নিয়ে মিথ্যাচার করবে আর আমি বরাবরের মতোই চুপ থাকবো, কখনোই না। কারণ, তাকে নিয়ে কথা বলার কখনোই আমার রুচি হয়না কিন্তু যখন দেখছি সে তার নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য আদাজল খেয়ে নেমেছে শেহজাদকে তার বাবার থেকে আলাদা করার জন্য তখন আমি চুপ থাকবো না। এসব নিয়ে সে সারাক্ষণ বাজে গেম প্ল্যান করে বলেই তার মুখে এই গেম প্ল্যান কথাটা এসেছে।

 

অপু বিশ্বাস ও বুবলী। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে মো. ইকবালের সিনেমায় অভিনয় করেছেন বুবলী। এদিকে ইকবালের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নেই শাকিবের। বিষয়টি ধরে কথ বলেছেন অপু। তার মতে শাকিবের শত্রুর সঙ্গে বুবলীর ওঠাবসা।

 

অপু বিশ্বাস ও বুবলী। ছবি: সংগৃহীত

এ নিয়ে বুবলী বলেন, ইকবাল ভাইয়ের ছায়া নাকি উনি দেখেন না। কিন্তু কেনো? কারণ, ইকবাল ভাইয়ের কাছের একজন প্রযোজক কিছুদিন আগে তাকে অনুদানের এক সিনেমা থেকে বাদ দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে সাইনিং মানিও ফেরত নিয়েছিলেন। সেলিম ভাই বা ইকবাল ভাই যখন আমাকে সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ করেছিলেন, আমার কাজের প্রশংসা করেছিলেন, তখন তাকে নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছিলেন না, বানালে ঠিকই করতেন। এমন কোনো উদাহরণ আছে? ওনারা তার কাছে মুভি নিয়ে গেছেন অথচ উনি ফিরিয়ে দিয়েছেন? নেই। কিন্তু চালাকি করে উনি শাকিবের নাম উপর চাপিয়ে দিল এখানেও। উনি কাকে কি বোঝায়? হাস্যকর।

ইসরায়েল-আমেরিকা-ব্রিটেনের চার জাহাজে হামলার দাবি হুথির

ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকা, ব্রিটেন ও ইসরায়েলের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্তত চারটি জাহাজ লক্ষ্য করে পৃথক হামলার দাবি করেছে ইয়েমেনের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। সোমবার লোহিত সাগর, আরব ও ভূমধ্যসাগরের পাশাপাশি ভারত মহাসাগরে এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, প্রথম অভিযানে আরব সাগরে ইসরায়েলি জাহাজ এমএসসি ইউনিফিককে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

এছাড়া চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো লোহিত সাগরে পরিচালিত অভিযানে তেলবাহী মার্কিন ট্যাংকার ডেলোনিক্সকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

হুথির এই মুখপাত্র বলেছেন, তৃতীয় অভিযানে ভারত মহাসাগরে যুক্তরাজ্যগামী জাহাজ অ্যানভিল পয়েন্টকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। আর ভূমধ্যসাগরে চতুর্থ একটি জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। ওই জাহাজটি লাকি সেইলর নামের বলে জানিয়েছেন তিনি।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে ইয়াহিয়া সারির এই দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, ইয়েমেনের বিরুদ্ধে মার্কিন-ব্রিটিশ আগ্রাসন ও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যার জবাবে হুথিরা ওই হামলা চালিয়েছে।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে লোহিত সাগরে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন জাহাজে গত নভেম্বর থেকে হামলা চালিয়ে আসছে হুথিরা। তাদের ঠেকাতে ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য যৌথ হামলা চালালেও; সেগুলো তেমন ফলপ্রসূ হচ্ছে না।

হুথিদের হামলার কারণে লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশ্বে সমুদ্র পথে যত বাণিজ্য হয়, তার ১২ শতাংশই লোহিত সাগর দিয়ে হয়। এদিকে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হুথিদের হামলার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে এর অনেক প্রভাব পড়েছে।

লোহিত সাগর থেকে মিশরের সুয়েজ খাল হয়ে যেসব জাহাজ ইউরোপে যেত; সেসব জাহাজকে এখন আফ্রিকা ঘুরে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স

সর্বশেষ সংবাদ

লবণ দেওয়া চামড়ার ৯০ শতাংশ বিক্রি, ক্ষতের দাগে নষ্ট ১০ শতাংশ
অপু বিশ্বাসকে কড়া হুঁশিয়ারি বুবলীর
ইসরায়েল-আমেরিকা-ব্রিটেনের চার জাহাজে হামলার দাবি হুথির
দুর্নীতির মামলায় জামিন পেলেন ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি
বন্যার শঙ্কা, প্রস্তুত থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতে ধর্মীয় সমাবেশে পদদলনে নিহতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে
কার্ড প্রকাশ, বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন দিঘী!
টাঙ্গাইলে নিখোঁজের ৪ দিন পর প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার
দাতাগোষ্ঠীর থেকে ১১ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রস্তাব এসেছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
১১ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
চুয়াডাঙ্গায় ইটভাটা শ্রমিকের মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ
ঢাকায় কয়েকদিনের টানা বর্ষণে বেড়েছে মানুষের ভোগান্তি
ক্ষমা চেয়ে অঝোরে কাঁদলেন রোনালদো, বললেন ‘এটাই ফুটবল’
রূপগঞ্জের সেই জঙ্গি আস্তানা থেকে তিনটি বোমা উদ্ধার
পাহাড়ি ঢলে সাজেকে আটকা ৭ শতাধিক পর্যটক
মেয়ের পরকীয়ার বলি সাবেক এমপির স্ত্রী সেলিনা: পিবিআই
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন অযৌক্তিক: অর্থমন্ত্রী
শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা ২২ শিক্ষার্থীর মানববন্ধন
এলপি গ্যাসের দাম বাড়লো
এবার রাজধানীর মিরপুরে দেখা মিলল রাসেলস ভাইপারের!